‘কুর্মিটোলা হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের সেবা’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক/ ছবি: বার্তা২৪.কম (ফাইল ফটো)

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক/ ছবি: বার্তা২৪.কম (ফাইল ফটো)

করোনা আক্রান্ত রোগীদের কুর্মিটোলা হাসপাতালে সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বুধবার (২৫ মার্চ) দুপুরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্যখাতের প্রস্তুতি বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ফেসবুকপেজ "Health Minister Zahid Maleque,mp" থেকে এক ভিডিও ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের ১৭টি হটলাইন ছিল, সেখানে অনেকে পাচ্ছিল না। তাই বাড়িয়ে প্রতি জেলায় ৫টি করে হটলাইন চালু করেছি। এখন হট লাইনের সংখ্যা হবে ৩৫০টি। আগে একটি ল্যাবে কাজ করছিলাম। এখন ১০টি ল্যাব বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করছি, অল্প দিনের মধ্যে চালু হয়ে যাবে। এই ১০ দিনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় খোলা থাকবে। বড় বড় প্রাইভেট হাসপাতাল আইস্যোলেশন ওয়ার্ড করবে।

তিনি বলেন, কুর্মিটোলা হাসপাতালে করোনা রোগী রাখার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রত্যেক জেলায় একটি করে অ্যাম্বুলেন্স দেয়া হবে, যাতে শুধু করোনা আক্রান্তদের আনা হবে। আমেরিকা আমাদের কাছে পিপিই চেয়েছে, আমরা তিন লাখ বিতরণ করেছি, আরো এক লাখ আছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডাক্তারদের সুস্থ রাখতে হবে, তারা সুস্থ না থাকলে জনগণকে কে সেবা দেবে। তাই সেদিকেও আমরা নজর রাখছি। আমাদের এখনে ২২ দিনে মাত্র ৩৯ জন আক্রান্তের খবর পেয়েছি। সুতরাং আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান বলেন, যারা স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন তাদের সুরক্ষার জন্য পিপিই এর কিছুটা স্বল্পতা রয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চার লাখ পিপিই সংগ্রহ করেছেন। তিন লাখ ইতোমধ্যে হাসপাতালে বিতরণ করেছেন, আরো এক লাখ পিপিই রয়েছে। আরো লাখ লাখ পিপিই বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা সরকারের হাতে তুলে দিচ্ছে। আজকে প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকে আমরা ৫ হাজারে পিপিই পেয়েছি। যারা স্বাস্থ্যসেবায় যুক্ত তাদের আশ্বস্ত করতে চাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অত্যন্ত সজাগ, সচেতন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী তারা কাজ করছেন। প্রাইভেট মেডিকেলগুলোতে ২০ হাজার শয্যা আছে। আমরা প্রাইভেট মেডিকেলগুলোতে পিপিই সরবরাহ করেছি। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ১০ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, সবাই ঘরে থাকবেন নিরাপদ দূরত্বে থাকবেন। এই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে ঘুরে বেড়ানোর জন্য নয়, এই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে বাড়িতে থাকার জন্য। যাতে সবাই নিরাপদে থাকতে পারেন। করোনাভাইরাস খুবই সংক্রামক, এ থেকে রক্ষা পেতে নিরাপদে থাকতে হবে, যার যার বাড়িতে থাকতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হবেন না। চীনে ৫ কোটি লোককে কোয়ারেন্টাইন করে রেখেছিল। কোয়ারেন্টাইনের দিকে আমরা যাচ্ছি, এটা সফলতা সকলের উপর নির্ভর করবে।