বহাল তবিয়তে প্রকৌশলী ইকবাল, ঘুষের মাত্রা বাড়ার অভিযোগ ভুক্তোভোগীদের

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঝালকাঠি
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগে (এলজিইডি) দায়িত্বরত প্রকৌশলী ইকবাল কবিরের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলেও বহাল তবিয়তে আছেন তিনি। তবে ঘুষ গ্রহণের মাত্রা আরো বেড়ে গেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তোভোগীরা।

২০২৩ সালে ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ভাইরাল হয় ইকবালের। সেই থেকে আলোচিত সমালোচিত হন তিনি। ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ভাইরালের পর তদন্ত শুরুর কথা শুনলেও কোন তথ্য দিতে পারেননি তার কর্তৃপক্ষ। একটি অফিস সূত্র দাবি করে যে, তদন্ত নামমাত্র শুরু হলেও অনৈতিক সুবিধার মধ্যে তা ফাইলবন্দি রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে ঘুষের টাকাসহ ভিডিও সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লেও তার কোন প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগীরা। বরং ভিডিও ধারণকারীকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন ইকবাল কবির।

গণমাধ্যমে নাম প্রকাশে না করার শর্তে একাধিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীরা জানান, পাবনার ঈশ্বরদী এই প্রকৌশলীর বাড়ি। সেখানে তিনি ঠিকাদারদের দিয়ে বস্তায় বস্তায় ইলিশ মাছ 'উপহার' পাঠাতে বাধ্য করেন। তিনি ৫ আগষ্টের পর সাধারণ ঠিকাদারদের আ'লীগ পন্থী বলে চালিয়ে দিয়ে বিল আটকে দিচ্ছেন। আবার যে পরিমাণ ঘুষ দাবি করছেন তা পেলে ফাইল ছেড়ে দিচ্ছেন। তিনি এতটাই বেপরোয়া যে তার বদলী রাজাপুর হওয়ার পরও টাকার জোরে তা থামিয়ে নলছিটিতেই থেকে গেছেন। কারন এই ছোট উপজেলায় দুর্নীতি দমন কমিশন বা অন্য তেমন কারও নজর সহজে পড়েনা।

এদিকে ভাইরাল সেই ৪৪ সেকেন্ডের ঐ ভিডিওটি আবারও আলোচনায় আসে এবং নতুন করে বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে ইকবাল কবিরের বিচার চান অনেকে। ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, নিজ দফতরের চেয়ারে বসে থাকা প্রকৌশলী ইকবাল কবিরকে অপর পাশ থেকে কিছু টাকা দিচ্ছে। টাকাটা টেবিলে রাখার কিছুক্ষণের মধ্যে হাতে নিয়ে পকেটে রেখে দেন ইকবাল কবির।

এ বিষয়ে ইকবাল কবিরকে ফোন দিলে তিনি কোন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি এবং হোয়াটসঅ্যাপে তাকে খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোন উত্তর দেননি।

তদন্তের বিষয় জানতে ঝালকাঠির এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী দফতরে লিখিতভাবে জানতে চাইলে তার কোন উত্তর এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত হাতে আসেনি প্রতিবেদকের।