২৪ ঘণ্টা চিকিৎসাসেবা দিতে নাগরিক ঐক্যের টিম গঠন

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের প্রতিরোধে ২৪ ঘণ্টা বিশেষজ্ঞ দ্বারা চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে টিম গঠন করেছে নাগরিক ঐক্য।

মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সংগঠনটির আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না অনলাইনের মাধ্যমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘নাগরিক ঐক্যের পক্ষ থেকে ২৪ ঘণ্টা করোনাভাইরাসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সনদপ্রাপ্ত গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে কর্মরত দুজন চিকিৎসক ডা. শোয়েব মোহাম্মদ এবং ডা. রুবাইয়া আনোয়ারের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি টিম কাজ করবে।

তিনি জানান, নিম্নোক্ত নম্বর দুটিতে কল করে ২৪ ঘণ্টা সেবা পাওয়া যাবে। ডা. শোয়েব মোহাম্মদকে ফোনে পাওয়া যাবে ০১৭১৯-৪৩৫১৮৫ নম্বরে এবং ডা. রুবাইয়া আনোয়ারকে ০১৭০৬-৩৪০২৫৭ এই নম্বরে কল করে করোনা সংক্রান্ত সহায়তা নেয়া যাবে।

তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সমন্বয়ে একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হবে। যারা প্রয়োজনে পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্টসহ (পিপিই) রোগীদের কাছে গিয়ে সেবা প্রদান করবে।’

মান্না জানান, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে দরিদ্র মানুষদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। ক্রমান্বয়ে ঢাকা মহানগর থেকে শুরু করে জেলা এবং থানা পর্যায়ে এই কর্মসূচি বিস্তৃত করা হবে। নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে বিভিন্ন বাস টার্মিনাল, বাস ডিপো এবং বিভিন্ন পয়েন্টে গণ পরিবহনের বাসগুলো জীবাণুমুক্ত করতে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হবে।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আতিকুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মান্না আরও বলেন, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর যাদের কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনের পরামর্শ দেওয়া হবে, তারা তা পালন করছে কিনা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ পাচ্ছে কিনা- তা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে।

মান্না অভিযোগ করেন, সরকার ২৬ মার্চ থেকে টানা ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে এবং অ-অনুমিতভাবেই বহু মানুষ ঢাকা ছেড়ে যেতে বাস এবং ট্রেনের টিকিট সংগ্রহে লেগে পড়েছেন। এতে সেসব স্থানে যেমন সংক্রমণ এড়ানোর জন্য নূন্যতম দূরত্ব বজায় রাখা অসম্ভব হচ্ছে, তেমনি এই সব মানুষ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে রোগটাকে ছড়িয়ে দেবে।

তিনি বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই মুহূর্তেই পুরো দেশ লক ডাউন করা ছাড়া কোনও বিকল্প নেই বলে আমরা মনে করি। কেবল লক ডাউনই পারে মানুষের ভিড়ে মিশে যাওয়া প্রবাসীদের এবং তাদের কাছে থেকে সংক্রমিত অন্য মানুষদের কাছ থেকে নতুন সংক্রমণকে রোধ করতে।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, ‘লক ডাউনের সময় এই মানুষগুলোর জন্য নূন্যতম খাদ্যের ব্যবস্থা করা যেমন তাদের একটা নিশ্চিত জীবন দিতে পারে তেমনি এই রোগের ট্রান্সমিশন কমিয়ে রাখতে পারে অনেক খানি।