‘মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে আ.লীগ’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে বড় যে আশা-আকাঙ্ক্ষা তাও ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালের পর থেকে সংসদের সুযোগ নিয়ে শাসনতন্ত্র পরিবর্তনের মাধ্যমে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার সকল ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ করেছে। আজ বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে বড় যে আশা-আকাঙ্ক্ষা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, সমাজ ব্যবস্থা তাও ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে তারা। শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকার জন্য।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিজয় দিবস ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক বৈঠক শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, বিজয়ের মাস আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামী লীগ সেই দল যারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতন্ত্রের মাকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এই সরকারের সকল অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি করার আহ্বানও জানান তিনি।

বেগম খালেদা জিয়ার শুনানির দিনে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীদের প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীরা বড় বড় কথা বলছেন। আইনজীবীদের আচরণ নাকি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। তারা কি তাদের অতীতের দিকে একবার চেয়ে দেখেছেন? ২০০৬ সালে তারা আদালতে লাঠি মিছিল করেছেন। সেই সময় আদালত চত্বরে আইন প্রতিমন্ত্রীর গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্টে ভাঙচুর করেছিলেন। অন্যদিকে আমাদের আইনজীবীরা একটাও খারাপ কাজ করেনি। যারা ছিলেন তারা তাদের জায়গায় বসে তাদের দাবির কথা বলেছেন। তারা একটা আবেদনের কথা বলেছেন। সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন, ন্যায় বিচার চেয়েছেন।

আওয়ামী লীগের পতন হবেই। তাদের পতন কেউ ঠেকাতে পারবে না। দুর্বৃত্তায়ন করে কেউ টিকে থাকতে পারে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।