হোটেল বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ছবি: বার্তা২৪.কম

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ছবি: বার্তা২৪.কম

করোনাভাইরাসের কারণে দেশের হোটেল-বারগুলো বন্ধের মতো কোনো পরিস্থিতি এখনো সৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সোমবার (১৬ মার্চ) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বেসরকারি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রগুলোর মানোন্নয়নে সরকারি অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

দেশের বারগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্কুল-কলেজগুলো ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। বেশিরভাগ বারই হোটেল বেইজড। থ্রিস্টার, ফাইভস্টার হোটেল বন্ধ করব কিনা, আপনাদের কাছেই প্রশ্ন রাখতে চাই। বার বন্ধের প্রশ্ন তখন আসবে, যখন হোটেল বন্ধ করে দেব, সব ক্লোজ করে দেব। এখনও সেই সিচ্যুয়েশন আমাদের আসেনি।

কুড়িগ্রামের ঘটনায় যে উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে বিতর্কিত অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন, তিনি মদ-গাঁজা সরবরাহ করেছেন বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এজন্য তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলেন, আইন সবার জন্য সমান। সরকারি কর্মকর্তা হোক বা সাধারণ নাগরিক, সবার জন্য আইন সমান। আমাদের মন্ত্রণালয়ের কাছে তার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। আমরা যতটুকু জানি, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। যারা আইন অমান্য করবে, তাদের শাস্তি আইন অনুযায়ী হবে। 

নিরাময় কেন্দ্রগুলোর মানোন্নয়নে সরকারি অনুদান তুলে দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ছবি: বার্তা২৪.কম

করোনার কারণে পুলিশের ট্রেনিংগুলো স্থগিত করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেখানে যেটা বন্ধ করা উচিত বলে মনে হচ্ছে, সেটি বন্ধ করা হচ্ছে। ট্রেনিং বন্ধ হওয়ার মতো এতো ইমার্জেন্সি আছে বলে মনে করিনি। এটা আবাসিক ট্রেনিং, আবাসস্থলেই থাকে। এ পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি যে সব বাড়ি-ঘরে বসে থাকবে।

সঙ্গরোধ বা কোয়ারেন্টাইনে থাকা অনেকে বাইরে বের হচ্ছেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন- এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেখানেই আইন অমান্য হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেখানেই ব্যবস্থা নিচ্ছে। গাজীপুরের কালিগঞ্জে জনগণই স্বপ্রণোদিত হয়ে একজনকে ধরে নিয়ে ঘরে আবদ্ধ করেছেন। সবাই সতর্ক হয়ে গেছেন, যারা এ কাজটি করছেন, তারা নিজেরা এটি বিবেচনা করে সতর্ক হবেন বলেই আশা করছি।

এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (সচিব) মো. জামাল উদ্দিন আহমেদসহ অনেকে বক্তব্য দেন।