উন্মুক্ত স্থানে এরশাদকে সমাহিত করতে চান জাপার নেতাকর্মীরা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নেতাকর্মীদের ভিড়, ছবি: সুমন শেখ

নেতাকর্মীদের ভিড়, ছবি: সুমন শেখ

জাতীয় পার্টির সদ্য প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ঢাকার সামরিক কবরস্থানে নয় বরং উন্মুক্ত কোনো স্থানে সমাহিত করতে চান জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা। নিজেদের এই ইচ্ছার কথা জানিয়ে রোববার (১৪ জুলাই) দুপুর পৌনে তিনটায় বনানীস্থ দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীরা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সরেজিমনে দেখা যায়, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া বনানীস্থ কার্যালয়ের সামনে এলে তাকে ঘিরে কবরস্থান কেন ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় হচ্ছে সেট জানতে চান উপস্থিত নেতা-কর্মীরা। তখন তিনি নেতা-কর্মীকে দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানান।

বিজ্ঞাপন

এসময় উপস্থিত নেতা-কর্মীরা উন্মুক্ত স্থানে সমাহিত করার দাবিতে স্লোগান দেন। দলের মধ্যে 'দালাল' নেতাদের ষড়যন্ত্রে দাফন নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

জাতীয় পার্টির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ ইফতেখার হাসান বলেন, ‘ঢাকার ভেতরে একটা উন্মুক্ত স্থানে আমাদের নেতার কবর হোক। যাতে সবসময় দলের নেতাকর্মীরা তার কাছে যেতে পারেন। ক্যান্টনমেন্টে সমাহিত হলে সে সুযোগটা থাকবে না।

এর আগে বাদ জোহর সেনা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এরশাদের প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয়, বেলা সাড়ে ১১টায় কাকরাইল জাতীয় পার্টির অফিসের সামনে রাখা হবে। এবং বাদ আছর বায়তুল মোকাররম মসজিদ প্রাঙ্গণে চতুর্থ জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। রাতে হিমঘরে তার মরদেহ রাখা হবে। এরপর মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) হেলিকপ্টারে করে এরশাদের মরদেহ নেওয়া হবে রংপুরে। রংপুরে জানাজা শেষে সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হবে এরশাদকে।

উল্লেখ্য, রোববার (১৪ জুলাই) ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।