করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃৃহীত

ছবি: সংগৃৃহীত

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চাহিদার প্রেক্ষিতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ বিভাগ। বরাদ্দকৃত এ অর্থ ব্যয়ে কিছু শর্তসহ কোন খাতে কত টাকা ব্যয় করা যাবে তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গত ৫ মার্চ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দেয়।

বুধবার (১১ মার্চ) ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে অর্থ বিভাগ।

বিজ্ঞাপন

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের উপসচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ স্বাক্ষরিত বরাদ্দপত্রে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এর প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও “কোভিড-১৯” এ আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য অর্থ বিভাগের অপ্রত্যাশিত ব্যয় ব্যবস্থাপনা খাত হতে চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অনুকূলে সচিবালয় অংশে “সাধারণ থোক বরাদ্দ” খাতে ইতোমধ্যে বরাদ্দকৃত ৫০ কোটি টাকা স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীন প্রধান কার্যালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুকূলে নিম্নোক্তভাবে পুনঃউপযোজনে নির্দেশক্রমে অর্থ বিভাগের সম্মতি জ্ঞাপন করা হলো।

এক্ষেত্রে চিকিৎসা ও শল্য চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সরবরাহ বাবদ ব্যয় করতে হবে ৪৫ কোটি ৫১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। জনসচেতনতায় প্রকাশনা কাজে ব্যয় করতে হবে ১ কোটি ৯৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এছাড়া কেমিক্যাল-রি-এজেন্ট খাতে ব্যয় করতে হবে ২ কোটি ৫০ হাজার টাকা।

এছাড়া বরাদ্দকৃত এ অর্থ ব্যয়ে কিছু শর্তও জুড়ে দেয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রোকিউরমেন্ট অ্যাক্ট-২০০৬ এবং পাবলিক প্রোকিউরমেন্ট রুলস-২০০৮ অনুসরণসহ যাবতীয় সরকারি আর্থিক বিধি-বিধান যথাযথভাবে পালন করতে হবে। এ অর্থ প্রস্তাবিত খাত ( করোনাভাইরাস “কোভিড - ১৯ ) ব্যতীত অন্য কোন খাতে ব্যয় করা যাবে না।

এ অর্থ চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সংশ্লিষ্ট খাতে সমন্বয় করতে হবে। এ খাতের অর্থ অন্য খাতে পুনঃউপযোজন বা স্থানান্তর করা যাবে না। অব্যয়িত অর্থ ( যদি থাকে ) ৩০ জুন ২০২০ তারিখের মধ্যে সমর্পণ করতে হবে। এছাড়া অর্থ ব্যয়ের ১০ দিনের মধ্যে কোন কোন খাতে ব্যয় হয়েছে তার বিস্তারিত অর্থ বিভাগকে জানাতে হবে।

এর আগে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গত ৫ মার্চ ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সুশীল কুমার পাল স্বাক্ষরিত চিঠি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য বিভাগ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ‘কোভিড-১৯’ এর চিকিৎসার নিমিত্তে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং জেলা/উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে উপদেষ্টা করে দুইটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

‘কোভিড-১৯’ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখতে হয়। এ জন্য সিসিইউ, আইসিইউ, আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু, সহায়ক স্বাস্থ্যসেবা (সাপোর্ট কেয়ার), করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য কীট এবং বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয়ের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের সব জেলা বা জেনারেল হাসপাতালসহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের জন্য চিকিৎসা সুবিধা স্থাপন/সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবালয় অংশে সাধারণ থোক বরাদ্দ খাতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রয়োজন।

এ অবস্থায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও ‘কোভিড-১৯’ এ আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসা সুবিধা স্থাপন বা সম্প্রসারণের জন্য অর্থ বিভাগের অপ্রত্যাশিত খাত থেকে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।