শ্রীলঙ্কায় জিততে চাই আমরা: সুজন
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সময়টা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে হেরেছে টানা ছয় ম্যাচ। শুধু তাই নয়। সর্বশেষ ৮ ম্যাচ খেললেও জয়ের দেখা নেই টাইগারদের সামনে। শ্রীলঙ্কায় এবার জয় খরা কাটাতে চায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এনিয়ে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার আগে দলের ওপর পূর্ণ আস্থার কথাই জানালেন বাংলাদেশ দলের টিম লিডার খালেদ মাহমুদ সুজন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চার দিন ভালো খেলেও হেরে যায় টাইগাররা। এবার আর সেই ভুল করতে চায় না দল। মনোযোগী হয়ে সেশন বাই সেশন খেলে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সুজন, ‘আমরা অবশ্যই জিততে চাই। সেরা ক্রিকেট খেলতে চাই। যে দল ভালো খেলবে তারাই জিতবে। পাঁচ দিনের খেলায় সেশন বাই সেশন ধরে আগাতে হবে। চট্টগ্রাম টেস্টে (ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে) আমরা চার দিন আধিপত্য বিস্তার করেও হেরে গেছি, এমনটা আর করতে চাই না। দীর্ঘ সময় মনোযোগ ধরে রাখতে চাই।’
শ্রীলঙ্কার কন্ডিশন, আবহাওয়া, উইকেট সবই টাইগারদের চেনা। তাই কোনো সমস্যা দেখছেন না সুজন। তার মতে, নিজেদের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ক্রিকেটাররা সেরা পারফরম্যান্স উজাড় করে দিলে সাফল্য ধরা দিবেই, ‘লঙ্কান কন্ডিশনটা আমাদের জানা। সেখানে এখন গরম বেশি। উইকেটটা ভালো থাকে। শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনে শ্রীলঙ্কা বেশ শক্ত প্রতিপক্ষ। কিন্তু আমরা স্কিলে পিছিয়ে নেই, ভালো দল। আমরা যদি সেরা ক্রিকেট খেলতে পারি। সব কিছু ঠিক রাখতে পারি। তবে আশা করি ভালো করব।’
নিউজিল্যান্ডে দল ভালো খেলতে পারেনি ঠিকই। কিন্তু এবার মুমিনুলদের মিশন শ্রীলঙ্কায়। ভিন্ন দেশ। ভিন্ন কন্ডিশন। প্রতিপক্ষও আলাদা। তাই দুরন্ত কিছুরই আশায় বুক বাঁধছেন বিসিবি পরিচালক সুজন, ‘যদিও আমরা সর্বশেষ টেস্টে ভালো করতে পারিনি। তবে আমাদের সামর্থ্য আছে। নিউজিল্যান্ডেও ভালো খেলতে পারিনি। কিন্তু শ্রীলঙ্কায় আলাদা পরিবেশে খেলব। আগেও খেলেছি, সেখানকার কন্ডিশনটা আমাদের চেনা। আমরা চেষ্টা করব আমাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে। আমরা যদি সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারি। অবশ্যই ভালো ফল পাব।’
শ্রীলঙ্কার মাঠে ভালো ফল করতে কোনো বিশেষ ক্রিকেটারের ওপর নির্ভর করলে হবে না। জয় ছিনিয়ে নিতে টাইগারদের খেলতে হবে দলীয়ভাবে, মাঠে লড়তে হবে একসঙ্গে। সুজনের দৃষ্টিতে, চমৎকার কিছু করতে চাইলে দলীয় পারফরম্যান্সের কোনো বিকল্প নেই, ‘খেলোয়াড়রা ফিট। মাঠে চেষ্টাও করে। পারফরম্যান্সটা কেন হচ্ছে না- সেটি বড় ভাবনার বিষয়। দল হিসেবে খেলতে হবে আমাদের। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স অনেক দেখেছি আমরা। এখনই সময় বাংলাদেশের দল হিসেবে খেলার।’
অভিজ্ঞতার ঝুলি যাদের বড়। তাদের কাঁধে চাপটা বেশি থাকবে তা হতে পারে না। বরং সুজনের কাছে ময়দানের লড়াইয়ে সিনিয়রদের সঙ্গে তরুণ ক্রিকেটারদের দায়িত্বও সমান, ‘তরুণ বলি না আমি। সবাই সমান আমার কাছে। তামিম, মুশফিক, মুমিনুলের অভিজ্ঞতা বেশি হলেও দায়িত্ব সবার সমান। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে নামলে দায়িত্বটা সবারই সমান। ভালো খেলার দায়িত্ব সবারই।’
ক্রিকেটারদের অনুপ্রেরণা দিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মিরাজের জাদুকরী পারফরম্যান্সের কথা স্মরণ করিয়ে দেন সুজন, ‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনবদ্য পারফরম্যান্স দেখিয়েছে মিরাজ। এটা সবারই মনে রাখতে হবে। উদাহরণ হতে পারে মিরাজ। তরুণ বয়সেই মিরাজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশকে টেস্ট জিতিয়েছে। সব ক্রিকেটারের মধ্যে আছে এই সামর্থ্য। এটা মাথায় রেখেই পজিটিভ, আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে হবে আমাদের।’