শ্রীলঙ্কান গুরুর মতো হতে চাইছেন তাইজুল

  • স্পোর্টস রিপোর্টার, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গুরু হেরাথের সঙ্গে তাইজুল

গুরু হেরাথের সঙ্গে তাইজুল

দলে বড় তারকা থাকলে আর সবাই ম্লান হয়ে যায়, তাদের সুযোগও কমে যায়। বাংলাদেশ ক্রিকেটে যেমন আছে, এমন নজির আছে বিশ্বের অনেক দলেও। শেন ওয়ার্নের সময়ে স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল, কিংবা মুত্তিয়া মুরালিধরনের সময়ে রঙ্গনা হেরাথ… এমন নজিরের অভাব নেই।

তবে সাকিব আল হাসানের সময়ে তাইজুল ইসলামও সুযোগ পেয়েছেন একটু কম। এই সবশেষ দুই সিরিজই ধরুন না! পাকিস্তান আর ভারত সফর মিলিয়ে চার টেস্টে একটাতে খেলেছেন তিনি। বাকিগুলোতে তিনি ছিলেন না ‘কম্বিনেশনের’ কারণে।

বিজ্ঞাপন

তবে কম্বিনেশনের বিষয়টা মেনে নিয়েছেন তিনি, তা সত্ত্বেও ক্যারিয়ারটা খুব খারাপ নেই, অভিমত তাইজুলের। তিনি বলেন, ‘ক্যারিয়ার যে খুব খারাপ আছে তাও বলব না। আলহামদুলিল্লাহ ক্যারিয়ার ভালো আছে। সব কন্ডিশনে সবসময় ৩ স্পিনার খেলাতে পারবেন না। অনেক জায়গায় ১ স্পিনার থাকে। এরকম হয়নি যেখানে ৩ স্পিনারের জায়গায় ১-২ জন খেলিয়েছে। কখনও দলে থাকা কখনও বাদ পড়া… আমার যতদিনের ক্যারিয়ার তাতে ম্যাচ আরও বেশি হওয়া উচিৎ ছিল। সে জায়গা থেকে হয়নি আরকি।’

সাকিব থাকার সময়ে এমনটা তার সঙ্গে হয়েছে বেশ অনেক বারই। তবে তাইজুল এবার তার সুযোগ দেখছেন। এক্ষেত্রে তিনি রঙ্গনা হেরাথকে মানছেন উদাহরণ হিসেবে।

এই হেরাথের সঙ্গে তাইজুলের আবার গুরু-শিষ্যের সম্পর্কও আছে। হেরাথ এই ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত দলের স্পিন কোচ ছিলেন। সেই তার মতোই এবার হতে চাইলেন তাইজুল। বললেন, ‘বঞ্চিত বলতে চাই না। বিশ্বে অনেকে আছে, বড় খেলোয়াড় ছিল, তারা খেলার সময় অন্যরা সুযোগ কম পেত। মুরালিধরনের সময় হেরাথ খেলতে পারেনি। হেরাথ অনেক উইকেট পেয়েছে, দীর্ঘদিন খেলেছে। আমিও ইনশাআল্লাহ… সামনে দেখি ভালো কিছু হয় নাকি।’

তাইজুল আজ একটা রেকর্ডও গড়েছেন। তবে তিনি পা রাখলেন মাটিতেই। বললেন, ‘অনুভূতি অবশ্যই ভালো লাগার বিষয়। বিশ্বে অনেক বোলারই আছে, ২০০-৩০০-৪০০ উইকেট। বাংলাদেশে আমরা এতদিন টেস্ট খেলি না। তাও যে ২-১ জন আছি তার মধ্যে আমিও একজন। গর্বের বিষয় না, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ দিয়েছে তাই হয়েছে।’

এই গেল বছরই তাইজুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন নিদেনপক্ষে ৩৫০ উইকেট নেওয়ার স্বপ্নের কথা। ২০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়ে এখন তার স্বপ্নটা কি ওখানেই আছে?

বয়সটা যে ৩৩ ছুঁয়ে ফেলছে! আর হয়তো ৫ বছর মতো খেলবেন। এই সময়ে সে লক্ষ্য ছোঁয়া যাবে তো? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি দিলেন সোজাসাপটা উত্তর। বললেন, ‘আগে দেখতে হবে ৫ বছরে কয়টা টেস্ট আছে, তারপর একটা হিসাব করে উত্তর দিতে পারব। এখন উত্তর দেওয়া কঠিন। টেস্ট যদি থাকে ১০টা তাহলে তো কঠিন!’