ফাইনালের আগে আর্জেন্টিনার শিবিরে শঙ্কার মেঘ, কারণ মেসির চোট

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’
  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপ ২০২২-এর ফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্স। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পয়িনদের হারিযে জীবনের শেষ বিশ্বকাপটি জিততে মরিয়া লিওনেল মেসি। তাঁর দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্সের ওপর ভর করেই দিয়েগো মারাদোনার দেশ তৃতীয় বার বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছে। তবে, হাইপ্রোফাইল এই ম্যাচে নামার আগে লিওনেল মেসির হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট চিন্তা বাড়াচ্ছে আর্জেন্টিনার শিবিরে।

বৃহস্পতিবার আর্জেন্টিনার প্রথম দলের ফুটবলাররা অনুশীলন করেননি। মেসির চোট আর্জেন্টিনার শিবির এবং টিম ম্যানেজমেন্টের চিন্তা বাড়িয়েছে। লিওনেল মেসি হ্যামস্ট্রিং-এ প্রথম চোট পান নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে। সেই চোট নিয়েই ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে তিনি খেলেছেন। সেই সময়ে চোট খুব বেশি না হলেও ক্রোয়েশিয়ার পর হ্যামস্ট্রিং-এর চোট বাড়ে তাঁরে।

বিজ্ঞাপন

নেদারল্যান্ডস এবং ক্রোয়েশিয়া দুই দলের বিরুদ্ধে মেসির কাঁধে ভর করে বৈতরনী পার করেছে আর্জেন্টিনা। ক্রোটদের বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে জেতার ম্যাচে বারবার হ্যামস্ট্রিংয়ে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছিল মেসিকে।

মেসির চোটে কারণে চিন্তায় রয়েছেন আর্জেন্টিনার সমর্থকেরাও। যদিও মেসির অনুশীলনে অংশ না নেওয়াটা সেই ভাবে দেখতে গেলে বড় কিছু চিন্তার বিষয় নয় কারণ সেমিফাইনালে প্রথম একাদশে খেলা ফুটবলারদের এই ম্যাচে বিশ্রাম দিয়েছিলেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। ফুট মার্সিডোর রিপোর্ট অনুযায়ী, মেসি হ্যামস্ট্রিং-এ চোট অনুভব করছেন, যদিও তাঁকে ফিট মনে করা হচ্ছে।

ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে নামা পাওলো ডি বালা এবং অ্যাঞ্জেল কোরিয়া এই দিনের অনুশীলনে অংশ নিয়েছেন। গোড়ালির চোট এখনও পুরোপুরি সেরে ওঠেনি পাপু গোমেজের এবং ফাইনালে তাঁর মাঠে নামার সম্ভাবনা তেমন নেই। এক ম্যাচের নির্বাসন কাটিয়ে প্লেয়িং ইলেভেনে মার্কোস আকুনা এবং গঞ্জালো মন্টিয়াল খেলতে পারবেন।

বার্সেলোনার কিংবদন্তি লিওনেল মেসি নিজের পঞ্চম বিশ্বকাপটি খেলছেন এই বার। এখনও পর্যন্ত ৫টি গোল তিনি করেছেন এবং ৩টি গোল করিয়েছেন। মেসির নেতৃত্বে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছল আর্জেন্টিনা। ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন নিয়ে মাঠে রিও ডি জেনেইরোতে নেমেছিলেন লিওনেল মেসি কিন্তু সে বার চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি আর্জেন্টিনা।