সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি ও কৃষক খুন: প্রতিবাদে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব ও কৃষক খুনের মত ন্যক্কারজনক ঘটনাসহ সমসাময়িক বিষয় নিয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার আলমগীর নিজ এলাকা নাজিরহাটে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ফটিকছড়িতে বিএনপির নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব ও কৃষক খুনের মত ন্যক্কারজনক ঘটনার সাথে যারা জড়িত তারা বিএনপির কেউ নন। তারা সবাই দলে অনুপ্রবেশকারী। তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি।
তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, ফটিকছড়ির বিভিন্ন খাল থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন, বন থেকে কাঠ পাচার, কৃষির জমির টপ সয়েল কাটার বিষয়ে প্রশাসনের নীরবতা ও ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। আমি এ বিষয়ে উর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে শীঘ্রই অভিযোগ জানাবো।
তিনি বলেন, এই দল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া দল। গণমানুষের দল। তাঁর পুত্র বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এ দলে (বিএনপি) চাঁদাবাজসহ কোন অন্যায়কারীদের স্থান নেই। থাকতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ফটিকছড়ি পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মোবারক হোসেন কাঞ্চন, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব নাজিম উদ্দিন শাহীন, জেলা ওলামা দলের সদস্য সচিব হাফেজ জয়নাল আবেদীন, বিএনপি নেতা ফরিদুল আলম, মহিন উদ্দিন আজম তালুকদার, শফিউল আলম, মিঞা মোশাররফ আনোয়ার মশু, নুরুল আবছার, জিয়াউল ফরহাদ, গাজী আমান উল্লাহ, মোজাহারুল ইকবাল লাভলু, নুরুল আলম, মো. মানিক, মো. একরাম, মো. আফাজ, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহিন উদ্দিন, মোজাম্মেল হোসেন অভি ও মো. আলা উদ্দিন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ৯ জানুয়ারি উপজেলার বাগানবাজারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় দুলায়েত হোসেন (৬০) নামের এক কৃষককে হত্যা করে বালু সিন্ডিকেটের একাধিক যুবদল নেতা।