'বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ১৪ মার্চ'

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, ছবি: বার্তা২৪.কম

রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, ছবি: বার্তা২৪.কম

যমুনা নদীর উপর দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু ডুয়েল গেজ (ডাবল লাইন) রেল সেতু নির্মাণের জন্য ভিত্তিপ্রস্তরের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৪ই মার্চ। এমনটাই জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রেল ভবনের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা-কলকাতায় চলাচলরত "মৈত্রী এক্সপ্রেস" এবং খুলনা-কলকাতায় চলাচলরত "বন্ধন এক্সপ্রেস" ট্রেনের ট্রিপ বাড়ানোর বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

বিজ্ঞাপন

রেলমন্ত্রী বলেন, 'এই দিনে প্রধানমন্ত্রী নিজে যমুনা নদীর পাড়ে গিয়ে এই রেল সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারেন অথবা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেও হতে পারে। তবে এখনো তা ফাইনাল হয়নি। সকল কাজ কমপ্লিট হয়ে গেছে। জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু সেতুর কাজ করবেন।'

সরকার ভারতের সাথে বাংলাদেশের আরো দুটি ট্রেন পরিচালনার কথা ভাবছে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, 'রাজশাহীর মানুষের চাহিদার কথা বিবেচনা করে রাজশাহী থেকে শিয়ালদাহ পর্যন্ত আমরা চাচ্ছি, কিন্তু ভারত চাচ্ছে রাজশাহী থেকে হাওড়া পর্যন্ত। তবে আমার গুরুত্ব দিচ্ছি শিয়ালদাহ পর্যন্ত। এর পাশাপাশি চিলাহাটি হলদিবাড়ি সাত কিলোমিটার রেললাইন চালু হলে এই বছরেই আমরা ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি ট্রেন চালু করতে পারব। এই ব্যাপারে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত রিভা গাঙ্গুলিও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।'

পদ্মা রেল লিংক রেলের কাজের গতি কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, 'পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে যেদিন বাস চলাচল করবে একই দিনে যাতে ট্রেন চলতে পারে সেই টার্গেট রেখেই আমাদের কাজ চলমান রয়েছে। তবে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে মাওয়া অংশটুকু রেলের কাজ দ্রুত করার।'

ভারতের সাথে যেহেতু বাংলাদেশের ট্রেন যোগাযোগ আছে সেক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় রেলে কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'করোনা ভাইরাস নিয়ে বাংলাদেশে সেই ধরনের এলিগেশন এখনো পাওয়া যায়নি। চীন থেকে আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষ এয়ারপোর্ট হয়ে আসছে। সেক্ষেত্রে এয়ারপোর্টে এই ধরনের ব্যবস্থা বেশি নেওয়া হয়েছে। রেলের যেসব প্রকল্পে চীনারা কাজ করছেন, আমরা অফিস থেকে নির্দেশনা দিয়েছি, যারা চীন থেকে আসছেন তাদেরকে দু সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রেখে তারপর কাজে যাওয়ার নির্দেশ দিতে। তাছাড়া চীনারা যেসব এলাকায় কাজ করছে তাদের নজরে রাখতে সেখানকার স্থানীয় হাসপাতালেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।