তসলিমা বিতর্কে ফেসবুক-টুইটার বয়কটের আহ্বান ব্রডের
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খেলোয়াড়রা প্রায়ই ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হন।বর্ণবাদী আচরণ থেকে শুরু করে গালিগালাজ সবই হজম করে ফেলেন মাঠের যোদ্ধারা। এতে অনেকে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। যার প্রভাব পড়ে ময়দানের লড়াইয়ে।
হাল আমলের এ উটকো আপদ থেকে বাঁচতে প্রতিবাদে শুরু হয়েছে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে। ফেসবুক-টুইটারের মতো সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার বন্ধ রাখার ঘটনাও ঘটছে।
খেলোয়াড়রা বর্ণবাদের শিকার হওয়ায় ইংলিশ ক্লাব সোয়ানসি ও বার্মিংহাম সিটি এক সপ্তাহ বয়কট করবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। লিভারপুল কিংবদন্তি স্টিভেন জেরার্ডের স্কটিশ ক্লাব রেঞ্জার্সও একই পথে হেঁটেছে। ফরাসি ফুটবল কিংবদন্তি থিয়েরি অঁরি বর্ণবাদী গালির প্রতিবাদে টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে রেখেছেন।
ক্রিকেটার মঈন আলিকে নিয়ে বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের নেতিবাচক টুইটের আগে বর্ণবাদের বিষবাষ্পের শিকার ইংলিশ পেসার জোফরা আর্চার।
ফুটবলের মতো ইংলিশ ক্রিকেটে হতে পারে প্রতিবাদ। ফেসবুক-টুইটারে ঘৃন্য কাজ রুখতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে রেখেছেন স্টুয়ার্ট ব্রড।
ফেসবুক-টুইটার ব্যবহার বন্ধ রাখার প্রস্তাব দিয়ে ইংলিশ পেসার ব্রড বলেন,‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বয়কট করা নিয়ে কথা হওয়া উচিত। শক্ত একটা বার্তা দেওয়া যাবে এতে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আনন্দটা গুটিকয়েক মানুষের জন্য নষ্ট হোক, তা অবশ্যই আপনি চাইবেন না। এসব বন্ধ করতে আমাদের আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে নাকি এসব অ্যাপের প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানকে আরও দায় ও দায়িত্ব নিতে হবে?’
জঘন্য কাজের প্রতিবাদে মনে-প্রাণে কিছু দিনের জন্য ফেসবুক-টুইটার অ্যাপ বন্ধ রাখার পক্ষে ব্রড, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অনেক ভালো দিক আছে। কিন্তু অল্প সময়ের জন্য সেগুলো ব্যবহার বন্ধ করে একটা বার্তা দিতে চাইলে আমি এতে শতভাগ রাজি।’
নেট দুনিয়ায় মঈন আলির হয়রানির শিকার হওয়ার আগে জোফরা আর্চার এর ভুগান্তির প্রসঙ্গ টেনে ব্রড বলেন, ‘জোফরাকে যে বার্তা পাঠানো হয়েছে, সে বার্তা আমার সতীর্থদের মধ্যেই যে কেউ পেতে পারে। এটা তো অবিশ্বাস্য! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা বলা হচ্ছে। তেমন কিছু রাস্তায় কেউ কাউকে বললে তার ফল তো নিশ্চয়ই ভালো হবে না। তাই না?’
মঈন আলিকে নিয়ে তসলিমা বিতর্কিত টুইট বার্তায় লিখেছিলেন, ‘মঈন আলি ক্রিকেট না খেললে হয়তো সিরিয়ায় চলে যেতেন, যোগ দিতেন আইএসআইএস'য়ে।’
সঙ্গে সঙ্গে সেটা ভাইরাল হয়ে যায় নেট দুনিয়ায়। তাতেই বিতর্কের শুরু। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে সমালোচনার ঝড়। তসলিমার সেই টুইট মেনে নিতে পারেননি ক্রীড়া অনুরাগী থেকে শুরু করে ইংলিশ ক্রিকেটাররা। তসলিমার প্রতি তোপ দাগেন রাগে ফেটে পড়া জোফরা আর্চার, বেন ডাকেট, স্যাম বিলিংস ও সাকিব মাহমুদরা। কড়া জবাব দেন মঈনের বাবা মুনির আলিও।