ইংরেজী নববর্ষ ২০২৫ সাল উপলক্ষে দেশবাসীসহ প্রবাসীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশবাসীকে এই শুভেচ্ছা জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, খৃষ্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে আমি দেশ-বিদেশের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। কামনা করি সবার জীবনে খৃষ্টীয় নববর্ষ অনাবিল আনন্দ, সুখ, স্বাচ্ছন্দ, শান্তি ও কল্যাণ বয়ে আনুক। শুভ নববর্ষ।
নতুন বছরে আশাবাদ ব্যক্ত করে বিবৃতিতে তারেক রহমান আরও বলেন, নতুন বছরে আমরা দেশের সামগ্রিক রূপান্তরের একটি পর্বে উপনীত হতে পারবো বলে আশা রাখি। অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আসুন আমরা রাষ্ট্র ও সমাজে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে একযোগে কাজ করি।
অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ। চিরদিনের জন্য দূর হয়ে যাক সব অন্যায়-উৎপীড়ন, নির্যাতন। আমরা এমন একটি জাতি নির্মাণের প্রত্যাশা করছি, যেখানে প্রত্যেকটি নাগরিকই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রত্যেকের কণ্ঠ স্বাধীন থাকবে।
ঘটনাবহুল ২০২৪ সালের কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, গেল বছরটি এখন আমাদের মনে জাগরুক (সতর্ক) হয়ে থাকবে। গত বৎসরের বেশকিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা, ছাত্র-জনতার আত্মদান এবং অধিকার হারানোর যন্ত্রণা আগামী বৎসরে আমাদের একদিকে যেমন বেদনার্ত করবে, অন্যদিকে নতুন উদ্যোমে শান্তি, সম্প্রীতি ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের অধিকার ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনায় আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করবে।
‘আজকের দিনে আমাদের অঙ্গীকার হবে, জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সমূহ শক্তিশালী করা ও অর্থনীতির পুণরুদ্ধারসহ বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনে একযোগে কাজ করা। বাংলাদেশে অজস্র রক্তঋণে অর্জিত গণতন্ত্রের প্রয়োগ ও অনুশীলণে আমাদেরকে তৎপর হতে হবে। যোগ করেন বিএনপির দ্বিতীয় প্রধান এই নেতা।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গণবিরোধী পরাজিত শক্তি এতদিন জনগণের সকল অধিকারকে বন্দী করে রেখেছিল। এমতাবস্থায় সকল গণতান্ত্রিক শক্তির মিলিত প্রচেষ্টায় বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করতে হবে। হৃত গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সংগ্রামী মানুষকে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য আমি সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।