করোনায় আক্রান্তদের রাখা হবে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, ছবি: সংগৃহীত

কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, ছবি: সংগৃহীত

নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তদের ক্ষেত্রে 'আইডেন্টিফাইড' রোগীদের কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে রাখা হবে। আর যারা আইডেন্টিফাইড নন, শুধুমাত্র বিভিন্ন উপসর্গ থাকবে, তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। তাদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেলগুলো প্রস্তুত রয়েছে।

জানা গেছে, করোনাভাইরাসের জন্য কুয়েত মৈত্রী হাসপাতা‌লে ২০০ বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব বেডে শুধুমাত্র আক্রান্ত রোগীদের রাখা হবে। এরপর প্রয়োজন অনুযায়ী কুর্মিটোলা হাসপাতালে রোগী রাখা হবে। এছাড়া প্রতিটি হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট রাখা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

আর যারা আইডেন্টিফাইড রোগী নন তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। সেজন্যও পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। এ ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে যাদের অবস্থা গুরুতর নয়, তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। আর তাদের চিকিৎসার জন্যও আলাদা ব্যবস্থা থাকবে। এ ক্ষেত্রে হোম আইস্যুলেশনে রোগীর জন্য কি কি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা হবে সেটি ব্যাপকভাবে প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকের পরিচালক ডা. মো. আমিনুল হাসান বার্তা২৪.কমকে জানান, করোনায় আক্রান্তের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র যারা 'আইডেন্টিফাইড' রোগী অর্থাৎ যাদের দেহে করোনা পাওয়া যাবে, তাদের আমরা আইসোলেশনে রাখব। সেজন্য কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল প্রস্তত রাখা হয়েছে, সেখানে ২০০ বেড রয়েছে। এরপর প্রয়োজনে আমরা কুর্মিটোলা হাসপাতালে রোগী রাখব। আর যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন, তাদের জন্য কি ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকবে, সে ব্যাপারে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে অনতিবিলম্বে আইসোলেশন ইউনিট খোলার নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। হাসপাতালগুলোতে কমপক্ষে পাঁচ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট চালু করার কথা বলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জন একই পরিবারের সদস্য। আক্রান্তদের দু’জন ইতালি ফেরত এবং অপরজন ইতালি ফেরত স্বজনের থেকে সংক্রমিত হয়েছেন। আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দু’জন পুরুষ, একজন নারী। তাদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।