মুশফিকের ফিফটিতে লড়াইয়ের পুঁজি পেল বাংলাদেশ
ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ মুশফিকের ফিফটিতে আইরিশদের বিপক্ষে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন মুশফিক।
মঙ্গলবার (৯ মে) চেমসফোর্ডে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ১৫ রানে হারায় ২ উইকেট। ১২২ রানে নেই ৫ উইকেট। একটা সময় মনে হচ্ছিল, দুইশ করাই কঠিন হয়ে যাবে।
চার নম্বরে নামেন সাকিব আল হাসান। আইপিএল ‘বিসর্জন’ দিয়ে জাতীয় দলের জার্সিতে এই প্রথমবার তার মাঠে নামা। সে কারণেই ভালো করার তাড়না আগে থেকে বেশি থাকার কথা তার। সেই চিন্তা থেকেই সম্ভবত মারমুখী ভঙ্গিতে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন সাকিব। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। যদিও অল্পতেই থামতে হয়েছে। ভালো শুরু পেয়েও ২০ বলে ২১ রান করতে পেরেছেন। মেরেছেন ৪ বাউন্ডারি।
সাকিব না পারলেও দলের হাল ধরেছেন মুশফিকুর রহিম। চমৎকার ব্যাটিংয়ে আরেকবার দলে তার কার্যকারিতার ছাপ রাখলেন। ৫২ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে পথে ফিরিয়েছেন মুশফিক। ঠাণ্ডা মাথায় সময়োপযোগী ইনিংস খেলেছেন।
তার আগে শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়ের জুটিও রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। চতুর্থ উইকেটে তারা গড়েন ৫০ রানের জুটি। শান্তর বিদায়ে ভাঙে তাদের জুটি। কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান। ৬৬ বলের ইনিংসটি বাঁহাতি ব্যাটার সাজান ৭ বাউন্ডারিতে। আর হৃদয় ৩১ বলে খেলেন ২৭ রানের ইনিংস।
মিডল অর্ডারের প্রায় সবাই ভালো শুরু পেলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। এই জায়গায় ব্যতিক্রম মুশফিক। পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে ব্যাট করে পেয়ে গেছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৪তম হাফসেঞ্চুরি। একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেছেন ৬১ রানের ঝলমলে ইনিংস। জশ লিটলের বলে আউট হওয়ার আগে ৭০ বলের ইনিংসটি সাজান ৬ বাউন্ডারিতে।