‘করোনা মোকাবিলায় ৩ মাস আগে থেকে বাংলাদেশ প্রস্তুত’

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক/ছবি: বার্তা২৪.কম

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক/ছবি: বার্তা২৪.কম

করোনা মোকাবিলায় তিন মাস আগে থেকেই বাংলাদেশ প্রস্তুত ছিল বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আগামী ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি হাসপাতালে করোনার পরীক্ষাগার স্থাপন করা হবে। করোনা মোকাবিলায় কেউ আগে থেকে প্রস্তুত থাকে না। যুক্তরাষ্ট্রও ছিল না। এমনকি চীনেও কোনো প্রস্তুতি ছিল না। বাংলাদেশ তিন মাস আগে থেকে প্রস্তুত ছিল।

স্কুল-কলেজ বন্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেখানে যুক্তরাজ্য-আমেরিকায় এখন স্কুল কলেজ বন্ধ হচ্ছে সেখানে আমরা অনেক আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের আগে থেকে প্ল্যান ছিল বলে এসব করতে পারছি।

তিনি বলেন, ল্যাব আমাদের আছে, নতুন যেটি সেটি আমরা বাড়তি করছি। মেশিনগুলো তিনমাস আগে প্ল্যান রেখেছিলাম তাই গত সপ্তাহে আমরা মেশিনগুলো পেয়েছি। ল্যাবের কিছু প্রয়োজনীয়তা আছে, সেখানে লেভেল-২ সিকিউরিটির দরকার। সে জন্য আমরা বলছি ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগবে। কিন্তু আমাদের টেস্ট থেমে নেই। এখন পর্যন্ত আমরা প্রায় আড়াইশ'র বেশি টেস্ট করেছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে যারা আসছে, অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অনেকে দরজা, জানালা দিয়ে আবার কেউ দেয়াল টপকে পালিয়ে যাচ্ছে। পরে আবার ধরে আনতে হচ্ছে। আমি এই মানসিকতা বুঝতে পারছি না। তারা অসুস্থ হলে আমরা সেবা দিতে পারব, তার পরিবারকে রক্ষা করতে পারব। সে ঘুরে বেড়ালে আরো দশজনকে আক্রান্ত করবে, পরিবারকে আক্রান্ত করবে। ফ্লাইট প্রায় সব বন্ধ হয়ে গেছে, বাকি যে কয়টি আছে সেগুলোও হয়ত দ্রুতই বন্ধ হয়ে যাবে। তাহলে বাইরে থেকে সংক্রমিত কেউ আসবে না। অনেকে চট্টগ্রাম সমুদ্র সৈকতে, আবার অনেকে স্কুল বন্ধ করার পর বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে চলে গেলো। অভিভাবকদের এগুলো বলা দরকার। ধর্মীয় অনুষ্ঠান সীমিত করতে বলেছি, বন্ধ করতে বলিনি। তারপরও ফেসবুকে অনেক কথা উঠছে। সৌদি, ইরানসহ অনেক দেশেই ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ হয়েছে, কিন্তু আমরা তা করিনি।

করোনা সংক্রমণের এই সময়ে কীট খুঁজছেন, এতো সময় পাওয়ার পরও কেন এতো বিলম্ব হলো এমন প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, আমরা প্রস্তুত আছি এখনও বলছি। পিপি কিন্তু কেউ বানিয়ে রাখে না। চায়নায় যখন হয়ছে তখন তাদেরও পিপি ছিল না, এটা তৈরি হয় চায়নায়। এখনও পিপি'র তেমন দরকার নেই, আমরা তারপরও লক্ষ লক্ষ পিস পিপি তৈরি করে রেখেছি। আমেরিকাসহ ৫০টি দেশ স্টেট লকডাউন করেছে, ভারত প্রায় ১৪টি লকডাউন করে রেখেছ। ফলে আগেই কিছু চিন্তা করে রাখা যায় না। আগে থেকে ব্যবস্থা থাকায় এতো মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে পেরেছি। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ল্যাব আমাদের আছে, নতুন যেটি সেটি আমরা বাড়তি করছি। মেশিনগুলো তিনমাস আগেই প্ল্যান করে রেখেছিলাম তাই গত সপ্তাহে পেয়েছি। ল্যাবের কিছু প্রয়োজনীয়তা আছে, সেখানে লেভেল-২ সিকিউরিটির দরকার। সে জন্য আমরা বলছি ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগবে। কিন্তু আমাদের টেস্ট থেমে নেই। এখন পর্যন্ত আমরা প্রায় আড়াইশ'র বেশি টেস্ট করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা ৫০ হাজার পিসিআর (পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন) টেস্টের ব্যবস্থা নিয়েছি। ৫০ হাজার কিটসের অর্ডার আমরা দিয়েছি। সেগুলো চলে আসছে এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় ৫০ হাজার কিট দিচ্ছে। ফলে আমাদের কাছে কিটস আছে এখন ১ লাখ। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশ অনেক ভালো আছে। আমাদের চেস্টা করতে হবে এই ভাইরাস যেন ছড়িয়ে না পড়ে। আমরা ব্যবস্থাও নিয়েছি, আমাদের প্রায় ১৮ হাজার মানুষকে সঙ্গরোধে নিয়েছি।