সাকিব-মুস্তাফিজ ১০-১২টা হাত নিয়ে খেলেন না: মুমিনুল
সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। হাতে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার থাকতেও মাঠের লড়াইয়ে পাচ্ছে না টাইগাররা। পাচ্ছে না তারকা পেসার মুস্তাফিজকে। আইপিএল খেলার জন্য দুজনেই এখন ভারতে। নেতৃত্ব পাওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র এক টেস্টের জন্য সাকিবকে পেয়েছিলেন মুমিনুল। তবে চোটের জন্য পুরো ম্যাচটাতে পারফর্ম করতে পারেননি এ ক্রিকেট মহাতারকা।
দুই ক্রিকেট সুপারস্টারকে ছাড়াই লঙ্কানদের বিপক্ষে লড়তে হবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। সাকিব ছাড়া কাজটা খুবই কঠিন। তার অনুপস্থিতি সব সময় দলকে ভোগায়। কিন্তু এতে অবশ্য কোনো দুশ্চিন্তা ভর করছে না টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুলের কপালে। দলে যারা আছেন তাদের ওপর পুরো আস্থা রয়েছে তার। বর্তমান দল নিয়েই ভালো পারফরম্যান্সের স্বপ্ন গড়ছেন তিনি।
আগামীকাল সোমবার, ১২ এপ্রিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চার্টার্ড ফ্লাইটে ৪১ জনের বিশাল বহর নিয়ে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে ক্রিকেটাররা। দুই টেস্ট লেখতে যাওয়ার আগে বাড়তে পারে সফর সঙ্গীর সংখ্যাটা। চ্যালেঞ্জে ভরা সিরিজটি সামনে রেখে আজ রোববার, ১১ এপ্রিল মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে নানা প্রশ্নের উত্তর দিলেন মুমিনুল।
সাকিব-মুস্তাফিজ না থাকলেও চিন্তায় নেই মুমিনুল। টিম হয়ে খেলাটাই এখন তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তেমন সুরই বেরোল দলনেতার কণ্ঠ থেকে, ‘এমন নয় যে সাকিব ভাই, মুস্তাফিজ না খেললে দলের ভালো ফল আসবে না। খেলোয়াড় তো আরও আছে। ওনাদের তো ১০-১২টা হাত নেই। বাকিদেরও ১০-১২টা হাত নেই। মনে হয় না দলে এর প্রভাব পড়ে। আমরা দল হিসেবে খেলতে পারছি না। এ কারণে ইতিবাচক ফল হচ্ছে না। এছাড়া আর কিছুই না।’
সাকিব-মুস্তাফিজ না থাকাটাকে দলের অন্যদের জন্য পারফর্ম করার সুযোগ হিসেবে দেখছেন টেস্ট ক্যাপ্টেন, ‘সাকিব ভাই নেই। এমনো হতে পারে কোনো সিরিজে হয়তো ২-৩ জন সিনিয়র ক্রিকেটার থাকবে না। যারা খেলবে তাদের জন্য ভালো একটা সুযোগ। আমাদের এভাবেই প্রস্তুতি নেয়া ভালো।’
শ্রীলঙ্কা সফরের দলে থাকা অনেক ক্রিকেটার জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) দুই রাউন্ডে খেলেছেন। লাল বলের ক্রিকেটের সঙ্গে তারা নিজেদের খানিকটা হলেও মানিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু নিউজিল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফেরা ক্রিকেটারদের জন্য দীর্ঘতম সংস্করণে মানিয়ে দেওয়া কষ্টকর হবে। দলের প্রস্তুতি নিয়ে এমনটাই মানছেন মুমিনুল, ‘প্রস্তুতি খুব ভালো হয়েছে, ব্যাপারটা এমন নয়। যারা লাল বলের মোকাবেলা করেছে তাদের জন্য ভালো। কিন্তু নিউজিল্যান্ড থেকে আসা ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে মানিয়ে নিতে হবে।’
লঙ্কান কন্ডিশনে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জটা মূলত ব্যাটসম্যানদের। কেননা পাল্লেকেলের বাউন্সি উইকেটে দুরন্ত ব্যাটিং পারফরম্যান্সের ওপরই নির্ভর করবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের ভাগ্য। এ নিয়ে তারকা টাইগার ব্যাটসম্যান বলেন, ‘ব্যাটিংটা মহাগুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে। গত কয়েক টেস্টে আমরা প্রত্যাশা মাফিক ব্যাটিং দেখাতে পারিনি। শ্রীলঙ্কায় রান তোলাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাবে।’
শুরুতেই যে তরুণরা ভালো খেলবে ব্যাপারটা তেমন নয়। অবশ্য নিজেদের চেনানোর জন্য এটাই সুবর্ণ সুযোগ। তবে খারাপ করলেও উঠতি ক্রিকেটারদের পাশেই থাকবেন মুমিনুল, ‘একজন জুনিয়র নিয়ে খেললে সে সবসময় ভালো কিছু করার চেষ্টা করবে। দেশের জন্য অবদান রাখতে চাইবে। এ জন্যই সে খেলে। সে সময় তাকে সমর্থন দেয়া উচিত। তরুণরা পুরোপুরি প্রস্তুত হলেও মাঝে-মধ্যে ব্যর্থ হয়। সে সময় তাদের সমর্থন দেয়াটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’