বছরের প্রথম দিনে টিভিতে যতো খেলা
১ জানুয়ারি, ২০২৫
ক্রিকেট
১ জানুয়ারি, ২০২৫
ক্রিকেট
এইতো দিন কয়েক আগেই নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়ে দিয়েছেন তিনি আর নেতৃত্ব দিতে চান না। নতুন বছরের শুরুতেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। এ অবস্থায় আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ওয়ানডেতেও কোনো পরিবর্তন আসবে কীনা এনিয়ে ছিল প্রশ্ন।
কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে শান্তর ওপরই আস্থা রাখছে বিসিবি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তিনিই থাকছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। এমনটাই নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ।
আজ শুক্রবার বিপিএলের ম্যাচ চলাকালে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের প্রেসবক্সে এসে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমি এখনও মনে করি যে সে দলের বাইরে চলে গিয়েছিল ইনজুরির জন্য। যখন সে ফিরবে, তখন সে অধিনায়ক হিসেবেই থাকবে। আপনারা বলেছেন ডিসেম্বর পর্যন্ত তার মেয়াদ ছিল। আমরা মনে করছি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত শান্তই অধিনায়ক থাকবে। শান্তর অধিনায়কত্ব না নেওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।’
ফারুক আরও যোগ করেন, ‘শান্ত আগেই বলেছিল টি-টোয়েন্টির জন্য কমফোর্টেবল না। অনেক আগে আমাকে প্রথম বলেছিল। ওই ব্যাপারে আমরা আরেকজন ক্যাপ্টেনের কথা চিন্তা করছি। যদিও টি-টোয়েন্টি এখনও বেশ দূরে। আরও প্রায় ছয় মাস পরে মনে হয়। তাই টি-টোয়েন্টি এই মুহূর্তে ইস্যু না।’
এদিকে সাকিব আল হাসান প্রসঙ্গও এসেছে তার সামনে। সাকিব চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে থাকতে পারেন কীনা এনিয়ে ফারুক বলেন, ‘সাকিব এখনো অবসর নেয়নি। সাকিব যদি অবসর নিয়ে নিত, তাহলে বলতাম ও আর নেই। নির্বাচকরা আমাদের কাছে দল গঠনের আগে পলিসি জানতে চান। সাকিবকে নিয়ে আরেকবার চেষ্টা করব চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে। এটা নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব।’
বলা দরকার, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের করাচিতে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।
কেপটাউনে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে চলমান সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ইনজুরিতে পড়লেন পাকিস্তানি ওপেনার সায়েম আইয়ুব। গোড়ালিতে চোট পেয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন এই ওপেনার। ইনজুরির পরিমাণ জানা না গেলেও তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আইয়ুব মাঠে পায়ের উপর ভর দিতে পারছিলেন না এবং ইনজুরির পর তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
ঘটনাটি ঘটে ইনিংসের ৭ম ওভারে। রায়ান রিকেলটনের স্লিপে মারা বল ধরতে বলের পিছনে ছোটেন আইয়ুব। তখন ভারসাম্য হারিয়ে গোড়ালিতে আঘাত পেয়ে তখনই মাঠেই শুয়ে পরেন তিনি ।
সীমানার বাইরে দীর্ঘ চিকিৎসার পর, তাকে স্ট্রেচারে তুলে বাইরে নেওয়া হয় যা এই সিরিজে পাকিস্তানের জন্য বড় একটা ধাক্কার পূর্বাভাস দেয়। পাকিস্তানের জন্য ধাক্কাটা আরও বড় হতে পারতো যখন আইয়ুবের বদলি নামা আব্দুল্লাহ শফিক এডেন মার্করামের সহজ ক্যাচ ফেলে দেয়। যদিও মার্করাম ২ ওভার পরেই আউট হয়ে যান। তবে মার্করামের আউট যে আইয়ুবেব ইনজুরির ক্ষত ভোলাতে পারেনি পাকিস্তানকে ,তা তাদের উদযাপন দেখলেই বোঝা যায়।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে ওডিআই সিরিজ জয়ে গুরুত্মপূর্ণ ভূমিকা করেন আইয়ুব। ২ সেঞ্চুরি করে হন সিরিজ সেরা। ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আইয়ুবকে অবশ্যই পেতে চাইবে পাকিস্তান দল।
সিডনিতে আজ থেকে শুরু হওয়া বোর্ডার গাভাস্কার সিরিজের শেষ টেস্টে খেলছেন না রোহিত শর্মা। তার এই সিদ্ধান্তকে ‘আবেগী’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় উইকেট কিপার ঋষভ পান্ত।
বিষয়টা আগেই পরিষ্কার ছিল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলমান বোর্ডার গাভাস্কার সিরিজে ৩৭ বছর বয়সী এই ওপেনারের পারফরম্যান্স ছিল বেশ বাজে, চাপ বাড়ছিল তাই। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না রোহিত। শেষ টেস্টে তার না খেলার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়।
রোহিতের বিশ্রামের বিষয়টি আরো পরিষ্কার করেন কোচ গৌতম গম্ভীর। বৃহস্পতিবার মিডিয়ার সামনে উপস্থিত হয়ে তিনি রোহিতের পক্ষে সমর্থন জানাতে অস্বীকৃতি জানান। অস্থায়ী অধিনায়ক জসপ্রিত বুমরাহ সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টসের সময় জোর দিয়ে বলেন যে ‘দলের ভালোর জন্য বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত, তাকে বাইরে রাখা হয়নি।’
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম দিনের ম্যাচে এগিয়ে থাকার পান্ত বলেন, ‘এটি অবশ্যই একটি আবেগী সিদ্ধান্ত ছিল, কারণ তিনি অনেকদিন ধরে অধিনায়কত্ব করছেন। আমরা তাকে দলের নেতা হিসেবে দেখি, কিন্তু কিছু সিদ্ধান্ত এমন আছে যেগুলোর সঙ্গে আপনি জড়িত নন। এটি একটি দলের ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত তবে আমি সেই আলোচনার অংশ ছিলাম না।’
অন্যদিকে শাস্ত্রী বিশ্বাস করেন যে রোহিত স্বেচ্ছায় বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাকে জোর করা হয়নি। তবে তার সন্দেহ, এটিই তার ৬৭ টেস্টের ক্যারিয়ারের শেষ। শাস্ত্রী বলেন, ‘এটি একটি সাহসী সিদ্ধান্ত, একজন অধিনায়কের জন্য এটা স্বীকার করা যে আমি এই ম্যাচে বেঞ্চে বসতে প্রস্তুত। যদি ঘরোয়া কোনো সিজন আসত, তাহলে হয়তো তিনি খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিতেন, তবে আমি মনে করি তিনি এই টেস্টের শেষে তার ক্যারিয়ার শেষ করতে পারেন।’
২০২৪ সালে বিশ্বকাপ জয় করার পর পরই টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন রোহিত, তবে এখনো তার ওয়ান ডে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি ঘোষণা করেননি। টি-২০-তে নিজের শেষ তিনটি আন্তর্জাতিক ইনিংসের মধ্যে দুটি হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন হিটম্যান। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও তিনি ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়ার দাবিদার। তবে লাল বলের ক্রিকেটে রোহিতকে নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
চলমান সিরিজের প্রথম ম্যাচে দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের জন্য দলের সাথে পার্থে উপস্থিত থাকতে পারেননি তিনি। এরপর পাঁচ ইনিংসের মধ্যে কোনটিতেই ১০ রান পার করতে পারেননি তিনি। এর আগে অক্টোবর-নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে হোম সিরিজে হারে ভারত সেখানেও একই রকম বাজে ছিল রোহিতের পারফরম্যান্স।
দলের মধ্যে রোহিতের বিশ্রাম নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই জানিয়ে অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া জাসপ্রিত বুমরাহ বলেছেন, ‘আমাদের অধিনায়ক তার নেতৃত্ব প্রদর্শন করেছেন, তিনি এই ম্যাচে বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এবং এর মাধ্যমে এটি প্রমাণ হয় যে আমাদের দলের মধ্যে অনেক একতা রয়েছে, কোনো স্বার্থপরতা নেই। যা দলের স্বার্থে ভাল, আমরা সেটাই করতে চাই।’
ব্যালন ডি’অর জয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে অভিজ্ঞ লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। মেসি ৮ বার এবং রোনালদো ৫ বার পুরস্কারটি জিতেছেন। তবে এবার রোনালদোর এক মন্তব্য নিয়ে আলোচনা চলছে।
গত ২৭ ডিসেম্বর দুবাইয়ে গ্লোব স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডসে রোনালদো বলেছিলেন, ‘আমার মতে, সে-ই (ভিনিসিয়ুস) ছিল গোল্ডেন বল (ব্যালন ডি’অর) জয়ের যোগ্য। এখানে সবার সামনে বলছি, অন্যায় করা হয়েছে। তারা এটা রদ্রিকে দিয়েছে, সে-ও জয়ের যোগ্য, কিন্তু এটা ভিনিসিয়ুসকে দেওয়া উচিত ছিল। কারণ, সে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে ও ফাইনালে গোল করেছে।’
রোনালদোর এই মন্তব্য নিয়ে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ও এবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী রদ্রি বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এটা বিস্ময়কর। সত্যিই। কারণ, পুরস্কারটি কীভাবে দেওয়া হয়, সেটা তিনি অন্য যে কারও চেয়ে ভালো জানেন। সবচেয়ে বড় কথা হলো, যেভাবে বিজয়ীকে বেছে নেওয়া হয়। এ বছর ভোট দেওয়া সাংবাদিকেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পুরস্কারটি আমার জেতা উচিত। সম্ভবত এই একই সাংবাদিকেরা তাঁকেও ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। আমার মনে হয়, তখন তিনি আপত্তি করেননি।’
এদিকে রদ্রি বর্তমানে চোট থেকে সেরে ওঠার লড়াই করছেন। ২৮ বছর বয়সী এই ফুটবলার নেশনস কাপ ও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে ফেরার আশা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমার তা–ই মনে হয়। এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলতে চাই না। তবে আমি আরেকটু আগে ফিরতে চাই। এটা নিয়ে ভাবছি।’
রদ্রির চোটে ম্যানচেস্টার সিটি দলে বাজে সময় পার করছে। প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের শীর্ষ থেকে তারা পিছিয়ে রয়েছে ১৪ পয়েন্ট।