বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেছেন, বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর কোনো নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত 'ভোটাধিকার হরণ ও নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংসের প্রতিবাদে' বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের অনেক কষ্টে অর্জিত গণতন্ত্র আজ স্বৈরতন্ত্র, পরিবারতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। আজকে নির্বাচন ও ভোটাধিকারকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশে ১৯৭৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কোনো নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় নাই। এরমধ্যে ৪টি নির্বাচন ১৯৯১, ৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ এ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আপেক্ষিক সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছিল।
তখন জনগণ ভোট এবং মতামত প্রকাশ করতে পেরেছিল। কিন্তু সেখানেও কালোটাকা, পেশি শক্তির দাপট এবং প্রশাসনিক কারসাজির দাপট বিরাজমান ছিল। তাই আমরা বলতে চাই স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের যে সংবিধান এখানে বলা আছে সকল পর্যায় থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা দেশ শাসিত হবে। কিন্তু সেই কথা বারে বারে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হতে পারে না।
সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, বরাবরের মতো সিটি করপোরেশন নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হয়নি। নির্বাচন কমিশন তাদের নিজেদের মতো করে ফল ঘোষণা করেছে। এই সরকারের ছাত্রলীগ-যুবলীগকে দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করেছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফরসহ বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।