মঈনকে নিয়ে তসলিমা নাসরিনের বিতর্কিত টুইটে সমালোচনার ঝড়

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মঈনকে নিয়ে 'রসিকতা' করে বিপাকে তসলিমা নাসরিন

মঈনকে নিয়ে 'রসিকতা' করে বিপাকে তসলিমা নাসরিন

ধর্মপ্রাণ মুসলমান মঈন আলির পক্ষে জার্সিতে মদ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের লোগো লাগিয়ে মাঠে খেলা সম্ভব নয়। চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে তাই এ ইংলিশ ক্রিকেটার অনুরোধ রেখেছিলেন তার জার্সিতে যেন অ্যালকোহল কোম্পানির বিজ্ঞাপন সাঁটানো না হয়। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজিটি পরে অবশ্য গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া খবরটা অস্বীকার করে। 

এই ব্যাপারটা হয়তো ভালো লাগেনি তসলিমা নাসরিনের। বাজে একটা টুইট করে বসেন। সঙ্গে সঙ্গে সেটা ভাইরাল হয়ে যায় নেট দুনিয়ায়। তাতেই বিতর্কের শুরু। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়। তসলিমার সেই টুইট মেনে নিতে পারেননি ক্রীড়া অনুরাগী থেকে শুরু করে ইংলিশ ক্রিকেটাররা। 

বিজ্ঞাপন

'লজ্জা' ও 'আমার মেয়েবেলা' গ্রন্থের লেখিকা তসলিমা টুইটারে লিখেন, ‘মঈন আলি ক্রিকেট না খেললে হয়তো সিরিয়ায় চলে যেতেন, যোগ দিতেন আইএসআইএস'য়ে।’ এতেই সবাই বেজায় চটেছেন তসলিমার প্রতি। 

ভার্চুয়াল জগতে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া টুইটটা রিটুইট করে মঈনের ইংল্যান্ড দলের সতীর্থ পেসার জোফরা আর্চার তসলিমার মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ছুঁড়েছেন এক বাউন্সার। মনের মাঝে প্রচন্ড ক্ষোভ নিয়ে লিখেন, ‘ঠিক আছেন তো আপনি? মনে হয় না আপনি ঠিক আছেন!’

বিজ্ঞাপন

মঈনের আরেক টিমমেট বেন ডাকেট তো রাগে ফেটে পড়ছেন। নিজের টুইটার অনুসারীদেরকে তসলিমার টুইটার অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে রিপোর্ট জানাতে বলেন, ‘এটাই এই অ্যাপের সমস্যা। মানুষজন যা তা বলার সুযোগ পায়। জঘন্য। এতে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। অনুগ্রহ করে এই অ্যাকাউন্টটির বিরুদ্ধে সবাই মিলে রিপোর্ট করুন।’ বেন ডাকেটের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন স্যাম বিলিংসও। 

ইংলিশ ফাস্ট বোলার সাকিব মাহমুদ কথার বিষ ছুঁড়েছেন তসলিমা নাসরিনের দিকে। এ ক্রিকেট তারকা লিখেন, ‘এটা বিশ্বাস করতে পারছি না, জঘন্য টুইট, জঘন্য ব্যক্তিত্ব’।

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সুর পাল্টে ফেলেছেন ১৯৯৪ সালে দেশত্যাগ করা তসলিমা। রসিকতার ছলে নিজের অপকর্ম ঢাকতে নতুন টুইটও করে ফেলেছেন। ফিরতি টুইটে লিখেন, ‘বিদ্বেষীরা ভালো করেই জানে, মঈন আলিকে নিয়ে আমার টুইটটা কেবল রসিকতা ছিল। কিন্তু তারা এটাকে ইস্যু বানিয়ে ফেলেছে আমাকে অপমান করার জন্য। কারণ আমি মুসলিম সমাজকে ধর্মনিরপেক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। আর আমি ইসলামী ধর্মান্ধতার বিরোধী। মানব সভ্যতার অন্যতম বড় বিয়োগান্তক ঘটনা হলো, অতি নারীবাদী বামরাও নারীবিরোধী ইসলামপন্থীদের সমর্থন করে।’

কিন্তু তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি বিতর্কিত লেখিকা তসলিমার। ফের জোফরা আর্চারের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন। তসলিমার ফিরতি টুইটটা রিটুইট করে আর্চার এবার লিখেন, ‘রসিকতা? কেউ তো হাসছে না, এমনকি আপনিও না। এখন টুইটটা কেবল মুছে ফেলতে পারেন আপনি।’