আশা জাগিয়েও সিরিজ হাত ছাড়া টাইগারদের
চট্টগ্রামে প্রথম দুই ম্যাচ পরাজয়ের পর রাজশাহীতে তৃতীয় ম্যাচে জয়ের দেখা পায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ফলে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচটি টাইগার যুবদের ছিলো সিরিজ জয়ে টিকে থাকতে বাঁচা-মরার লড়াই। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের আশা জিইয়ে রাখলেও ভেস্তে গেল সেই আশা।
রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ৮ উইকেটের লজ্জার হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আর এতেই এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করে সফরকারী পাকিস্তান যুবারা।
এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে জুনিয়র টাইগররা। পাকিস্তানের দুর্দান্ত বলিংয়ে ব্যাটিং বির্পযয় ঠেকাতে ব্যর্থ হয় স্বাগতিকরা। ৪৬ ওভার ৪ বলে সব উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন আরিফুল ইসলাম। এছাড়া ৫৫ বলে ৩৪ রান করেন মাহফুজুর। পাকিস্তানের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন আইমাল খান ও আলি আসফান। আরাফাত মহসিন পান দুইটি উইকেট। আর মোহাম্মদ ইসলাম ও আমির হোসেন নেন একটি করে উইকেট।
টাইগার যুবদের ২০০ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে- শাহজাইব খানের সেঞ্চুরিতে অনায়াসেই সেই পথ পাড়ি দেয় পাক যুবারা। ৮ উইকেটের বিশাল জয় পায় সফরকারীরা। ১০৫ বলে ১৪ চার ও ৩ ছক্কায় ১০৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ-সেরা হন শাহজাইব। এছাড়া ৫২ রান করেন আরেক ওপেনার আজান আওয়াই। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন রাফিউজ্জামান রাফি ও মাহফুজুর রাব্বি।
এদিকে রাজশাহীর প্রথম ম্যাচে দর্শক প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল উন্মুক্ত। স্টেডিয়ামের একটি গ্যালারী উন্মুক্ত থাকায় সকাল থেকেই হুমড়ি খেয়ে পড়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা। স্টেডিয়ামের মূল প্রবেশ পথেও ছিল দীর্ঘ লাইন। এমন কি তীব্র রোদ উপেক্ষা করেই পাশের বহুতল ভবন থেকেও খেলা দেখেছেন ক্রিকেট ভক্তরা।
একই মাঠে আগামী সোমবার নিয়ম রক্ষার সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। এছাড়াও ১৭ মে একটি টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান যুবারা।