আইসিইউ’র ভারতীয় চিকিৎসককে রিজওয়ানের জার্সি উপহার
শ্বাসরুদ্ধকর সেমি-ফাইনাল ম্যাচের আগে গুরুতর অসুস্থ ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে শুয়ে ছিলেন হাসপাতালের আইসিইউ বেডে। স্নায়ুচাপে ভরা শেষ চারের লড়াইয়ের আগে দুই রাত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রেই (আইসিইউ) কাটাতে হয়েছে পাকিস্তানের এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানকে।
সেখানে চিকিৎসা দিয়ে রিজওয়ানকে যিনি সুস্থ করে তুলেছেন, তিনি একজন চির বৈরী প্রতিবেশী দেশ ভারতের চিকিৎসক। ভারতীয় পালমোনোলজিস্ট শাহির জাইনালই ছিলেন তার চিকিৎসার দায়িত্ব।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠার লড়াইয়ের জন্য রিজওয়ানকে দ্রুত সুস্থ করে তোলায় চিকিৎসক শাহির জাইনালের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলেননি রিজওয়ান। সঙ্গে দিয়েছেন ভালোবাসার অমূল্য এক উপহার। নিজের অটোগ্রাফ সম্বলিত একটি বিশ্বকাপ জার্সি।
ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে ছিলেন হাসপাতালের বেডে। কিন্তু তারপরও শেষ চারে খেলার জন্য রিজওয়ান রীতিমতো হয়ে উঠেছিলেন পাগলপারা। শত কষ্ট জলাঞ্জলি দিয়ে হলেও খেলার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি ছিলেন পাকিস্তানের এ তারকা ওপেনার। শাহির জাইনালের কথায় মিলল তার প্রমাণ, ‘রিজওয়ান প্রচণ্ড আগ্রহী ছিল, আর সৃষ্টিকর্তার প্রতি ছিল তার প্রবল বিশ্বাস। সেমি-ফাইনাল খেলার বিষয়ে ও আগ্রহী এবং আত্মবিশ্বাসী ছিল। ক্রীড়াবিদ হিসেবে ওর ফিটনেস এবং সহ্যশক্তি ওর সুস্থ হওয়ার পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে।’
পরে অবশ্য মেডিকেল টিমের ছাড়পত্র নিয়ে শেষ চারে খেলেন রিজওয়ান। ব্যাট হাতে মাঠে নামার পর বোঝাই যায়নি যে রিজওয়ান এতটা অসুস্থ ছিলেন। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের ওপর চড়াও হন। ব্যাট হাতে রীতি তাণ্ডব চালান। ৫২ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় খেলেন ৬৭ রানের দাপুটে এক ইনিংস।
এতে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক বর্ষপঞ্জিতে এক হাজার রান সংগ্রহের কৃতিত্ব দেখান রিজওয়ান। তার আগে ক্রিস গেইলকে হারিয়ে এ স্টার ব্যাটসম্যান গড়েন এক বর্ষপঞ্জিতে টি-টোয়েন্টিতে সর্বাধিক রানের রেকর্ড।