একই ধরনের বক্তব্য দিতে ভালো লাগে না ফখরুলের
-
-
|
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
রাজনৈতিক সমাবেশগুলোতে একই ধরনের বক্তব্য দিতে ভালো লাগে না বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। তিনি বলেন, একই কথা বারবার বলতে আর ভালো লাগে না। একই কথা বলে যাচ্ছি কোনও পরিবর্তন তো আমরা নিয়ে আসতে পারছি না। এখানেই এদের সফল্য। ফ্যাসিবাদের সাফল্য হচ্ছে, তারা পুরো জাতির মাঝে ভয়, ত্রাস তৈরি করতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ স্মৃতি পরিষদ এই আলোচনা সভা আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, জ্ঞান এবং প্রজ্ঞাসহ রাজনীতিবিদ এখন আর দেখা যায় না। বর্তমান সরকারের কর্মের ফলে এখন শক্তি আর টাকা ছাড়া কোনও রাজনীতি নেই। পুরো সংস্কৃতিটাকেই বদলে দিয়েছে। গত এক যুগে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে। এখানে এখন আর সত্য, সুন্দর বলতে কিছু নেই আছে শুধু ভয়াবহ প্রতিহিংসা, অত্যাচার, নির্যাতন।
তিনি বলেন, আমরা মন খুলে কথা বলতে পারি না, প্রাণ খুলে নিশ্বাস নিতে পারি না। দম বন্ধকর একটা পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। চৌধুরী কামাল উদ্দিন ইউসুফ এই পরিবেশ থেকে বের হয়ে আসতে চেয়েছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা খুব দুঃসময় অতিক্রম করছি। আমরা বিশ্বাস করি অবশ্যই অন্ধকার কেটে যাবে। অবশ্যই একদিন নতুন সূর্য উদয় হবে। অবশ্যই বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।
তিনি বলেন, আজকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। আমরা আগেই বলেছি তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্নিকটে। তার চিকিৎসা দরকার এবং সেই চিকিৎসা এদেশে সম্ভব হচ্ছে না। কি দুর্ভাগ্য আমাদের। দেশে জোর করে ক্ষমতা দখল করে যিনি চালাচ্ছেন তিনি বলেছেন, অনেক মানবতা দেখেছি আর কত মানবতা দেখাবো। এটা কোনও সভ্য দেশের নেতার কাছে আশা করা যায় না।
এখন সবার মাঝে ঐক্য প্রয়োজন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন আমাদের যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন যে তা হচ্ছে ঐক্য। আমাদেরকে গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। আমাদেরকে সমস্ত রাজনৈতিক দল, সমস্ত সংগঠন, সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে এই ভয়াবহ দানবকে পরাজিত করতে হবে।
চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের যে স্বপ্ন, জিয়াউর রহমানের যে স্বপ্ন, খালেদা জিয়ার যে স্বপ্ন, এদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, সত্যিকারের একটা সমৃদ্ধির দেশ প্রতিষ্ঠা করা, মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার মত রাষ্ট্র তৈরি করা, সে রাষ্ট্র আমাদের তৈরি করতে হবে।
