সান্ত্বনার জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াল বাংলাদেশ
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচটি ইংল্যান্ডের জন্য ছিল কেবলই নিয়ম রক্ষার ম্যাচ। তবে বাংলাদেশের জন্য এটা ছিল মান বাঁচানোর লড়াই। ইংল্যান্ডকে ৫০ রানে হারিয়ে টাইগাররা পেল সান্ত্বনার জয়। দারুণ এ জয়েই হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে রেহাই পেল তামিম বাহিনী।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে আগে ব্যাটিং করতে নেমে সম্ভবনা জাগিয়েও বড় সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। সাকিব-মুশফিকের ব্যাটে ভর করে ৪৮.৫ ওভারে ২৪৬ রানে অলআউট হয় টাইগাররা।
সোমবার (৬ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জোড়া ধাক্কা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। ইংলিশ পেসার স্যাম কারানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে টানা দ্বিতীয় ইনিংসে ‘গোল্ডেন ডাক’ হয়ে ফিরেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার।
এরপর ক্রিজে থিতু হওয়ার চেষ্টা করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ব্যক্তিগত ১১ রানে কারানের বলে ক্যাচ আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তামিম।
মাত্র ১৭ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চরম বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। তবে বিপর্যয়ে থাকা দলকে টেনে তুলেন মুশফিক ও শান্ত। ব্যক্তিগত ৫৩ রানে শান্ত রান আউট ফিরলেও এক প্রান্ত আগলে রাখেন মুশফিক। তবে নিজের সেই ইনিংসটিকে শতকে পরিণত করতে পারেননি তিনি। ব্যক্তিগত ৭০ রানে আদিল রশিদের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
মুশফিকের বিদায়ের পর একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে একাই টেনে নেন সাকিব। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৭১ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শেষদিকে আফিফ, মিরাজরা ব্যাট হাতে দ্রুত রান তুলতে ব্যর্থ হলে বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি টাইগাররা।
৪৮.৫ ওভারে অলআউট ২৪৬ রানে। সহজ জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে নবম ওভারে ইংল্যান্ডের প্রথম উইকেট পতন। পরের ওভারেও সফল বাংলাদেশ। এবার সাজঘরে ওয়ান ডাউনে নামা ডেভিড মালান। পেসার ইবাদতের বলে মিডঅনে ক্যাচ দেন তিনি। ১০ ওভারে ২ উইকেটে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৫৫।
দশম ওভারের প্রথম বলেই চমক দেখান সাকিব আল হাসান। সরাসরি বোল্ড করে দেন ইংলিশ ওপেনার জেসন রয়কে। তিন ওভারে তিন উইকেট হারানো ইংল্যান্ডকে পথ দেখাচ্ছিলেন কুরান ও ভিঞ্চ জুটি। শেষ পর্যন্ত ৮১ বলে ৪৯ রানের এই জুটি ভাঙতে পারে বাংলাদেশ।
মিরাজের বলে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন স্যাম কুরান। ৪৯ বলে এক ছক্কা ও এক চারে ২৩ রান করেন তিনি। ১০৪ রানে পড়ল ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট। এরপর আবার সাকিব ঝলক। ফেরান ক্রমশ জমে যাওয়া জেমস ভিঞ্চকে। ১২৭ রানে ইংল্যান্ডের পঞ্চম উইকেটের পতন।
বল হাতে এরপর চমক দেখান পেসার ইবাদত হোসেন। দারুণ বোলিংয়ে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলীকে। ৫ বলে মাত্র ২ রান করেন মঈন। স্বীকৃত ব্যাটারদের মধ্যে ছিলেন জস বাটলার। ইংলিশ অধিনায়ককে ফেরান স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ক্রিস ওকস ৩৪ রান করে সাজঘরে ফিরলে পরাজয় ত্বরান্বিত হয় সফরকারীদের।
বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে চারটি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। তাইজুল ও ইবাদত দুটি, মোস্তাফিজ ও মিরাজ নেন একটি করে উইকেট।