করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকারি অফিসের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিকেলে এই ঘোষণা আসার পরই ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি ফিরতে অগ্রিম টিকিটের জন্য যাত্রীরা কমলাপুর রেলস্টেশনে ভিড় জমায় বলে জানা যায়।
সোমবার (২৩ মার্চ) রাতে কমলাপুর রেলস্টেশনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়- সন্ধ্যার পরপরই স্টেশনে জড়ো হতে থাকে অগ্রিম টিকিট প্রত্যাশী যাত্রীরা।
বিজ্ঞাপন
স্টেশন সূত্রে আরো জানা যায়, ‘যেহেতু আগামী ২৬ তারিখ থেকে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে। সে ক্ষেত্রে যাত্রীদের ২৫ তারিখ রাতে এবং ২৬ তারিখ সকালের ট্রেনের টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গেছে।’
এদিকে, অগ্রিম টিকিট প্রত্যাশীদের অধিক ভিড়ের কারণে স্টেশনে টিকিট প্রত্যাশীদের লাইন অনেক দীর্ঘ হতে থাকে। সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অগ্রিম টিকিট নিতে এমন লাইন ছিল যাত্রীদের।
বিজ্ঞাপন
আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এসময় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকবে। আগামী ২৬ মার্চ সরকারি ছুটি, ২৭ ও ২৮ মার্চ সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। ৩ ও ৪ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি যুক্ত হবে। করোনাভাইরাসের বিস্তৃতির কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
নেত্রকোনায় মাঠজুড়ে হলুদ আর হলুদ। গত তিন বছরে নেত্রকোনার ১০ উপজেলায় সরিষার আবাদ বেড়েছে প্রায় আড়াইগুণ। ফলন ভালো হওয়ায় বেড়েছে সরিষার আবাদ। কৃষকরা আমন এবং ইরি ধান আবাদের মাঝের সময়ে সরিষা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, নেত্রকোনার ১০টি উপজেলায় এ বছর ১৩ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে জেলার সদর উপজেলায় ২ হাজার হেক্টর, পূর্বধলা উপজেলায় ২ হাজার ৬৮৫ হেক্টর, দুর্গাপুর উপজেলায় ৬০০ হেক্টর, কলমাকান্দা উপজেলায় ১ হাজার ৫০ হেক্টর, মোহনগঞ্জ উপজেলায় ৫৩২ হেক্টর, বারহাট্টা উপজেলায় ৬৭৫ হেক্টর, কেন্দুয়া উপজেলায় ১ হাজার ৪৭৮, আটপাড়া উপজেলায় ৮৫০ হেক্টর, মদন উপজেলায় ২ হাজার ১০ হেক্টর এবং খালিয়াজুরী উপজেলায় ৩৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, এবার ১৩ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। যদিও কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৩ হাজার ৫১ হেক্টর। তিনদফা বন্যার ফলে শেষের বন্যাতে ধানের ফলন দেরীতে হওয়ায় সরিষার জন্য উপযুক্ত হয়নি জমি। ফলে ১০০ হেক্টর কম আবাদ হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গত বছর ২০২৩ এ আবাদ হয়েছিলো ১০ হাজার ৮৮০ হেক্টর। যার উৎপাদন হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭২ মেট্রিক টন। ২০২২ এ ৭ হাজার ৪৫০ হেক্টর যার উৎপাদন হয়েছিলো ৯ হাজার ৬৭৬ মেট্রিক টন। ২০২১ সালে ৫ হাজার ২৫০ হেক্টরে উৎপাদন হয়েছিলো ৬ হাজার ৮২৬ মেট্রিক টন এবং তারও আগে ২০২০ সালে ৫ হাজার ১৯২ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিল। উৎপাদন ছিলো ৬ হাজার ৬১৩ মেট্রিক টন। আবাদ এবং উৎপাদন বাড়ায় কৃষকরা দুটি ধানের ফসলের মাঝের সময়ে সরিষা আবাদের দিকে ঝুকঁছে। কমে আসছে পতিত জমির পরিমাণ। ধানের পাশাপাশি প্রায় লাখো কৃষক এই সরিষা আবাদে আগ্রহী হয়েছেন বলেও জানায় কৃষি অধিদফতর।
নেত্রকোনা সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের আমন আবাদের পর কিছুদিন জমিটা পতিত পড়ে থাকে। সরিষা আবাদের ফলে জমিও কাজে লাগছে পাশাপাশি নিজেদের ভোজ্য তেলের চাহিদাও মিটছে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে।
একই গ্রামের উদ্ভিদবিজ্ঞানের কলেজ শিক্ষক নাজমুল কবীর সরকার বার্তা২৪.কমকে জানান, চাকরি করলেও আমরা মুলত কৃষক। আমার বাবাও কৃষি কাজ করেছেন আমিও কৃষি কাজ করি। তিনি বলেন, সরিষা এমন এক ফসল যা শুধু ফেলে রাখলেই গাছ হয়। একদম কম খরচে ভালো ফলন যাকে বলে। যার জন্য অতিরিক্ত কিছু করা লাগে না। আমরা বিভিন্ন সভা সেমিনারে বলার চেষ্টা করছি সরিষা খুব সহজের একটি শস্য।
গত কয়েক বছরে সরিষার আবাদ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে কৃষি অধিদফতরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, আমরা কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তিন বছর মেয়াদি সরিষার আবাদ বৃদ্ধির জন্য পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। বিদেশী তেলের ওপর আমদানী ৪০ ভাগ নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্যে কৃষি প্রণোদনা ও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচী গ্রহণ পাশাপাশি প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে। এতে কৃষকরা সরিষা চাষে আগ্রহী হয় এবং ফলনও বাম্পার হয়েছে।
কয়েকদিন ধরেই রাজধানীসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে তাপমাত্রা কমে কনকনে শীত অনুভূত হয়েছে। তবে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়ে আগামী তিন দিন রাত ও দিনের তাপমাত্রা বাড়বে। এতে শীত কিছুটা কম অনুভূত হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে দেওয়া পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টা অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এই সময়ের মধ্যে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
তবে পঞ্চগড়, কুঁড়িগ্রাম, যশোর, মৌলভীবাজার ও গোপালগঞ্জ জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সময় বাড়ার সাথে সাথে এই শৈত্যপ্রবাহ কমতে পারে।ফলে, সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। আর মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আর এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আগামীকাল রোববার (১২ জানুয়ারি) দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
হবিগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস ও লেগুনার সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে মাধবপুর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অংশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
হাইওয়ে থানার ওসি মাহমুদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সকাল ৮ টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলায় স্টার সিরামিকের সামনে সিলেটগামী একটি যাত্রীবাহী বাস পেছন থেকে একটি লেগুনাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ২ জন নিহত ও ৪ জন আহত হন।
তিনি আরও বলেন, আহতদের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। লাশগুলো হাইওয়ে থানার সামনে রাখা হয়েছে।
কুষ্টিয়ায় ট্রাকের চাপায় রাজু আহাম্মেদ (২০) নামের এক নলকূপ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আহতরা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালীর সৈয়দ মাস-উদ রুমী সেতু এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাজু কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের কামারতলা গ্রামের আয়ুব আলির ছেলে। রাজু লেখাপড়ার পাশাপাশি নলকূপ শ্রমিকের কাজ করতো। এই ঘটনায় আহত শ্রমিক মিরাজুল, আসলাম এবং বিল্লাল একই এলাকার বাসিন্দা।ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা ট্রাক ড্রাইভার সন্দেহ এক ব্যক্তিকে ধরে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে কুষ্টিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আল মামুন বলেন, একটি ভ্যানযোগে চারজন নলকূপ শ্রমিক কুমারখালীর কয়া থেকে কাজের জন্য কুষ্টিয়ার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। ভ্যানটি সৈয়দ মাসুদ রুমি সেতুর মুখে এসে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি বালুবাহী ট্রাক ভ্যানটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রাজুর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আহত তিনজনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত রাজুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনার পরই ট্রাক চালক পালিয়ে গেলেও ট্রাকটিকে আটক করেছে পুলিশ।