রংপুর বিভাগের ৮ জেলার করোনা পরিস্থিতি

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আমিন আহমেদ

রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আমিন আহমেদ

রংপুর বিভাগের আট জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে আরও ৯৭৩ জনকে বাড়িতে সঙ্গরোধে রাখা হয়েছে।

এ বিভাগে এখন পর্যন্ত ৫১ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া ৬০ জন নিবিড় আইসোলেশনে রয়েছেন।

করোনা আক্রান্ত রোগীর মধ্যে রংপুর জেলার ৬ জনের মধ্যে চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নীলফামারীতে আক্রান্ত ৯ জনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পঞ্চগড়ে একজন, লালমনিরহাটে দুই জন হাসপাতালে রয়েছেন। কুড়িগ্রামে দুই জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ জন, দিনাজপুরে ১১ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এছাড়াও গাইবান্ধা জেলার ১৪ জন রোগীর মধ্যে ৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সোমবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আমিন আহমেদ খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস আক্রান্ত আশঙ্কায় গত ২৪ ঘণ্টায় দিনাজপুরে ৬০০, রংপুরে ৯২, গাইবান্ধায় ১২২, কুড়িগ্রামে ৩১, পঞ্চগড়ে ৩৫, ঠাকুরগাঁওয়ে  ৪২, নীলফামারীতে ৫১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এই সময়ে শুধু লালমনিরহাট জেলায় কাউকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়নি।

সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত রংপুর বিভাগের আট জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৭৬৮ জনে।

সূত্র আরও জানায়, সোমবার পর্যন্ত রংপুর বিভাগের আট জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করছে ১২ হাজার ৫৫০ জন। এ পর্যন্ত ৭ হাজার ২১৮ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এছাড়া রংপুরে ৫ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ১১, পঞ্চগড়ে ২, নীলফামারীতে ১৩ লালমনিরহাটে ২, কুড়িগ্রামে ২, দিনাজপুরে ১১ এবং গাইবান্ধা জেলায় ১৪ জনকে সহ এই বিভাগের মোট ৬০ জনকে আইসোলেশনে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

বর্তমানে রংপুর বিভাগের হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ১২ হাজার ৫৫০ জন। এর মধ্যে দিনাজপুরে ২ হাজার ২৬৭  জন, গাইবান্ধায় ২ হাজার ১২ জন, কুড়িগ্রামে ৫৭৬, লালমনিরহাটে ২৯১, নীলফামারীতে ৫ হাজর ৪৫৭, পঞ্চগড়ে  ৬৮৩, রংপুরে ৫৩৪ এবং ঠাকুরগাঁও জেলায় ৭৩০ জন সহ মোট ১২ হাজার ৫৫০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের সবাই এখন পর্যন্ত  সুস্থ রয়েছেন।