‘জনগণের অধিকার ফেরত দেয়ার জন্য অতিদ্রুত নির্বাচন প্রয়োজন’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ. জেড. এম জাহিদ হোসেন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ. জেড. এম জাহিদ হোসেন

জনগণের অধিকার জনগণকে ফেরত দেয়ার জন্য অতিদ্রুত একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রয়োজন- এমন মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ. জেড. এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘আজকে দেশ একটি যুব সন্ধিক্ষণে আছে। সামনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন প্রয়োজন। জনগণের প্রতিনিধি দরকার। ২০০৯ সাল থেকে জনগণ তাদের অধিকার ফেরত পাচ্ছেন না। সেজন্য অতিদ্রুত জনগণের অধিকার জনগণকে ফেরত দেওয়া উচিত।’

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মরহুম এড. আফসার আহম্মদ সিদ্দিকীর ২৩ তম মৃত্যু বার্ষিকী স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে আফসার আহম্মদ সিদ্দিকী স্মৃতি ফাউন্ডেশন।

ডা. এ.জেড.এম জাহিদ হোসেন বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ সিদ্ধান্ত নিবে কারা ক্ষমতায় আসবে আর কারা আসবে না। জনগণ সিদ্ধান্ত নিবে তারা কি ধরনের সংস্কার চায়। সংস্কার মানে হলো, যে সমস্ত দলীয়করণ হয়েছে সেগুলো ঠিক করতে হবে। সকল দলমতের উর্ধ্বে গিয়ে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। মানুষ এই মূহুর্তে এটাই চাই। সেজন্য অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের উচিত দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া।

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, দেশের মানুষের জন্য করলে দেশের মানুষ আপনার সাথে থাকবে। আর না করলে পালিয়ে যেতে হবে। তিনিতো (শেখ হাসিনা) বলেছেন দেশ থেকে পালিয়ে যাবেন না। কিন্তু, ৭২ ঘণ্টার ভেতরে পালিয়ে গেছেন। যারা দেশের মানুষকে অবজ্ঞা করেছে, মানুষকে পাখির মতো গুলি করে মেরে ফেলেছে তারা আজকে কোথায়। ওনার পিতা যেমন লাল ঘোড়া দাপিয়ে দিয়েছিলেন। ঠিক তেমনিভাবে উনিও ঘুম, খুন, অত্যাচার করেছেন।

এড. আফসার আহম্মদ সিদ্দিকীর স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, তিনি রাজনৈতিক জীবনে একজন বর্ণাঢ্য ব্যক্তি ছিলেন। তিনি সৎ ভাবে জীবনযাপন করেছেন। উনার মতো নেতারা আর আসবে না।

আফসার আহম্মদ সিদ্দিকী স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি বেগম জাহানারা সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সহসম্পাদক মিসেস হেলেন জেরিন খানসহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।