‘করোনা ঝুঁকি’ মাথায় নিয়ে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ট্রেনের ছাদেও উঠতে দেখা গেছে যাত্রীদের

ট্রেনের ছাদেও উঠতে দেখা গেছে যাত্রীদের

করোনার প্রাদুর্ভাব কমাতে এবং সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার জন্য, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এসব নির্দেশনা উপেক্ষা করেই ঢাকার মানুষ গ্রামে ছুটে যাওয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন রেলস্টেশনে।

মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) ভোর থেকেই কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ঢাকা ছাড়তে আসা মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। যেখানে সাধারণ মানুষের ঘরে থাকার কথা, তা না মেনে করোনা ঝুঁকি নিয়ে ঘরে ফিরতে ব্যস্ত তারা।

বিজ্ঞাপন

করোনা ঝুঁকি এড়াতে একটি মানুষ থেকে আরেকটি মানুষের দূরত্ব থাকার কথা তিন ফুটের কাছাকাছি। যদি এই সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা যায়, তাহলে করোনা সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থেকে যায়।

কমলাপুরে যাত্রীদের ভিড়

সরজমিনে কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, একজন আরেকজনের গা ঘেঁষে টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছেন। ট্রেনগুলোতেও একইভাবে যাত্রা করছেন যাত্রীরা।

আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করা গেছে, স্টেশনে আসা যাত্রীদের নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখার জন্য দেয়া হচ্ছে না কোনো নির্দেশনা। তাছাড়া রেলওয়ে পুলিশেরও ঘাটতি রয়েছে কাজে। তাছাড়া একটি মাত্র স্ক্যানার দিয়ে একসঙ্গে ৪-৫ জন করে ঢুকে যাচ্ছেন। নেই পর্যাপ্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার।

ট্রেনে যাত্রীদের ভিড়

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোফাজ্জল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কমলাপুর রেলস্টেশনে একটি থার্মাল স্ক্যানার এবং প্রবেশমুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার হাতে দিয়ে প্রবেশ করার জন্য আমরা ব্যবস্থা রেখেছি। তবে হঠাৎ করেই মানুষের ঘরে ফেরার চাপ বেড়ে যাবে এটা আমরা বুঝতে পারিনি। এক্ষেত্রে আমি যাত্রীদের সচেতনভাবে যাত্রা করার কথা বলব। তাছাড়া প্রয়োজন না থাকলে রাজধানী থেকে বাইরে না যাওয়াই ভালো।

তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের কারো যদি করোনা থাকে তাহলে, পুরো স্টেশনের যাত্রীরা এই ঝুঁকিতে পড়ে যাবেন। তাই সম্ভব হলে ঘরে থাকুন। তবে আমরা স্টেশনে যথেষ্ট ব্যবস্থা নিয়েছি, তবে হঠাৎ এত মানুষ স্টেশনে আসায় আমাদের কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এদিকে, সড়কপথে ও নৌপথে একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকতে বলা হলেও তা উপেক্ষা করে ট্রেন, বাস ও লঞ্চে গাদাগাদি করে গ্রামে ফিরছেন তারা।