সেঞ্চুরি করেও খুশি নন নীতিশ রেড্ডি
বয়স ২১। কিন্তু কথায় কাজে দারুণ পরিণত তিনি। মেলবোর্নে এই নীতিশ কুমার রেড্ডিই দলকে তুলে এনেছেন খাদের কিনারা থেকে, করেছেন সেঞ্চুরি। যখন তাকে দলে নেওয়া হয়, ছিলেন না খুব একটা পরিচিত মুখ। টেস্ট ক্রিকেটে কতটা ভালো করতে পারবেন তা নিয়ে ছিল সংশয়, সমালোচনা। সব সংশয়, সমালোচনাকে উড়িয়ে দিয়ে চাপের মুহূর্তে দল যখন ফলো-অনে পরার সময় গুনছে, ঠিক তখনই দলের ভরসা হয়ে এগিয়ে আসলেন রেড্ডি, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে করলেন সেঞ্চুরি।
রোববার টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শেষে রেড্ডি বলেন, ‘আমি জানি কিছু মানুষের আমাকে নিয়ে দ্বিধা ছিল। এত বড়ো একটা সিরিজে প্রত্যাশা পূরণ করার চাপ ছিল। যারা আমাকে নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন আমি তাদের ভুল প্রমাণ করতে চাই এবং বলতে চাই আমি জাতীয় দলে আমার ১০০ ভাগ দিতে এসেছি।’
মেলবোর্নের ৮০,০০০ হাজার দর্শকের সামনে শেষ উইকেটে বোলান্ডকে ক্রিজের বাইরে এসে চার মেরে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন রেড্ডি । মোহাম্মাদ সিরাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রেড্ডি বলেন, ‘আমি সেঞ্চুরি করার পরেও ততটা আওয়াজ হয়নি,যতটা আওয়াজ হয়েছিল সিরাজ ওভারের শেষ বল মোকাবেলা করার পর। তার প্রতি আমি অশেষ কৃতজ্ঞ।’
নীতিশ রেড্ডি আরও বলেন, ‘এটা আমার জীবনের একটি বিশেষ মুহূর্ত। আমি বিরাট ভাইয়ের খেলা দেখে বড় হয়েছি। অবশেষে তার সঙ্গে খেলতে পারছি। সেঞ্চুরি করার পর উনি আমার কাছে এসেছেন এবং অভিনন্দন জানিয়েছেন। আমি এই দিনের স্বপ্ন দেখেছি এতদিন।’
অস্ট্রেলিয়ার ভয়ঙ্কর বোলারদের মোকাবেলা করার সম্পর্কে রেড্ডি বলেন, ‘বোলান্ডকে মোকাবেলা করা তুলনামূলক কঠিন ছিল। তবে তার বিপক্ষে করা আমার সকল পরিকল্পনা কাজে দিয়েছে ’।
তবে শুধুমাত্র ব্যাটিং এ ভালো করে খুশি নন রেড্ডি । সমানতালে অবদান রাখতে চান বোলিংয়েও। ৪ ম্যাচে ৪৯ এভারেজে মাত্র ৩ উইকেট নেয়া রেড্ডি জানান, ‘আমার আশা ছিল ভালো একজন অলরাউন্ডার হবো। আমি জানি তার জন্য আমাকে এখনো আরও কাজ করতে হবে। আমি আমার বোলিং নিয়ে খুশি নই। আমি আমার দুর্বলতা সম্পর্কে জানি এবং আগামী দিনগুলোতে আমি বোলিং এ ভালো করার চেষ্টা করবো।’