রাজধানীর উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের একটি ফ্ল্যাট থেকে কাজী গোলাপ হোসেন (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পশ্চিম থানা-পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে নিজ বাসা থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
নিহত গোলাপ বাবলু পরিবহনের আব্দুল্লাহপুরের কাউন্টার মাস্টার। তিনি উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের ১০ নম্বর রোডের ৩ নম্বর বাড়ির সপ্তম তলায় স্ত্রী ও মেয়ে নাফিজাকে নিয়ে বসবাস করতেন।
বাড়ির কেয়ারটেকার রফিকুল ইসলাম জানান, গোলাপ হোসেনের স্ত্রী আজ সকালে তাকে ফোন দিয়ে জানায়, তার স্বামীর মোবাইল বন্ধ রয়েছে। তার কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না। পরে ফ্ল্যাটে গিয়ে দরজা বন্ধ দেখতে পান। কিন্তু একটি জানালা খোলা থাকায় জানালা দিয়ে ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় গোলাপ হোসেনের লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, পরে পশ্চিম থানা-পুলিশকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে আসে এবং গলাকাটা ও নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে এসেছে, এমন অবস্থায় বিছানার ওপর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে উত্তরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শচীন মৌলিক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রাথমিক সুরতহালের কাজ শেষ হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেডে শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে মো. সাদেকুল ইসলাম (২৪) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোড এলাকার আসামির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭ এর একটি দল।
গ্রেফতার হওয়া সাদেকুল ইসলাম কক্সবাজার মহেশখালীর সিকদারপাড়া এলাকার মো. ফরিদুল আলমের ছেলে।
র্যাব জানায়, বলাৎকারের শিকার ওই শিশু মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র। গত ১৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাদেকুল ইসলামের রুমে নিয়ে যান। পরে সেখানে তাকে বলাৎকার করা হয়। শিশুটি অসুখ হয়ে পড়লে অভিভাবকদের ফোন করেন মাদ্রাসা শিক্ষক সাদেকুল।
তারপর বাড়ির লোকজন শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই সময় শিশুটি তার পরিবারকে সব কিছু খুলে বলে।
পরবর্তীতে এ ঘটনায় ২১ অক্টোবর ইপিজেড থানায় মামলা করেন শিশুটির বাবা। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সাদেকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারের পর তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে চলছে অবাধে মা ইলিশ নিধনের মহোৎসব। মৎস্য অধিদফতর যে ট্রলারের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করেন সেই ট্রলারের চালকের নেতৃত্বে টাকার বিনিময়ে জেলেদের মাছ ধরতে সহযোগিতা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েকশ মাছ ধরার ডিঙ্গি নৌকা ও ইঞ্জিনচালিত ট্রলার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুরো নদী।
অভিযোগ রয়েছে, ইলিশ রক্ষা অভিযান দলের মধ্যে কিছু অসাধু ব্যক্তিকে ম্যানেজ করেই অবাধে ইলিশ নিধন করছেন জেলেরা। ওই অসাধু ব্যক্তিরা বিশেষ সুবিধা নিয়ে প্রশাসনের অভিযানে নামার খবর জেলেদের কাছে পৌঁছে দেয়। এতে জেলেরা সর্তক হয়ে যান। অভিযান শেষে পুনরায় নদীতে জাল নিয়ে নামেন তারা। তবে নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যেসব জেলেরা মাছ শিকার করছেন তারা অধিকাংশই মৌসুমি জেলে বলে দাবি করেছেন প্রকৃত জেলেরা।
ইলিশ মাছ ধরার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এমন একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের একাধিক টিম নদীতে অভিযান চালায়। এসব অভিযানে দ্রুত গতির ট্রলার ও স্পিড বোট ব্যবহার করা হয়। এসব ট্রলারের যারা মাঝি থাকেন তারাই জেলেদের কাছে অভিযানের সংবাদ পৌঁছে দেন। এমনকি অভিযানে থাকা মাঝিরা ইলিশ মাছ ধরা এবং বিক্রির সাথেও জড়িত রয়েছেন। তাদেরই একজন নলছিটি মৎস্য অধিদফতরের ট্রলার চালক গৌতম ও ঝালকাঠি মৎস্য বিভাগের ট্রলার চালক সুমন মাঝি। তাদের ট্রলার নিয়ে মৎস্য কর্মকর্তা অভিযানে নামেন।
অভিযোগ রয়েছে, গৌতম ও সুমন জেলেদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে অভিযানে নামার সংবাদ জেলেদের কাছে ফাঁস করে দেন। গৌতম ইলিশ মাছ ধরা, বিক্রি ও পাচারের সাথেও রয়েছে। যেসব জেলেরা তাদের ম্যানেজ করেন, তারা তাদের অবস্থান জানেন। ফলে অভিযান শুরু হলে ট্রলার চালক ওই জেলেদের মাছ ধরার স্থানে ট্রলার নেন না।
ট্রলার চালক গৌতম ও সুমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের সাথে মৎস্য কর্মকর্তারা থাকেন। আমরা কোনো জেলেদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে খবর দেই না। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
নলছিটি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রমনী কুমার মিস্ত্রি বলেন, অভিযানে নামলে কেউ মোবাইল করার সুযোগ থাকে না। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে অভিযানে একই ট্রলার চালক রাখা হয়েছে কেনো? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, গৌতমের ট্রলারের গতি বেশি হওয়ার কারণে তাকেই নেয়া হয়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ট্রলার চালকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাদেরকে বাদ দেয়া হবে।
ঐতিহ্যবাহী এবং রাজকীয় মোটরবাইকের কথা বললেই মানসপটে ভেসে ওঠে রয়্যাল এনফিল্ড মোটরবাইকের ছবি। সেই বাইক এখন বাংলাদেশের বাজারে। তা কিনতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে লাইনে অপেক্ষায় বিপুল সংখ্যক ক্রেতা।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে রয়্যাল এনফিল্ডের অগ্রিম ফরমাশ (প্রি-অর্ডার) কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এজন্য অনেকে ভিড় এড়াতে রাত ৩টা থেকে লাইনে এসে দাঁড়িয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে রয়্যাল এনফিল্ড কিনতে মানুষের লাইন গিয়ে ঠেকেছে ১০০ মিটার দূরে টিভিএস মোটরসাইকেলের শোরুম পর্যন্ত। সবার অপেক্ষা অতি কাঙ্ক্ষিত মোটরসাইকেল দেখা ও প্রি-বুকিং দেওয়া। শোরুমের ভেতরেও প্রি-বুকিং নিতে হিমশিম খাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা।
শোরুমের একজন নিরাপত্তাকর্মী জানিয়েছেন, সকালের দিকে যারা প্রি-বুকিং দিয়েছেন তারা রাত ৩টা থেকে লাইনে এসে দাঁড়িয়েছেন।
প্রি-বুকিং দেওয়া এক ক্রেতা বলেন, এখানে আসছি সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে, কিন্তু শো-রুমে ঢুকতে পেরেছি দুপুর দেড়টার দিকে। তারপর প্রি-বুকিং দিতে পেরেছি। পছন্দের বাইক প্রি-বুকিং দিতে আমার এক বছরের অপেক্ষা শেষ হলো আজ।
এখন পর্যন্ত কী পরিমাণ মোটরসাইকেল প্রি-বুকিং হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি বাংলাদেশে রয়্যাল এনফিল্ডের প্রস্তুতকারক ও পরিবেশক ইফাদ মোটরস লিমিটেডের কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে তাদের একজন বলেন, অনেকে অনলাইনে প্রি-বুকিং দিয়েছেন। আবার অনেকেই নগদ টাকায় প্রি-বুকিং দিতে চান, তারা আজ এখানে এসেছেন। ফলে এখন আমরা সবাই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি। এখনই এই হিসাবটা বলা যাচ্ছে না। প্রি-বুকিং মানি ধরা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে রয়্যাল এনফিল্ডের প্রদর্শনী কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চারটি মডেলের মোটরবাইকের অগ্রিম ফরমাশ (প্রি-অর্ডার) কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। একই সঙ্গে রয়্যাল এনফিল্ডের শোরুমও চালু করা হয়। দেশের বাজারে রয়্যাল এনফিল্ডের চারটি মডেলের মোটরবাইকের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার থেকে ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। অনুষ্ঠানে ইফাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগে (এলজিইডি) দায়িত্বরত প্রকৌশলী ইকবাল কবিরের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলেও বহাল তবিয়তে আছেন তিনি। তবে ঘুষ গ্রহণের মাত্রা আরো বেড়ে গেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তোভোগীরা।
২০২৩ সালে ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ভাইরাল হয় ইকবালের। সেই থেকে আলোচিত সমালোচিত হন তিনি। ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ভাইরালের পর তদন্ত শুরুর কথা শুনলেও কোন তথ্য দিতে পারেননি তার কর্তৃপক্ষ। একটি অফিস সূত্র দাবি করে যে, তদন্ত নামমাত্র শুরু হলেও অনৈতিক সুবিধার মধ্যে তা ফাইলবন্দি রয়েছে।
এদিকে ঘুষের টাকাসহ ভিডিও সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লেও তার কোন প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগীরা। বরং ভিডিও ধারণকারীকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন ইকবাল কবির।
গণমাধ্যমে নাম প্রকাশে না করার শর্তে একাধিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীরা জানান, পাবনার ঈশ্বরদী এই প্রকৌশলীর বাড়ি। সেখানে তিনি ঠিকাদারদের দিয়ে বস্তায় বস্তায় ইলিশ মাছ 'উপহার' পাঠাতে বাধ্য করেন। তিনি ৫ আগষ্টের পর সাধারণ ঠিকাদারদের আ'লীগ পন্থী বলে চালিয়ে দিয়ে বিল আটকে দিচ্ছেন। আবার যে পরিমাণ ঘুষ দাবি করছেন তা পেলে ফাইল ছেড়ে দিচ্ছেন। তিনি এতটাই বেপরোয়া যে তার বদলী রাজাপুর হওয়ার পরও টাকার জোরে তা থামিয়ে নলছিটিতেই থেকে গেছেন। কারন এই ছোট উপজেলায় দুর্নীতি দমন কমিশন বা অন্য তেমন কারও নজর সহজে পড়েনা।
এদিকে ভাইরাল সেই ৪৪ সেকেন্ডের ঐ ভিডিওটি আবারও আলোচনায় আসে এবং নতুন করে বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে ইকবাল কবিরের বিচার চান অনেকে। ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, নিজ দফতরের চেয়ারে বসে থাকা প্রকৌশলী ইকবাল কবিরকে অপর পাশ থেকে কিছু টাকা দিচ্ছে। টাকাটা টেবিলে রাখার কিছুক্ষণের মধ্যে হাতে নিয়ে পকেটে রেখে দেন ইকবাল কবির।
এ বিষয়ে ইকবাল কবিরকে ফোন দিলে তিনি কোন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি এবং হোয়াটসঅ্যাপে তাকে খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোন উত্তর দেননি।
তদন্তের বিষয় জানতে ঝালকাঠির এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী দফতরে লিখিতভাবে জানতে চাইলে তার কোন উত্তর এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত হাতে আসেনি প্রতিবেদকের।