প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে জোর দেওয়ার কথা বললেন শান্ত 

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

 

সিলেট টেস্টে দুই ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৮২ ও ১৮৮ রান। সেই ব্যাটিং দুর্দশা সিলেট থেকে উড়ে চট্টগ্রামেও। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ এই টেস্টের প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের সংগ্রহ আরও কম, ১৭৮ রান। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে এসে সিরিজে প্রথমবারের মতো দুইশ ছাড়ায় শান্ত-সাকিবদের সংগ্রহ। ৩১৮ রান তোলার পর এবারে ১৯২ রানের হার। এতে ২-০ ব্যবধানে লঙ্কানদের কাছে হোয়াইটওয়াশড নাজমুল হোসেন শান্ত। 

বিজ্ঞাপন

গলদটা কোথায়? এটা এতক্ষণে তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ব্যাটিংয়ে হতশ্রী পারফর্ম। ব্যাট হাতে পুরো সিরিজে নিজেও পারফর্ম করতে পারেননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত নিজেও। ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হতাশা তাই চোখে-মুখেই বোঝা যাচ্ছিল বাংলাদেশের তিন ফরম্যাটের এই অধিনায়কের। 

দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুর ৯ ব্যাতারের প্রত্যেকেই করেছেন ১০-এর বেশি রান। দলীয় সর্বোচ্চ ৮১ রান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ, ৫০ রান করেন মুমিনুল। অর্থাৎ, সবাই শুরুটা করেছেন ভালো, তবে তা ধরে রাখতে পারেননি। এমন কিছু এড়াতে তাই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সবার বেশি মনোনিবেশের কথা বললেন শান্ত। পিচে থিতু হতে না পারাই দিন শেষ  ভাবাচ্ছে অধিনায়ককে। মিরাজ-মুমিনুল ছাড়াও আরও এক-দুইজন সেট হয়ে গেলে ৫১১ রানের বিশাল এই লক্ষ্যেও হতে পারলো ‘অসম্ভব’ কিছু। 

ম্যাচ শেষের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অধিনায়কের বক্তব্যপর্বে এসব দিকই তুলে ধরেছেন শান্ত। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাটিংয়ের দিকে যদি তাকান দেখবেন, সবাই সেট হয়েছে তবে বড় রান করতে পারেনি। এটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। উইকেটে সেট হলে আপনাকে বড় রান করতে হবে। আমাদের বেশি করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে হবে।’ 

এদিকে ব্যাটিং ব্যর্থতার এই ম্যাচে বল হাতে দারুণ পারফর্ম করেন হাসান মাহমুদ। অভিষেক টেস্টেই তুললেন ৬ উইকেট। এতে ডানহাতি এই পেসারকে কৃতিত্ব দিতে ভোলেননি শান্ত।