বাংলাদেশের কোনো মানুষ ভারতে যায়নি: ফখরুল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মানববন্ধনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

মানববন্ধনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভারতের মন্ত্রীরা যখন বলেন আসাম থেকে, উত্তর প্রদেশ থেকে বাঙ্গালিদের বের করে দেওয়া হবে তখন আমরা উদ্বিগ্ন হই। কারণ বাংলাদেশের কোনো মানুষ ভারতে গেছে বলে আমরা মনে করি না।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বেলা ১২ টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী পরিষদ।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা সবসময় শুনে থাকি ভারতের সঙ্গে এই সরকারের সুউচ্চ সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু বাণিজ্যে যে ভারসাম্যহীনতা রয়েছে সেই সমস্যার তো সমাধান হয় না। সীমান্তে হত্যা বন্ধ হয় না। বন্যার সময় ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেওয়া হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আশা করব তিস্তাসহ সকল অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিসাব বাংলাদেশ পাবে। সীমান্তের সকল ধরনের হত্যা বন্ধ হবে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে এমন একটা সুখবর জনগণ প্রত্যাশা করে।

বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া শুধু বিএনপি নেত্রী নয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নয়, বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক যে চাহিদা রয়েছে, গণতান্ত্রিক যে আকাঙ্ক্ষা রয়েছে বেগম খালেদা জিয়া সেই আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক। তিনি সারা জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য সংগ্রাম করেছেন। গণতান্ত্রিক নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবৈধ সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে আটকে রেখেছেন। কারণ তারা জানে, বেগম জিয়া বাইরে থাকলে তাদের দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য ধ্বংস হয়ে যাবে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্যে দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুল আলম, প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সংস্কৃতি জোটের মহাসচিব এম আমিনুল হক প্রমুখ।