বিমানের কর্মী-পাইলটদের বেতন-ভাতা কমছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস
  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ বিমান, ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ বিমান, ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস সংক্রমণে ইতোমধ্যে সারাবিশ্বের এয়ারলাইন্স সংস্থাগুলো ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বিভিন্ন দেশ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যে কারণে সারাবিশ্বে লক্ষাধিক ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিমানও তাদের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো বাতিল করতে বাধ্য হয়। বাতিল হওয়া ফ্লাইটের কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বিমান। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম সংকুচিত করার পাশাপাশি বিমানের কর্মী ও পাইলটদের বেতন-ভাতা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

সোমবার (২২ মার্চ) বিমান সূত্রে এই সিদ্ধান্তগুলো নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

বিমানের ১০ সিদ্ধান্তগুলো হলো:

১. বেতন বিভাগ ৬ষ্ঠ হতে তদূর্ধ্বের কর্মকর্তাসহ ককপিট এবং কেবিন ক্রুদের মূল বেতনের ১০ শতাংশ হারে অর্থ কর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি মার্চ ২০২০ সাল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

২. সকল প্রশাসনিক, কারিগরি ও অপারেশনাল কর্মচারী এবং প্রকৌশল কর্মকর্তাদের ওভারটাইম বন্ধ করা হলো। মার্চ ২০২০ সাল হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওভারটাইমের কোনো অর্থ প্রদান করা হবে না। অনিবার্য কারণে কোন কর্মচারীকে ওভারটাইম দিতে হলে তার রেকর্ড রাখতে হবে এবং ওভারটাইমের জন্য প্রযোজ্য অর্থ বিমানের আর্থিক সংকট উত্তরণ সাপেক্ষে পরবর্তীতে প্রদান করা হবে।

৩. কেবিন ক্রুদের প্রকৃত উড্ডয়ন ঘণ্টার ভিত্তিতেই ইউএসডি ২১.৪৩ প্রতি ঘণ্টা হারে (ইউএসডি ১৫০০/৭০ঘন্টা) আউট স্ট্যান্ডিং মিল/ ওভারসিস অ্যালাউন্স ভাতা প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য, আগে কেবিন ক্রুগণ মাসে ৭০ ঘণ্টার জন্য ১৫০০ ডলার হিসাবে আউট স্ট্যান্ডিং মিল/ ওভারসিস অ্যালাউন্স ভাতা পেতেন। কোনো ক্রু ৭০ ঘণ্টা ডিউটি না করলেও এই ১৫শ ডলার পেতেন। এখন থেকে এই নিয়ম রহিত করা হয়েছে। এখন থেকে একজন কেবিন ক্রু মাসে এক ঘণ্টা ডিউটি করলে এক ঘণ্টার ভাতা পাবেন।

৪. কেবিন ক্রুদের সকল ওভারটাইম ভাতা প্রদান রহিত করা হলো। কেবল লন্ডন স্টেশনের ক্ষেত্রে অনিবার্য কারণে ওভারটাইম ভাতা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। উল্লেখ্য, এক্ষেত্রেও কোন কর্মচারীকে ওভারটাইমে নিয়োজিত রাখা হলে তার রেকর্ড রাখতে হবে এবং ওভারটাইমের জন্য প্রযোজ্য অর্থ বিমানের আর্থিক সংকট উত্তরণ সাপেক্ষে প্রদান করা হবে।

৫. বিমানের অপারেশন বিঘ্ন না ঘটিয়ে ককপিট এবং কেবিন ক্রুদের প্রতি মাসে ৮দিন ছুটি (ডেজঅফ) দেওয়া হয়েছে। ডেজ অফ বাবদ চলতি মাস থেকে কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না। পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০২০ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে রিফিউজড ডেজ অফ সমূহ এ সময়ে প্রদান করতে হবে যেন রিফিউজড ডেজ অফ এর বিপরীতে বিশেষাধিকার ছুটির নগদায়ন সংশ্লেষ না হয়।

৬. চলতি মাস থকে নির্বাহী পরিচালক, মহা-ব্যবস্থাপক ও সমমানের এবং মর্যাদার কর্মকর্তা, উপ-মহাব্যবস্থাপক/সমমর্যাদার কর্মকর্তা এবং অন্যান্যদের আপ্যায়ন ভাতা বিদ্যমান হারের শতকরা ৫০ ভাগ প্রদান করা হবে।

৭. মার্চ/২০২০ থেকে কোন মিল অ্যালাউন্স প্রদান করা হবে না।

৮. সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য ফুড সাবসিডি ভাতা চলতি মাস থেকে বন্ধ করা হয়েছে।

৯. পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পূর্ত ও সেবামূলক কাজের অর্থ পরিশোধ স্থগিত করা হলো।

১০. প্রকৌশল পরিদফতর ও অন্যান্য পরিদফতরের কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য জ্বালানি বা জ্বালানি ব্যয় বাবদ কোন রূপ অর্থ প্রদান করা হবে না।