স্পেন-জাপানের ম্যাচে কি আরেক ‘অঘটন’?
‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’জাপানের সঙ্গে গ্রুপ পর্যায়ের শেষ রাউন্ডের ম্যাচ খেলার আগেই সংবাদ সম্মেলনে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রসঙ্গ এসেছিল স্পেনের কোচ লুইস এনরিকের সামনে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোতে জয়ের পর কোয়ার্টার ফাইনালে গেলে মুখোমুখি হতে পারে ব্রাজিল ও স্পেন। এই যখন হিসাব তখন স্পেনের কোচ বলছেন, ব্রাজিলকে কোয়ার্টার ফাইনালে এড়াতে জাপানকে ছাড় দেবে না তার দল।
ব্রাজিল-স্পেনের মুখোমুখি হওয়ার প্রসঙ্গ আসছে তখন যখন পর্যন্ত শেষ ষোলোই নিশ্চিত হয়নি স্পেনের। তবে প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ড্র; এই চার পয়েন্টে ধরা হচ্ছে স্পেনই যাচ্ছে নকআউট পর্বে।
‘ই’ গ্রুপ থেকে নকআউটের দৌড়ে আছে চার দলই। দুই ম্যাচ খেলে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে স্পেন, এরপর ৩ পয়েন্ট নিয়ে পরের দুটি স্থানে আছে জাপান ও কোস্টারিকা, এবং ১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে জার্মানি।
পয়েন্ট তালিকার হিসাব ও বিশ্বকাপের এবারের পারফরম্যান্সে এগিয়ে স্পেন। সম্ভাবনা আছে জাপান ও জার্মানির। জার্মানিকে হারিয়ে ‘অঘটন’ ঘটাতে পারলে কোস্টারিকা চলে যাবে নকআউট পর্বে। আবার জাপানও স্পেনকে হারিয়ে আরেক ‘অঘটনের’ জন্ম দেবে?
শেষ ষোলোতে উন্নীত হওয়ার দৌড়ে চার দলের মধ্যে যখন নানা হিসাব তখন স্পেনকে ড্র করলেও চলবে। জাপান ড্র করলে এবং জার্মানি জিতলে গোল ব্যবধানের হিসাব চলে আসবে সামনে। তবে সহজ সমীকরণ হলো জাপানের বিপক্ষে স্পেন জিতলে এবং কোস্টারিকার বিপক্ষে জার্মানি প্রত্যাশিত জয় পেলে দুই দলই শেষ ষোলো খেলবে।
প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকাকে ৭ গোলে বিধ্বস্ত করে এগিয়ে আছে স্প্যানিশরা। পরের ম্যাচে তারা জার্মানির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে। অন্যদিকে, জাপান তাদের প্রথম ম্যাচে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে ২-১ গোলে পরাজিত করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে কোস্টারিকার কাছে একমাত্র গোলে হেরে যায়।
ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে স্পেন কোচ লুইস এনরিকে বলেছেন, তারা জাপানের বিপক্ষে ড্র করার জন্য খেলবেন না। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলে এবং সব ঠিক থাকলে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাতেও ভীত নন এনরিকে। ব্রাজিলকে কোয়ার্টারে এড়ানোর পরিকল্পনা আছে কিনা এমন প্রশ্নে এনরিকে বলেছেন, ‘আপনারা কী ভাবছেন, ম্যাচে কী ঘটবে তা ধারণা করে নিয়ে গ্রুপে দ্বিতীয় হওয়ার জন্য খেলব!’
বিশ্বফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে জাপান-স্পেন এই প্রথম মুখোমুখি হচ্ছে। তার আগে ২০০১ সালে এক প্রীতি ম্যাচে জাপানকে ১-০ গোলে হারায় স্পেন।
১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপে অভিষেক হয় জাপানের। পরের ছয়টি আসরেই বাছাই পর্ব পেরিয়ে বিশ্বকাপ খেলছে তারা। বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় তিনবার খেলেছে এশিয়ার দেশটি। গত বিশ্বকাপেও শেষ ষোলোতে খেলেছিল জাপান।