দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বিধ্বস্ত টাইগাররা
তার আগে দুরন্ত ব্যাটিং ঝলক দেখালেন রিলি রোসো। হাঁকালেন দাপুটে এক সেঞ্চুরি। এবারের বিশ্বকাপে এটাই প্রথম শতক। তার শতকের ওপর ভর করে বাংলাদেশের সামনে ২০৬ রানের হিমালয়সম লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দল আল নাসর সৌদি কিংস কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে। আল তাউনের বিপক্ষে ১-০ গোলের এই হারটা ঠেকানোর সুযোগ এসেছিল খোদ রোনালদোর সামনে। তবে তিনি তা কাজে লাগাতে পারেননি। পেনাল্টি মিস করেছেন শেষ মুহূর্তে। আর তাতেই বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে আল নাসরের।
পাঁচ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী সৌদি আরবের ক্লাবটিতে যোগ দিয়েছেন গেল বছরের জানুয়ারিতে। প্রায় দুই বছরের কাছাকাছি কাটিয়ে দিলেও এই ক্লাবে এখন পর্যন্ত কোনো বড় শিরোপা জিততে পারেননি রোনালদো।
সৌদি আরবের প্রধান নকআউট টুর্নামেন্টের শেষ ষোলতে গত মঙ্গলবার খেলতে নেমেছিল দুই দল। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে ৭০ মিনিটের মাথায় গোল পেয়ে যায় আল তাউন। ওয়ালিদ আল আহমাদের এই গোলেই জয় পায় দলটা।
তবে তিনি নিজেদের বক্সে ফাউল করে আল নাসরকে সুযোগ দিয়েছিলেন ম্যাচে ফেরার। যোগ করা সময়ে তার এই ফাউল পেনাল্টি এনে দেয় আল নাসরকে। ক্লাবটির হয়ে এর আগে ১৮টি পেনাল্টি নিয়ে সফল হয়েছিলেন রোনালদো, তবে এবার হতে পারেননি। তার পেনাল্টি চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
স্তেফান পিওলির অধীনে এটাই প্রথম হার আল নাসরের। ক্লাবটার শিরোপা জয়ের আশা অবশ্য শেষ হয়ে যায়নি। যদিও সৌদি প্রো লিগে তারা আট ম্যাচ পরই লিগের শীর্ষে থাকা আল হিলালের চেয়ে ৬ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েছে। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এলিটে ৩ ম্যাচ থেকে ৭ পয়েন্ট পেয়েছে দলটা।
শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নেমেছিল বাংলাদেশ। মনিকা চাকমা আর ঋতুপর্ণা চাকমার গোলে তা করে দেখিয়েছে কোচ পিটার বাটলারের শিষ্যরা। স্বাগতিক নেপালকে ফাইনালে ২-১ গোলে হারিয়ে জিতেছে সাফ শিরোপা।
দ্বিতীয় মিনিটে পূজা রানার ভুলে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন তহুরা খাতুন। তার শট ক্রসবারে প্রতিহত হয়। ফিরতি চেষ্টায় তার হেডার ঠেকান নেপাল গোলরক্ষক আনজিলা। এর পরের মিনিটেই ছোট একটা ভুল করে বসেছিলেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক রুপনা চাকমাও। যদিও সাবিত্রা ভাণ্ডারি সে সুযোগটা কাজে লাগানোর আগেই সামলে নেন রুপনা। দুটো ভুলই জানান দিচ্ছিল, ফাইনালের স্নায়ুচাপ দুই দলেই ভালোভাবে জেঁকে বসেছে।
ক্রসবার শুরুর দিকে বাংলাদেশের গোলের পথ আগলে দাঁড়িয়েছিল। ১০ মিনিটে নেপালেরও একটা গোলের চেষ্টা আটকে যায় ক্রসবারে। বক্সের বাইরে থেকে আমিশা কারকির একটা শট গিয়ে লাগে ওই পোস্টে। বাংলাদেশ গোল হজম করা থেকে রক্ষা পায় তাতে।
ম্যাচের ১৮ মিনিটে মনিকা চাকমাকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন অমৃতা জইশি। মিনিট চারেক পর দূরপাল্লার শটে গোলের চেষ্টা করে বাংলাদেশ। তবে মাসুরা পারভীনের শট সহজেই আয়ত্বে নেন নেপাল গোলরক্ষক আনজিলা।
২৭ মিনিটে আমিশা কারকি সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে বাংলাদেশ রক্ষণ বিষয়টা সামলে নেয় ভালোভাবেই। ৩৩ মিনিটে নেপাল বক্সের বাইরে সুযোগ আসে বাংলাদেশের সামনে। তবে সফরকারীরা সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। মারিয়া মান্দার শট বারের ওপর দিয়ে চলে যায় বাইরে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে নেপাল আবারও সুযোগ পায়, তবে এবার রাইট উইংয়ে সাবিতার ভুলে নেপাল গোল পায়নি, তিনি পা পিছলে পড়ে গেলে শামসুন্নাহার সিনিয়র বলের দখল নিয়ে নেন।
প্রথমার্ধে সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি কোনো দলই। ফলে গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় শুরুর ৪৫ মিনিট। সব রোমাঞ্চ তোলা থাকে পরের ৪৫ মিনিটের জন্য।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বাংলাদেশ এগিয়ে গিয়েছিল। ৫২ মিনিটে সফরকারীদের দারুণ বিল্ড আপ শেষে সাবিতা রানা মাগারের ভুলে বল গিয়ে পড়ে মনিকা চাকমার পায়ে। তার গোলে ডিফেন্ডিঙ চ্যাম্পিয়নরা এগিয়ে যায়।
তবে সে লিড বাংলাদেশ ধরে রাখতে পারেনি। স্বাগতিক নেপাল জবাব দেয় ৫৫ মিনিটে। প্রীতি রাইয়ের পাস আটকাতে ভুল করেন মাসুরা পারভীন। বল গিয়ে পড়ে আমিশা কারকির পায়ে। গোলরক্ষককে একা পেয়ে বলটা সহজেই জালে জড়ান নেপালি এই ফরোয়ার্ড।
এরপর থেকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় সফলতার খুব কাছাকাছি সবচেয়ে বেশি গেছে নেপালই। সাবিত্রা ভাণ্ডারী, আমিশা কারকিদের একাধিক শট ঠেকিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে রাখেন রুপনা চাকমা।
৭৬ মিনিটে মারিয়া মান্দার দারুণ এক শট লাফিয়ে উঠে এক হাতে সেভ দেন নেপাল গোলরক্ষক আনজিলা। তবে ৮০ মিনিটে আর পেরে ওঠেননি নেপাল গোলরক্ষক। সে গোলে একাধিক ভুল করেছে স্বাগতিকরা। শামসুন্নাহার সিনিয়রের থ্রো ইন থেকে ঋতুপর্ণা চাকমাকে মার্ক করার দায়িত্ব ছিল বদলি খেলোয়াড় আনিতা বেসনেতের। তিনি তা পারেননি, অনেকটা ফাঁকায় থেকে শট নেন ঋতুপর্ণা। তার শট আনজিলার হাতে লেগে জালে। মুহূর্তেই দশরথ রঙ্গশালায় হাজির ১৩০০০ দর্শক স্তব্ধ হয়ে যান রীতিমতো।
শেষ বাঁশি বাজতেই নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের শিরোপা উৎসব। ওদিকে নেপাল টানা ষষ্ঠ বারের মতো নারী সাফের ফাইনালে পোড়ে স্বপ্নভঙ্গের বেদনায়।
সাফের ফাইনালে আজ মুখোমুখি বাংলাদেশ আর নেপাল। এই ফাইনালের প্রথমার্ধে লড়াই হয়েছে সমানে সমানে। দুই দলের সামনেই এসেছে সুযোগ। তবে কোনো দলই তা কাজে লাগাতে পারেনি। ফলে ০-০ সমতায় থেকে প্রথমার্ধ শেষ হয়েছে এই ফাইনালের।
দ্বিতীয় মিনিটে পূজা রানার ভুলে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন তহুরা খাতুন। তার শট ক্রসবারে প্রতিহত হয়। ফিরতি চেষ্টায় তার হেডার ঠেকান নেপাল গোলরক্ষক আনজিলা। এর পরের মিনিটেই ছোট একটা ভুল করে বসেছিলেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক রুপনা চাকমাও। যদিও সাবিত্রা ভাণ্ডারি সে সুযোগটা কাজে লাগানোর আগেই সামলে নেন রুপনা। দুটো ভুলই জানান দিচ্ছিল, ফাইনালের স্নায়ুচাপ দুই দলেই ভালোভাবে জেঁকে বসেছে।
ক্রসবার শুরুর দিকে বাংলাদেশের গোলের পথ আগলে দাঁড়িয়েছিল। ১০ মিনিটে নেপালেরও একটা গোলের চেষ্টা আটকে যায় ক্রসবারে। বক্সের বাইরে থেকে আমিশা কারকির একটা শট গিয়ে লাগে ওই পোস্টে। বাংলাদেশ গোল হজম করা থেকে রক্ষা পায় তাতে।
ম্যাচের ১৮ মিনিটে মনিকা চাকমাকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন অমৃতা জইশি। মিনিট চারেক পর দূরপাল্লার শটে গোলের চেষ্টা করে বাংলাদেশ। তবে মাসুরা পারভীনের শট সহজেই আয়ত্বে নেন নেপাল গোলরক্ষক আনজিলা।
২৭ মিনিটে আমিশা কারকি সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে বাংলাদেশ রক্ষণ বিষয়টা সামলে নেয় ভালোভাবেই। ৩৩ মিনিটে নেপাল বক্সের বাইরে সুযোগ আসে বাংলাদেশের সামনে। তবে সফরকারীরা সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। মারিয়া মান্দার শট বারের ওপর দিয়ে চলে যায় বাইরে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে নেপাল আবারও সুযোগ পায়, তবে এবার রাইট উইংয়ে সাবিতার ভুলে নেপাল গোল পায়নি, তিনি পা পিছলে পড়ে গেলে শামসুন্নাহার সিনিয়র বলের দখল নিয়ে নেন।
প্রথমার্ধে সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি কোনো দলই। ফলে গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় শুরুর ৪৫ মিনিট। সব রোমাঞ্চ তোলা থাকে পরের ৪৫ মিনিটের জন্য।
দুটি প্রশ্ন। প্রশ্নটা গেল সাংবাদিকদের কাছ থেকে। উত্তর দাতা বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
প্রথম প্রশ্ন: সাকিব কি খেলবেন আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে?
দ্বিতীয় প্রশ্ন: তামিম ইকবাল কি জাতীয় দলে ফিরছেন?
দুটো প্রশ্নেরও সরাসরি উত্তর দিলেন ফারুক আহমেদ। কোনো রকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব না ঘোরপ্যাঁচে না গিয়ে যা বললেন তাতে বিষয়টা স্পষ্ঠ; সাকিব আছেন, তামিম নেই!
শুনি কি বলেছেন বোর্ড সভাপতি।
সাকিবের বিষয়ে ফারুক বলেন, ‘আমি যতোদুর জানি সাকিব আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজের জন্য অ্যাভেইলেবল। যেহেতু এখনো দল দেয়নি তার মানে অ্যাভেইলেবল আছে সে।’
সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ দলের হয়ে সর্বশেষ খেলেছেন ভারত সফরে টেস্ট সিরিজে। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট তিনি মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এসে খেলার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। শুরুতে মিরপুরে সাকিবের জন্য বিদায় মঞ্চ সাজানোর একটা পরিকল্পনাও স্থির হয়ে গিয়েছিল প্রায়। কিন্তু শেষ সময়ে এসে পরিস্থিতি বদলে যায়। পক্ষে-বিপক্ষে গা জোয়ারিতে পরিকল্পনা পাল্টে ফেলতে হয়। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বিসিবি সাকিবকে এই সিরিজে খেলতে আসতে নিষেধ করে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি ছিলেন সাকিব আল হাসান। সেই আন্দোলন চলাকালে সাকিব নীরব থাকলেও পরে সেই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে কিছুদিন আগে ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাসও দেন সাকিব। কিন্তু তা সত্তে¡ও তার প্রতি সাধারণের জনরোষ কমেনি। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে এখন দেশে ফিরতে অনুৎসাহিত করে বিসিবি। সাকিবও নিজেও স্পোর্টস বাংলাকে জানান, ‘আমার নিরাপত্তার জন্য সবাই আমাকে আসতে নিষেধ করেছে। তাই এখন দেশে আসছি না।’
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজটা হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ। বিদেশের মাটিতে শেষ দুটি সিরিজে সাকিব বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন। এই দুটি সিরিজ ছিল যথাক্রমে পাকিস্তান ও ভারতে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে আমিরাতেও তাই খেলায় বাড়তি কোনো সমস্যা নেই। তাই এই সিরিজে তাকে দেখা যেতেই পারে। নির্বাচকরাও বলেছেন, তাদের কাছে ফিজিওর যে রিপোর্ট রয়েছে তাকে সাকিব ফিট।
ফিরি দ্বিতীয় প্রশ্নে তামিম ইকবাল প্রসঙ্গে। গত ডিসেম্বরে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করার পর থেকে তামিম ইকবাল বাংলাদেশের হয়ে কোনো সিরিজে নেই। বিপিএল খেলেছেন। কিন্তু আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে নেই তিনি প্রায় বছর খানেকের বেশি সময় ধরে। মাঝে তাকে ভারতে টেস্ট সিরিজে পুরোটা সময় জুড়ে ধারাভাষ্যকার হিসেবেও দেখা গেছে। সেই তামিম ইকবাল আবার বাংলাদেশ দলে ফিরছেন- এমন একটা সম্ভাবনার বাতাস উড়ানো হচ্ছে। সেই প্রশ্নে বিসিবি সভাপতি উত্তরটা খুব বেশি বড় করেননি। ফারুক আহমেদ শুধু জানিয়েছেন, ‘এই মুহূর্তে এমন কোনো নিউজ আমার কাছে নেই।’
বিসিবি সভাপতির উত্তরটা বিশ্লেষণ করলে কি সমাধান পেলেন সেটা জানতে শিরোনামটা জোরে উচ্চারণ করেন। আপনার কৌতুহলের উত্তর নিশ্চয়ই পেয়ে গেছেন!