বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক বলেছেন, বাংলাদেশে আগস্টের বিপ্লবের পর, দেশের রাজনৈতিক আকাশকে আবার ঘোলাটে করার চক্রান্ত চলছে। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে এনে শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন এই নেতা।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকাস্থ সেনবাগ ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, বাংলাদেশের মানুষের অনেক প্রত্যাশা আপনার কাছে। আপনি আবু সাঈদের রক্ত, মুগ্ধের রক্তের উপর দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। আপনাকে কেউ বসিয়ে দেয়নি। আপনি নিজের ইচ্ছায় এদেশের ক্ষমতায় আসেননি। আপনি বাংলাদেশের মানুষের কাছে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আপনাকে ক্ষমতায় বসাতে হবে। কারণ আপনিই পারবেন বাংলাদেশে ১৬ বছর ধরে যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, মায়ের বুক খালি করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে।
ড. ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আপনার কাছে জনগণের প্রত্যাশা শুধু ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা নয়। বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন করা দরকার। সেই সরকার গঠনের প্রক্রিয়া আপনাকে অবশ্যই শুরু করতে হবে। তাই আপনি সময় বুঝে অবশ্যই বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করবেন।
জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, আপনার করা সংস্কারগুলোকে বিনষ্ট করে আপনাকে বিতর্কিত করার প্রক্রিয়া চলছে। আপনার সহযোগীরা অত্যন্ত বিজ্ঞবান ব্যক্তি। আমরা তাদেরকে আহ্বান জানাবো, তারা যেন আপনাকে সততার সাথে এমন পরামর্শ দিবেন; যে পরামর্শে মঈন-ফখরুদ্দিনের মতো দুই বছর দেরি করে বাংলাদেশের মানুষের যে আস্থা, সে আস্থা যেন আপনার উপরে নষ্ট না হয়। সেজন্য অবশ্যই উপদেষ্টারা আপনাকে সহযোগিতা করবেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবে কমপক্ষে ৪০টি দল একমত হয়ে আমরা জাতির সামনে উপস্থাপন করেছিলাম। আপনারা সেই ৩১ দফা নেন। সেখানে যদি কিছু পরিমার্জন করা লাগে, সেটা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করুন। এই সংস্কারের জন্য মাসের পর মাস প্রয়োজন হয় না।’
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলার নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের পরিচিত সভায় তিনি এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাজনীতির বাইরে যে সংস্কার আসে, সেটা কল্পনার সংস্কার। সেই সংস্কার বাস্তবতার সাথে অনেক অমিল থাকে। এই কারণে রাজনৈতিক সমস্যা রাজনীতিবিদরা সমাধান করেন।
রাজনৈতিক সমস্যা রাজনীতিবিদরা সমাধান করে জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু আমরা সবাই একমত হয়েছি একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন করব। আমরা যে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি সেগুলো আপনারা দেখেন। আপনারা যারা দায়িত্ব পেয়েছেন একসাথে বসে দেখেন কোন শব্দটা ভুল, কোন বানানটা ভুল। তারপর জাতির সামনে সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেন।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নারীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য একটি শক্তিশালী ফোরাম প্রয়োজন। এই ফোরাম কোন দলীয় ফোরাম। এটি স্বতন্ত্র একটি নারী ও শিশু সংগঠন।
গয়েশ্বর রায় বলেন, দীর্ঘদিন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন খালেদা জিয়া। নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে সময় লাগছে, কিন্তু চূড়ান্ত বিজয়ে তিনি জয়ী লাভ করছেন।
তিনি বলেন, একটা দল নিষিদ্ধ হয়েছে তাদের তো গ্রেফতার হচ্ছে না। সবাই তো আরাম আয়েশে ঘোরাফেরা করছে। ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের পরে জাহাঙ্গীর কবির নানক ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দিয়েছেন এই বক্তব্য মিডিয়ায় প্রচার কতটুকু যোক্তিক?
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার বছরের পর লাখ লাখ কোটি টাকা বাজেট দিয়ে ১৫ বছরে মাত্র ১৮ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করেছে। এই টাকা দেশে আনা প্রয়োজন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যেমন মুকুট দিয়েছি সেটা খুলতে চায় না সম্মান দিতে চায়। কিন্তু আপনারা এটা ভাববেন না কয়েকজন ছাত্র আপনাদের সরকারকে বসিয়েছে।
সেলিমা রহমান বলেন, তারেক রহমান বলেছেন দেশে নারী ও শিশুরা যেভাবে নির্যাতিত হচ্ছে, তাদের রক্ষায় একটি কমিটি করেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা কমিটি করে যেখানে নারী নির্যাতন হয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়েছি।
তিনি আরও বলেন, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক নারী কেন ধানের শীষে ভোট দিয়ে, সে কারণে তাকে ফ্যাসিস্ট সরকারের লোকেরা নির্যাতন করেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেখেছেন কীভাবে তারা নারী ও শিশুদের হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে হত্যা করেছে। স্বৈরাচার পতন হয়েছে, কিন্তু নারীরা এখনও মুক্ত হয়নি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বাংলাদেশ যে মূল্যবোধে স্বাধীন হয়েছে, সেই মূল্যবোধ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তারা দেশের সব সামাজিক-অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে নিজেদের মতো করে আলাদা পৈশাচিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করেছে।
পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, দলটির যুগ্ম সম্পাদক এ্যাড আব্দুস সালাম আজাদ, দলটির সেচ্ছাসেবক সম্পাদক মীর সরফত আলূ সপু, নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব নিপুণ রায় চৌধুরী।
কুমিল্লায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় কুমিল্লা নগরীর ইপিজেড গেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে কুমিল্লার কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
আটক ছাত্রলীগ নেতা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মহসিন আলম খাঁন (৩৫)। তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগ আহবায়ক কমিটির সদস্য ও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের চুন্নু মিয়ার ছেলে।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, মহসিন আলম খাঁনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৭৮টি জেলা ও মহানগরের আমীরদের নাম ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ঢাকার মগবাজারে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের বৈঠকে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
‘২০২৫-২০২৬’- কার্যকালের জন্য এসব জেলা ও মহানগরে নতুন আমীর নির্বাচন করা হয়।
জেলা ও মহানগরের যারা আমীর হলেন, পঞ্চগড়ে অধ্যাপক মো. ইকবাল হোসাইন, ঠাকুরগাঁওয়ে অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন প্রধান, দিনাজপুর জেলা অধ্যক্ষ আনিছুর রহমান, নীলফামারীতে আব্দুস সাত্তার, লালমনিরহাটে এ্যাডভোকেট আবু তাহের, রংপুর মহানগর মাওলানা এ টি এম আযম খান, রংপুর জেলায় অধ্যাপক মো. গোলাম রব্বানী, কুড়িগ্রামে অধ্যাপক মাওলানা মো. আবদুল মতিন ফারুকী, গাইবান্ধায় মো. আব্দুল করিম সরকার, জয়পুরহাটে ডা. ফজলুর রহমান সাইদ, বগুড়া শহরে মাওলানা আবিদুর রহমান সোহেল, বগুড়া জেলায় মাওলানা আবদুল হক সরকার, সিরাজগঞ্জে মাওলানা মো. শাহিনুর আলম, পাবনায় অধ্যাপক মো. আবু তালেব মন্ডল, চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাওলানা মো. আবুজর গিফারী, নওগাঁ জেলায় মো. আব্দুর রাকিব, রাজশাহী মহানগরে ড. মো. কেরামত আলী, রাজশাহী জেলায় অধ্যাপক আবদুল খালেক, নাটোরে অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলাম, মেহেরপুরে মো. তাজউদ্দীন খান, কুষ্টিয়ায় মো. আবুল হাশেম, চুয়াডাঙ্গায় এডভোকেট মো. রুহুল আমিন, ঝিনাইদহে আলী আজম মো. আবু বকর, যশোর জেলায় অধ্যাপক মো. গোলাম রছুল, মাগুরায় অধ্যাপক এম. বি. বাকের, নড়াইলে মো. আতাউর রহমান বাচ্চু, বাগেরহাটে মাওলানা রেজাউল করিম, খুলনা মহানগরে মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, খুলনা জেলায় মাওলঅনা মুহা. এমরান হুসাইন, সাতক্ষীরায় অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, বরগুনায় মাওলানা মো. মহিববুল্লাহ, পটুয়াখালী এ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান, ভোলায় মুহা. জাকির হোসেন, বরিশাল মহানগরে জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, বরিশাল জেলায় অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার, ঝালকাঠিতে এডভোকেট হাফিজুর রহমান, পিরোজপুরে অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসাইন ফরিদ।
এছাড়া, মোমেনশাহী মহানগরে মাওলানা কামরুল আহসান ইমরুল, মোমেনশাহী জেলায় আবদুল করিম, নেত্রকোনায় ছাদেক আহমাদ হারিছ, জামালপুরে মাওলানা আব্দুস সাত্তার, শেরপুরে মাওলানা হাফিজুর রহমান, কিশোরগঞ্জে অধ্যাপক মো. রমজান আলী, ঢাকা মহানগর উত্তরে মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণে নূরুল ইসলাম বুলবুল, টাঙ্গাইলে আহসান হাবিব মাসুদ, মানিকগঞ্জে হাফেজ মাওলানা মো. কামরুল ইসলাম, ঢাকা জেলায় মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, গাজীপুর মহানগরে অধ্যাপক মুহা. জামাল উদদীন, গাজীপুর জেলায় ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, মুন্সীগঞ্জে মাওলানা আ. জ. ম. রুহুল কুদ্দুস, নারায়ণগঞ্জ মহানগরে মুহাম্মদ আবদুল জব্বার, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মো. মমিনুল হক সরকার, নরসিংদীতে মাওলানা মো. মোছলেহুদ্দিন, রাজবাড়ীতে এডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম, ফরিদপুরে মাওলানা মুহাম্মদ বদরুদ্দীন, গোপালগঞ্জে অধ্যাপক রেজাউল করিম, মাদারীপুের মাওলানা মোখলিসুর রহমান, শরীয়তপুরে মাওলানা আবদুর রব হাশেমী, সুনামগঞ্জে মাওলানা তোফায়েল আহমদ খাঁন, সিলেট মহানগরে মো. ফখরুল ইসলাম, সিলেট জেলায় মাওলানা হাবীবুর রহমান, মৌলভীবাজারে মো. শাহেদ আলী, হবিগঞ্জে মাওলানা মোখলিসুর রহমান, কুমিল্লা মহানগরে কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, কুমিল্লা উত্তরে অধ্যাপক মো. আবদুল মতিন, কুমিল্লা দক্ষিণে এডভোকেট মো. শাহজাহান, চাঁদপুরে মাওলানা বিলাল হোসেন মিয়াজী, ফেনীতে মুফতি আবদুল হান্নান, নোয়াখালীতে মো. ইছহাক খন্দকার, লক্ষীপুরে মাস্টার রুহুল আমিন ভূঁইয়া, চট্টগ্রাম মহানগরে আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তরে আলাউদ্দিন শিকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণে আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, কক্সবাজােির অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী, খাগড়াছড়িতে সৈয়দ মো. আব্দুল মোমেন, রাঙ্গামাটিতে অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল আলীম এবং বান্দরবানে এস. এম. আবদুছ ছালাম আজাদ।
বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে জামায়াতের আমীর বলেন, সাড়ে ১৫ বছর স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনের মাধ্যমে হাজারো প্রাণের বিনিময়ে দেশ স্বৈরশাসনের কবল থেকে মুক্তি লাভ করেছে।
হাজার হাজার লোক আহত ও পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। এখনও অনেকে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসা চলা অবস্থায় অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। যারা জীবন দিয়েছেন আল্লাহ তাদের শাহাদাত কবুল করুন। আমি নিহত ও আহতদের পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের চিকিৎসার লক্ষ্যে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
এ সময় নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।