বেঞ্চের গভীরতা পরখ করতে নামছে ব্রাজিল
‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’সার্বিয়া, সুইজারল্যান্ড ও ক্যামেরুনকে নিয়ে বিশ্বকাপে ব্রাজিলের গ্রুপ। ইউরোপের দেশ দুটির সঙ্গে ম্যাচ হয়ে গেছে, বাকি কেবল আফ্রিকার দেশটির সঙ্গে। দুই ম্যাচ থেকেই জয় তুলে নিয়েছে সেলেসাওরা। বিশ্বকাপে আরও একবার নকআউট পর্বে পৌঁছে গেছে রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় ক্যামেরুনের বিপক্ষে মাঠে নামবে ব্রাজিল।
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সার্বিয়ার বিপক্ষে রিচার্লিসনের জোড়া গোলে ২-০ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। ওই ম্যাচে গোড়ালির ইনজুরিতে পড়েন দলের সেরা তারকা নেইমার জুনিয়র। এছাড়াও ইনজুরিতে পড়েন ডিফেন্ডার দানিলো। এ দুজনকে ছাড়াই পরের ম্যাচ সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নেমে কাসেমিরোর একমাত্র গোলে জিতেছে ব্রাজিল।
প্রথম দুই ম্যাচ থেকে শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর অনেকটাই নির্ভার কোচ তিতে। বেঞ্চের শক্তি ও গভীরতা পরখ করতে ক্যামেরুনের বিপক্ষে শেষ রাউন্ডের ম্যাচে আনতে যাচ্ছেন ব্যাপক পরিবর্তন।
নিয়মিত অধিনায়ক থিয়েগো সিলভার পরিবর্তে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বর্ষীয়ান ডিফেন্ডার দানি আলভেজকে। গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার প্রথম দুই ম্যাচে কোন পরীক্ষার সম্মুখিন না হলেও এখানেও আসছে পরিবর্তন। তার পরিবর্তে গোলবারের নিচে দাঁড়াবেন ম্যানচেস্টার সিটির গোলরক্ষক এদেরসন।
মিডফিল্ডে ফাবিনহো এবং আক্রমণভাগে অ্যান্থনি আর গ্যাব্রিয়েল জেসুস আসতে পারেন মূল একাদশে।
ব্রাজিল যখন মূল একাদশে বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে তখন ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এনিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন কোচ তিতে। অন্য গ্রুপের এক ম্যাচে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স মূল একাদশের নয়জনকে বাদ দিয়ে নতুনদের নামিয়ে দিয়েছিলেন তিউনিসিয়ার বিপক্ষে। সেই ম্যাচে এক গোলে হেরেছে ফ্রান্স। প্রশ্নের উত্তর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই দিলেন তিতে।
ব্রাজিল কোচের ভাষ্য, দলে বদল আসার মানে এই না যে আমরা দুর্বল দল হয়ে যাব। স্কোয়াডে ২৬ জনেরই বিকল্প রয়েছে, আত্মবিশ্বাস ঝরল কোচের কণ্ঠে।
বিশ্বকাপ ফুটবলে ব্রাজিল গ্রুপ পর্বে টানা ১৭ ম্যাচ অপরাজিত, যার মধ্যে ১৪টি জয় আর তিনটি ড্র। বিশ্বকাপে ২৯টি গ্রুপ ম্যাচের মধ্যে সর্বশেষ হেরেছিল ১৯৯৮ সালে ফ্রান্স বিশ্বকাপে।