মন্ত্রীর নির্দেশেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ফাইল গায়েব: রিজভী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৭টি ফাইল মন্ত্রীর নির্দেশেই গায়েব করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। খাদ্যপণ্য ও ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্পে ব্যবহৃত সুতা, রঙ, কেমিকেলের দাম ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

রিজভী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৭টি ফাইল গায়েব হয়ে যায়, এতে কি বুঝতে বাকি আছে? এটা করো বুঝতে বাকি নেই। আমার মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি, নেতারা দেশ ছেড়ে চলে যেতে চাচ্ছে। তাই যাতে কোনো ডকুমেন্ট না থাকে সেজন্য এই ১৭টি ফাইল গায়েব করে দেওয়া হয়েছে। কারণ সামনে কোন পরিস্থিতি হয়, আবার এই ফাইলগুলো থেকে কত টাকা কোন জায়গা থেকে কত পার্সেন্টেস দেওয়া হয়েছে তার যদি কোনো ডকুমেন্ট থেকে থাকে এ জন্যই ফাইলগুলো হাওয়া করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ এমন এক অবস্থায় শেখ হাসিনা নিয়ে গেছে যার না আছে স্বাধীনতা, না আছে সার্বভৌমত্ব, আর গণতন্ত্র অনেক দিন আগেই গোরস্থানে কবর দিয়েছেন তিনি। তার যা ইচ্ছা তিনি তাই করবেন এ জন্য তাকে কোন জবাবদিহি করতে হবে না।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রপতি মানে রাষ্ট্রের অভিভাবক, জাতির অভিভাবক, কিন্তু বর্তমান রাষ্ট্রপতি হচ্ছে আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতি। একটা অবৈধ পার্লামেন্ট থেকে নির্বাচিত অবৈধ রাষ্ট্রপতি। তার নাক দিয়ে যদি একটু পানিও পরে হয় যাচ্ছেন সিঙ্গাপুর, না হয় লন্ডন। আর বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা বারবার বলা হয়েছে। যে তিনি বাইরে থেকে চিকিৎসা নিয়ে আসবেন। প্রধানমন্ত্রী কি মনে করেন? আপনি (প্রধানমন্ত্রী) ১/১১ এর সময় মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন, কিন্তু খালেদা জিয়া কি দেশ ছেড়েছেন?

সরকার বিনাভোটে ক্ষমতার রাজসিংহাসনে বসে আছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ওই সিংহাসনের পা ধরে ধুলায় লুটিয়ে দিতে হবে। তাহলে আবার এদেশে গণতন্ত্রের সুবাতাস ফিরে আসবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকে প্রত্যেকটি জায়গা থেকে আওয়ামী লীগের নেতাদের পার্সেন্টেজ নিশ্চিত করতেই দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। মানুষের গলায় পা দিয়ে তারা টাকা তুলছে এই ক্ষমতাসীনরা। তারা অনির্বাচিত। তারা অগণতান্ত্রিক, তাদের নির্বাচনের দরকার নেই। তাই যারা ডাকাত, লুটেরা, দস্যুবৃত্তি যাদের রাজনীতি তারা কখনোই জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে চায় না।

তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণ করলেও তাদের কোনো নদীর পানি বিষাক্ত নয়। আর আপনার তুরাগ নদী, বুড়িগঙ্গা নদী নর্দমায় পরিণত করেছেন শেখ হাসিনা। আর আপনি গেছেন গ্লাসগোতে জলবায়ু সম্মেলনে। বাহ কি বৈপরীত্য, কি স্ববিরোধীতা।

তাঁতী দলের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মজিবর রহমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির ‍যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, তাঁতী দলের সাবেক সভাপতি হুমায়ুন ইসলাম খান, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম প্রমুখ।