‘করোনায় আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ৪০ জন কোয়ারেন্টাইনে’

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন  মো. আসাদুল ইসলাম/ছবি: বার্তা২৪.কম

মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন মো. আসাদুল ইসলাম/ছবি: বার্তা২৪.কম

করোনাভাইরাসের আক্রান্ত তিন জনের সংস্পর্শে আসা ৪০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।

সোমবার (৯ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

বিজ্ঞাপন

করোনা ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে। আমরা কন্ট্রাক্ট ট্র্যাকিং করি, তারা কোথায় গেছে, কার সঙ্গে মিশেছে, কোন জায়গায় চা খেয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা আক্রান্ত একজনের সংস্পর্শে আসা ৪০ জনকে ট্র্যাক করেছি, তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করেছি। এটা সম্পূর্ণ ডব্লিউএইচও প্রটোকল। যে কার সঙ্গে আমরা ফার্স্ট কন্ট্যাক্ট করব, সেকেন্ডে কাদের সঙ্গে কনট্যাক্ট করব, কিভাবে চিহ্নিত করব।

তিনি বলেন, কার সঙ্গে মিশেছে, কোথায় গেছে সে অনুযায়ী তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এটার নির্দিষ্ট সংখ্যা বলতে পারব না। তাদের যতো কন্ট্যাক্ট আইডেন্টিফাই করেছি সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে রেখেছি।

ইতালি থেকে আসা যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তারা বিমানবন্দর পেরিয়ে আসল কিভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনায় ভাইরাস থাকলে সঙ্গে সঙ্গে জ্বর আসবে বা অন্যকিছু হবে তা নয়। ১৪ দিন পর্যন্ত এটির উপসর্গ হিডেন থাকতে পারে। যখন তিনি এসেছেন তখন কিন্তু তার উপসর্গ ছিল না। ফলে আইডেন্টিফাই করার ব্যবস্থা নেই, এমনকি স্ক্যানিংয়ে তার জ্বর ধরা পড়বে না। তাদের একটি লোকটর ফর্ম দেয়া হয়েছে, সেখানে সে কিভাবে থাকবে তার তথ্য নেয়া হয়, আর কোনো উপসর্গ দেখা দিলে চলে আসবেন সেটি বলা হয়। আমরা সে ক্ষেত্রে তাদের মোবাইল ট্র্যাকিং করি। তারা কোথায় থাকলো, কি করেছে এগুলো জানি। আবার তারাও হটলাইনে যোগাগাযোগ করে জ্বর, কাশি হলে। এভাবে ১০০ জনকে আমরা টেস্ট করেছি যাদের এই উপসর্গ ছিল। তাদের মধ্যে এই দুইজন যারা বিদেশ থেকে এসেছিল তাদের শরীরে ধরা পড়ছে।

বিদেশ থেকে আসার ক্ষেত্রে কোনো বিধি নিষেধ দেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেসব দেশে বেশি আক্রান্ত হয়েছে সেসব দেশ থেকে যেন কম আসে। এমনকি আমাদের যারা সে দেশে আছে তাদের যাতায়াত রেস্ট্রিক্টেড করার পরামর্শ দিয়েছিলাম। এদের মধ্যে যেসব দেশে বেশি প্রাদুর্ভাব তাদের অনএরিভাল ভিসা স্থগিত করেছি। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আমরা পরামর্শ দিয়েছি।

এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিকেলে বাস্তবায়ন কমিটির মিটিং আছে, সেখানে সিদ্ধান্ত হবে। জেনারেল ইন্সট্রাকশন হলো- বড় গ্যাদারিং এভোয়েড করতে হবে। যে কারণে অনেক প্রোগ্রাম রি-শিডিউল হচ্ছে। স্কুলগুলোর বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যাতে বেশি গ্যাদারিং না হয়।