মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুরোপুরি বিলুপ্ত: ফখরুল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকেরা কথায় কথায় শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি ছিল? মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল না যে, বাংলাদেশের মানুষের অধিকার হরণ করে নেবেন, ৩০ তারিখের ভোট আগের দিন রাতে নিয়ে নেবেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাজনীতি করতে বাধা দেবেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল, এ দেশের মানুষের অধিকার রক্ষা করা, স্বাধীনতাকে রক্ষা করা, গণতন্ত্রকে রক্ষা করা। সেই চেতনা আজ পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে।’

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব বন্দীর মুক্তি ও সমসাময়িক রাজনীতি প্রসঙ্গে গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

ফ্যাসিবাদের সঙ্গে গণতন্ত্রের লড়াই সহজ নয় উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘গত দশ বছরে আমাদের পাঁচ শতাধিকের বেশি নেতাকর্মী গুম হয়েছে। কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। ২৬ লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এক লাখের বেশি মামলা করা হয়েছে। একটি রাজনৈতিক দলকে এত ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, তা আমার জানা নেই। তারপরও আমরা সংগ্রাম করছি, লড়াই করছি।’

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকার জন্য পাক হানাদার বাহিনী যে কাজগুলো করেছে, এরাও (আওয়ামী লীগ) একই কাজ করছে। আমাদের স্বাধীনতার প্রধান দাবি ছিল অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। সেই সময় পাকিস্তান আমাদেরকে শাসন করেছিল, বঞ্চিত করেছিল, শোষণ করেছিল। এর প্রতিবাদে এই অঞ্চলের মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছিল। সেই সময় পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী জোর করে আজকের সরকারের মতোই ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছিল। পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে এদের পার্থক্যটা কোথায়? তা আমি ঠিক বুঝতে পারি না।’

সরকারের উদ্দেশ্যে ফখরুল বলেন, ‘আপনার জনগণের চোখের ভাষা বুঝুন। মানুষের ভাষা বুঝুন। শাসকরা যদি তা করত, তাহলে তারা অমানুষ হত না।’

এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট নিতাই রায় চৌধুরী, জাতীয় পার্টির একাংশের প্রধান মোস্তফা জামান হায়দার, খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বাংলাদেশ লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিকল্পধারার একাংশের প্রধান ড. নুরুল আমিন ব্যাপারী প্রমুখ।