এক ভুলে অনেক কিছু হারিয়েছেন সাকিব আল হাসান। সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে তার সামনের এক বছর কোন ধরনের ক্রিকেট না খেলায়। বিশাল এক মানসিক ধাক্কা খেয়েছেন। সেই সঙ্গে আর্থিকভাবেও বিপুল ক্ষতি হয়েছে তার। কোন ধরনের ক্রিকেট খেলতে না পারার অর্থই হলো ক্রিকেট থেকে উপার্জিত অর্থ কমে যাওয়া। আইসিসি তাকে সব ধরণের ক্রিকেটে দুই বছরের নিষিদ্ধ ঘোষণার পরপরই সাকিব মর্যাদাপূর্ণ মেরিলিবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) এর ক্রিকেট কমিটি থেকেও পদত্যাগ করেছেন। এমন আরও অনেক ক্রিকেটীয় অবস্থান থেকে তাকে সরে দাঁড়াতে হবে।
সাকিব বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) শীর্ষ গ্রেডের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের একজন। চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার হিসেবে তিনি বিসিবি থেকে মাসে সর্বোচ্চ চার লাখ টাকা করে বেতন পেতেন। বিসিবির সঙ্গে সাকিবের সেই চুক্তিও বাতিল হচ্ছে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
কারণ একবছর সাকিব কোন ধরনের ক্রিকেট খেলবেন না। তাই তার সঙ্গে বিসিবি’র পূর্ব চুক্তিও বাতিল হয়ে যাচ্ছে। সাকিবের নিষেধাজ্ঞায় আইসিসি সাফ জানিয়ে দিয়েছে- নিষিদ্ধ থাকার কোন ধরনের প্রতিযোগিতামুলক ক্রিকেটীয় কর্মকান্ডে সাকিব জড়িত থাকতে পারবেন না। আর তাই বিসিবির সঙ্গে সাকিবের এই চুক্তি তো নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার পর থেকেই স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা।
এই প্রসঙ্গে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামুদ্দিন সুজন বার্তাটোয়েন্টিফোরকে জানান-‘এটা অবশ্যই বাতিল হওয়ার কথা। যে নিয়ম আছে, সেই অনুযায়ী এটা ২৯ অক্টোবর থেকেই বাতিল হওয়ার কথা। তবে বোর্ড এখনো এই বিষয়ে যেহেতু কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি, তাই এটা এখনই বাতিল হয়ে গেছে-এমনটা আমি বলতে পারি না।’
নিজের অবস্থান থেকে এমন ‘নিরাপদ’ মন্তব্যই করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী। তবে এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে সাকিবের সঙ্গে বিসিবির এই চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার হিসেবে থাকার চুক্তিটা বাতিল হচ্ছেই। হয় আজ না হয় একদিন পর!
বিসিবির টিম অপারেশন্সের চেয়ারম্যান আকরাম খানও জানান-‘নিয়ম তো তাই জানাচ্ছে যে সাকিবের সঙ্গে বিসিবির চুক্তিটা আর থাকছে না।’
বিসিবি চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের সংখ্যা এখন ১৮ জনের। ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিসিবির এই চুক্তি শেষ হচ্ছে ডিসেম্বরে। সামনের বছরের জানুয়ারিতে ক্রিকেটারদের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি হবে। নতুন সেই চুক্তিতে একটি নাম নিশ্চিতভাবেই বাদ যাচ্ছে-সাকিব আল হাসান!
যে ক্রিকেটারের নাম এতদিন ধরে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের তালিকার শীর্ষে ছিল!
সময় আসলে বদলে দেয় অনেককিছু!
ক্রিকেট
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
ইংল্যান্ড-স্কটল্যান্ড
বিকেল ৪টা, নাগরিক ও টফি
অস্ট্রেলিয়া-ভারত
রাত ৮টা, নাগরিক ও টফি
১ম টি-টোয়েন্টি
শ্রীলঙ্কা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
সন্ধ্যা ৭-৩০ মি., সনি স্পোর্টস ৫
ফুটবল
উয়েফা নেশনস লিগ
কাজাখস্তান-স্লোভেনিয়া
সন্ধ্যা ৭টা, সনি স্পোর্টস ২
ফিনল্যান্ড-ইংল্যান্ড
রাত ১০টা, সনি স্পোর্টস ২
ম্যাচটার নিয়তি ভারতের ইনিংস শেষেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ২৯৭ রান হজমের পর টি-টোয়েন্টিতে জেতার কথা কল্পনাও করা কঠিন, বিশেষত দলের শক্তি-সামর্থ্য বিচারে তা অসম্ভবের চেয়েও বেশি কিছুই ছিল। বড় হারই অপেক্ষা করছিল বাংলাদেশের জন্য। ২০তম ওভারের শেষ বলটা হওয়ার পর হারের ব্যবধানটা জানা গেল, বাংলাদেশ তুলতে পেরেছে মোটে ১৬৪ রান, ম্যাচটা হেরেছে ১৩৩ রানে।
ইচ্ছে হলেই যেন বল গ্যালারিতে পাঠাচ্ছে ভারত। এমন ম্যাচে বাংলাদেশ শুধু অসহায় ভঙ্গিতে চেয়ে দেখল ভারতের রান আনন্দ।
ওপেনার স্যাঞ্জু স্যামসন আগের দুই ম্যাচে স্কোর তেমন বড় করতে পারেননি। সেই দুঃখ ভুললেন সিরিজের শেষ এবং তৃতীয় ম্যাচে। মাত্র ২২ বলে হাফসেঞ্চুরির আনন্দে ভাসলেন এই মারকুটো ব্যাটার। ৮ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় হাফসেঞ্চুরি পান তিনি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের কোনো ব্যাটারের টি-টোয়েন্টিতে এটি দ্রততম হাফসেঞ্চুরি।
একদিনে স্যামসন, অন্যপ্রান্তে সূর্যকুমার। কে কার চেয়ে বেশি শট খেলবেন, কার স্ট্রাইকরেট বেশি থাকবে- যেন সেই প্রতিযোগিতায় মেতে উঠলেন দুজনে। মাত্র ৪৪ বলে এই জুটিতে ১০০ রান যোগ হলো। সূর্যকুমার মাত্র ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরির আনন্দে ভাসেন। মাত্র ৪০ বলে সেঞ্চুরি পান স্যামসন। টি- টোয়েন্টিতে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এ দুজনে যোগ করেন রেকর্ড ১৭৩ রান। টি- টোয়েন্টিতে যে কোনো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যে কোনো জুটিতে এটি ভারতের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
শুরুর ১০ ওভারে ভারতের স্কোর গিয়ে পৌছাল ১৫২ রানে। তখনই বোঝা যায় এই ম্যাচে আরো অনেক বড় কিছু অপেক্ষা করছে। সেটাই তারা করে দেখাল। টি- টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ ২৯৭ রানের নতুন রেকর্ড গড়ল ভারত। আগেরটা ছিল ৫ উইকেটে ২৬০ রান, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে।
ভারতের ইনিংসের পর বাংলাদেশ শুরুতেই পারভেজ ইমনের উইকেট খোয়ায়। এরপরও লিটন দাসের ব্যাটে চড়ে পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশ তুলে ফেলে ৫৯ রান। পাওয়ারপ্লে শেষে তার আর তাওহীদ হৃদয়ের জুটি জমে গিয়েছিল যখন, তখন ২০০ ছোঁয়ার একটা সম্ভাবনা জেগে উঠেছিল। তবে লিটনের ৪২ রানে বিদায়ের পর নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন তাওহীদ। ফিফটি পেয়ে ৪২ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকলেও তিনি দলকে নিয়ে যেতে পেরেছেন স্রেফ ১৬৪ পর্যন্ত।
ম্যাচটা মাহমুদউল্লাহর শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল, সে ম্যাচে বল হাতে একটা সাফল্য পেয়েছেন তিনি। আউট করেছেন সূর্যকুমারকে। এরপর ব্যাট হাতে করতে পেরেছেন মোটে ৯ বলে ৮। ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে তার সঙ্গী হয় বিশাল ব্যবধানের হার।
সেই একই গল্প। সেই একই ফল। মামুলি ব্যাটিং এবং দলের হার। মুখস্থ করা এই চিত্রনাট্য নিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করলো বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শনিবার রাতে (১২ অক্টোবর) গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ হারলো ৭ উইকেটে। সেই সঙ্গে টানা তিন হারে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় হয়ে গেল নিগার সুলতানা জ্যোতির দলের। আর এই জয়ে ৩ জয় ও ১ হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে এলে গত আসরের রানার্স আপ দক্ষিণ আফ্রিকা।
দুবাইয়ে টসে জিতে বাংলাদেশ ব্যাটিং বেছে নেয়। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই উইকেট গেল। দিলারা আক্তার পুরো টুর্নামেন্টের মতো শেষ ম্যাচেও ব্যর্থ হলেন। শূন্য রানে শেষ হলো তার এবারের বিশ্বকাপ মিশন। সাথী রানী, সোবহানা মুস্তারি ও নিগার সুলতানা জ্যোতি ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে গেলেন। তারই ফলশ্রুতিতে দলের স্কোর একশ’র ঘর পার করলো।
সাথী রানী ৩০ বলে ১৯ রান করেন। পুরো টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে ধারাবাহিকভাবে রান করে গেলেন সোবহানা মুস্তারি ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। মুস্তারি ৪৩ বলে খেললেন ৩৮ রানের ইনিংস। আগের ম্যাচের সর্বোচ্চ স্কোরার নিগার সুলতানার ব্যাট থেকে এলো ৩৮ বলে ৩২ রানের ইনিংস। দুজনে রান পেলেন তবে ইনিংস তৈরি করতে গিয়ে অনেক বেশি বল খেললেন তারা। টি- টোয়েন্টি ঘরানার ক্রিকেট এমন ডিফেন্সিভ ব্যাটিং দিয়ে জেতা যায় না।
১২০ বলের ম্যাচে ১০৩ রান লড়াই জমিয়ে রাখার জন্য বড় কোনো সম্পদ নয়। রান তাড়ায় নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা কোনো তাড়াহুড়ো করেনি। ২৩ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙ্গলেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তাজমিন ব্রিটস ও অ্যানেকে বোসচ দলকে জয়ের পথ দেখান। ব্রিটস ৪১ বলে করেন ৪২ রান। বোশের ব্যাটে আসে ২৫ বলে ২৫ রানের কার্যকর ইনিংস।
শেষের দিকে মারিজানে কেপ ও চোলে ট্রাইয়ন দলকে জয়ের বন্দরে পৌছে দেন।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন টেস্টের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ভারত। মোহাম্মদ শামি চোট থেকে পুরোদমে সেরে না ওঠায় দলে ফিরতে পারেননি। এদিকে ভারত তাদের সহ-অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করেছে জসপ্রীত বুমরাহর নাম।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের দল থেকে খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি, তবে এবার বুমরাহকে সহ-অধিনায়ক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ভারত তিন পেসার (বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ ও আকাশ দীপ) এবং চার স্পিনার (অশ্বিন, জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল ও কুলদীপ যাদব) নিয়ে মাঠে নামবে। রিজার্ভে রয়েছেন হারশিত রানা, নীতিশ কুমার রেড্ডি, মায়াঙ্ক যাদব ও প্রসিধ কৃষ্ণ।
প্রথম টেস্ট শুরু হবে ১৬ অক্টোবর বেঙ্গালুরুতে, দ্বিতীয় টেস্ট ২৪ অক্টোবর পুনেতে, এবং তৃতীয় টেস্ট ১ নভেম্বর মুম্বাইতে।
ভারতীয় স্কোয়াড: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), জসপ্রীত বুমরাহ (সহ-অধিনায়ক), ইয়াশভি জায়সওয়াল, শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, সরফরাজ খান, ঋষভ পান্ত, ধ্রুব জুরেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, মোহাম্মদ সিরাজ ও আকাশ দীপ।