শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে তিনটার সময় রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজ থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্য রওনা হন তিনি।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ বোধ করছেন খালেদা জিয়া। শরীরে তাপমাত্রাও আছে কিছুটা। সেজন্য মেডিকেল চেকআপের জন্য ম্যাডামকে বিকাল ৩টায় বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ড উনার সব কিছু পর্যালোচনা করবেন। বোর্ড তাকে দেখবেন, এরপর জানানো হবে ম্যাডামের সর্বশেষ অবস্থা।
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। শুরুতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজার দ্বিতীয় তলায় একটি রুমে চিকিৎসা চলছিল বিএনপি নেত্রীর। ১৫ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করানো হয় খালেদা জিয়ার। এরপর ফিরিয়ে আনা হয় গুলশানের বাসভবনে। অবস্থার অবনতি হলে ২৭ এপ্রিল একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বিএনপি প্রধানকে।
৩ মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বিএনপি থেকে খালেদা জিয়ার করোনামুক্তির খবর দেওয়া হয় ৯ মে।
তবে সিসিইউতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। ৩ জুন চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে কেবিন ফিরিয়ে আনা হয়। এর ১৬ দিন পর বাসায় ফেরেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
নোয়াখালীতে আদালত প্রাঙ্গণে জয়বাংলা স্লোগান দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ৫ আগস্ট পরবর্তী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের এমনভাবে ফিরে আসায় জেলা জুড়ে বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এদিন সকালে ট্রাক শ্রমিক মো. খোকন হত্যা মামলায় আদালতে শুনানির জন্য নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদলত প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের ১০০-১৫০ জন নেতাকর্মী সমবেত হন। পরে শুনানি শেষে আদালত থেকে সাবেক এমপি একরামুলকে কারাগারে নেওয়ার সময় নেতাকর্মীরা সাবেক এমপি একরামের মুক্তির দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে স্লোগান দিতে থাকেন। ওই সময় নেতাকর্মীরা ‘একরাম ভাই ভয় নাই, রাজ পথে ছাড়ি নাই’, ‘শেখ হাসিনা ভয় নাই, রাজ পথ ছাড়ি নাই’, ‘জাতির পিতা শেখ মুজিব, লও লও লও সালাম’ বলে স্লোগান দেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের আইনজীবী ফোরামের বিষয়টি নজরে রাখা উচিত ছিল, তারা ভুল করেছে। খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক কোর্টে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছি। এমপি একরামের রিমান্ডের আবেদনের বিষয়টি আমাদের জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তখন আমি স্কটে সামনে ছিলাম। পিছনে কী হয়েছে বলতে পারি না।
প্রসঙ্গত, সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) ১ নং আমলি আদালতের বিচারক ইকবাল হোসাইন সাবেক এমপি মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীকে ট্রাকশ্রমিক মো. খোকন নিহতের ঘটনায় দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে, সোমবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সাবেক এমপি একরামুলকে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) ১নং আমলি আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ওই সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। গত ৮ সেপ্টেম্বর নিহত ট্রাক শ্রমিকের বাবা মজিবুল হক বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় মামলাটি করেন।
প্রকৃত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরের দিকে সাভারের ব্যাংক কলোনী এলাকায় শহীদ শাইখ আসহাবুল ইয়ামিনের বাসা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারের কথা বলছে। সংস্কার করুক, তবে এটা যেন উপসংহারহীন না হয়। একটা ইতি টানতে হবে, এটা যদি অনন্তকাল চলতে থাকে, তাহলে প্রশ্ন দেখা দেবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম ও প্রধান প্রতিশ্রুতি ছিল, প্রকৃত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাভারে হতাহত ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তিনি। এ সময় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতদের সহায়তা করতে গঠিত ’আমরা বিএনপি পরিবার’ সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা ও আহতদের ২০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়। সাভারের আটটি পরিবারকে এসব অনুদান দেয় বিএনপি।
রিজভী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হওয়া পরিবারগুলোকে সহায়তা দেওয়া, তাদের পাশে থাকা ও সবসময় খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য একটি সংগঠন করে দিয়েছেন তারেক রহমান।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আপনাদের সামনে রেখে আমাদের একটাই কথা, তা হলো, এখনও সেই ভয়ঙ্কর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসররা তাদের কালো টাকা ও বেআইনি অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছে। গতকাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা গোলাগুলি করেছে, অস্ত্র নিয়ে তারা সেখানে গুলি করেছে। জনঅরণ্যের মধ্যে তারা লুকিয়ে আছে। প্রয়োজন মতো তারা দেশকে অস্থিতিশীল করবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা অল্প কিছু প্রচেষ্টা দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু ব্যাপক প্রচেষ্টা আমরা এখনও দেখতে পাচ্ছি না। গণতন্ত্র শান্তির পক্ষে যাতে মানুষ বসবাস করতে পারে, খোলা গলায় যাতে মানুষ সমালোচনা করতে পারে, কথা বলতে পারে। আইনের শাসন থাকবে, কে কোন দল করে সেটা বড় কথা নয়। যে অপরাধ করবে, পুলিশ তাকে ধরবে, বিচারের আওতায় আনবে৷ এটাই তো গণতন্ত্র।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্র মানে শুধু নির্বাচন নয়, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বড় একটা উপাদান। যে ভোটাররা ১৫ বছর ভোট দিতে পারেনি, ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তারা যেন পছন্দের ব্যক্তিকে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, এটিই গণতান্ত্রিক পরিবেশ। এটি নিশ্চিত করাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব।
রুহুল কবীর রিজভী বলেন, তারেক রহমান কাজ করে যাচ্ছেন। তার নির্দেশে আজকে এ আন্দোলনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যারা শটগান, যুবলীগ, ছাত্রলীগের গুলিতে যারা হাত হারিয়েছে, পা হারিয়েছে, অন্ধ হয়েছে তারা এবং তাদের পরিবার যেন হতাশায় না থাকে, তাদের খোঁজ খবর নিতে যতটা সম্ভব তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছি, তাদের বাসায় যাচ্ছি। তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহায়তা করছি।
এদিকে অনুদান পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শহীদদের স্বীকৃতির জন্য বিএনপিকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
শহীদ ইয়ামিনের বাবা মো. মহিউদ্দিন বলেন, যে অনুদান পেয়েছি, সেটি আমরা আমার ছেলের নামে গঠিত ফাউন্ডেশনে দিব। তবে এই আর্থিক অনুদানের চাইতেও শহীদদের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিএনপির মতো বড় রাজনৈতিক দলকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
একই কথা বলেন শহীদ নাফিসা হোসেন মারওয়ার মা কুলসুম বেগম। তিনি বলেন, বিএনপির রুহুল কবীর রিজভী আমাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাকে বলেছি, আমাদের সন্তানদের যেন তারা ভুলে না যান। তাদের আত্মত্যাগ যাতে সবাই মনে রাখেন।
কেন্দ্রীয় বিএনপিরসহ পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু বলেন, শুধু আর্থিক সহায়তা নয়, আহতদের চিকিৎসাসেবা ও শহীদ পরিবারের স্বীকৃতি পেতেও বিএনপি তাদের পাশে থাকবে।
রাজনীতিতে বন্ধুর সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা বন্ধুকে শত্রু বানানোর চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
তিনি বলেন, এভাবে বন্ধুকে শত্রু বানানো ভালো ফল আশা করা কঠিন। কোন জটিল পরিস্থিতি হলে তখন তারা বন্ধুহীন হয়ে পড়তে পারে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) পার্টির বনানী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ে তার দেওয়া বিভিন্ন বক্তৃতা বিবৃতি যেগুলো বিভিন্ন মিডিয়ার এসেছিল সেগুলো তুলে ধরে বলেন, জাতীয় পার্টিকে এখন ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে প্রমাণ করার অপচেষ্টা চলছে। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র আন্দোলনে পার্টির নেতাকর্মীদের ভুমিকা ও দুইজন কর্মী নিহত হওয়াসহ বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, এরপরও যদি গণহত্যার দায় জাপার উপর দেওয়া হয় খুবই দুঃখজনক। আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি বলে দোসর বলা হয়, কোন প্রেক্ষাপটে নির্বাচনে অংশ নিতে হয়েছিল তারও বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, মিডিয়ায় ঘোষণা দিয়ে ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিলাম। তারপরও বাধ্য করা হয় নির্বাচনে যেতে। ২০১৮ সালে সকলেই অংশ নেন। বৈধতার প্রশ্ন উঠলে বিএনপিও দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলন সফল করতে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীর রক্ত দিয়েছে। আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারনে অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, মামলা দেওয়া হয়েছে। অথচ একটি চক্র এখন জাতীয় পার্টিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষ শক্তি হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা চলছে। আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জাতীয় পার্টির সঙ্গে অবিচার হচ্ছে। প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে এর প্রতিবাদ করা হবে। আমরা রাজপথে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ করবো।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের সময়ে সামান্য সমালোচনা সহ্য করা হতো না, লিফটের মধ্যে কথা বলতে ফিসফিস করতে দেখেছি লোকজনকে। আওয়ামী লীগের দুটি সফলতা ছিল এগুলো হচ্ছে ভীতি এবং হতাশার সৃষ্টি করা। কি অবস্থার মধ্যে রাজনীতি করতে হয়েছে দেশবাসী অবগত।
জিএম কাদের বলেন, টিক মার্কের নির্বাচন আমরা চাইনি, ২০২৪ সালের জোর করে নির্বাচনে আনা হয়। আমরা নির্বাচনে না গেলেও নির্বাচন করতো শেখ হাসিনা। তারা এ টিম-বি টিম বানিয়েছিল। ২০১৪ সাল থেকে রওশন এরশাদকে দিয়ে দলকে বিভক্ত করে রেখেছে।
দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এখনই তারা ব্যর্থ কিংবা অসফল বলতে চাচ্ছি না। আমরা তাদের সময় দিতে চাই, আমরা আশাকরি সরকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, কোন দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে আমি না। জামাত নিষিদ্ধের সময় আমি এর বিপক্ষে মত দিয়েছিলাম। আমি মনে করি যাদের ফলোয়ার রয়েছে, তাদের যদি নিষিদ্ধ করেন তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে যাবে। এটা দেশের জন্য সুফল বয়ে আনে না।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, আলমগীর শিকদার লোটন, মনিরুল ইসলাম মিলন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে আলোচনা ষড়যন্ত্রের নতুন মাত্রার আভাস দিচ্ছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর অব হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম বলেছেন, জনগণের ক্ষোভের মুখে তার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের সুস্পষ্ট প্রমাণ।
তিনি আরও বলেন, দিনের পর দিন অসংখ্য মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে, এখন আবার শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি বলে বিরক্তিকর ও উদ্বেগজনক সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) এক আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা বলেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন যে তিনি শেখ হাসিনার কাছ থেকে কোনো পদত্যাগপত্র পাননি এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিবও বলেছেন যে তার কাছে পদত্যাগপত্র নেই।
- পদত্যাগ নিয়ে স্ববিরোধী বক্তব্য, রাষ্ট্রপতির শপথ ভঙ্গ: আইন উপদেষ্টা
- বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে রাষ্ট্রপতি অসত্য বলেছেন: জয়নুল আবেদীন
- রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ছাত্রসমাজই নেবে: সারজিস
হাফিজ উদ্দিন বলেন, এটা তাদের ষড়যন্ত্রের নতুন মাত্রা। তিনি (শেখ হাসিনা) অবশ্যই পদত্যাগ করেছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা ইউটিউবে শেখ হাসিনার সই করা পদত্যাগপত্র দেখেছি। তাছাড়া মাত্র ৪৫ মিনিটের নোটিশে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, তাই আনুষ্ঠানিক পদত্যাগের প্রয়োজন নেই। এটাই তার পদত্যাগের শামিল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, শেখ হাসিনার এখন কোনো পাসপোর্ট নেই। বাংলাদেশ সরকার তার পাসপোর্ট বাতিল করে দিয়েছে। তিনি একটি প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছেন যারা তাকে অন্য দেশে পাঠিয়ে দিতে চায়। তারপরও তার পদত্যাগপত্রের প্রয়োজনীয়তা কী?
বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনা এখনও বৈধ প্রধানমন্ত্রী এটা বিশ্বাস করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এ ধরনের সংবাদ প্রচার করছে। এর চেয়ে বড় মিথ্যা আর কী হতে পারে?
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। তারা খুনি শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা এবং আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করারও আহ্বান জানান।