‘জেএমবিকে সক্রিয় করার চেষ্টা করছে গ্রেফতার জঙ্গিরা’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম

পুরাতন জেএমবি জঙ্গিরা আবারও সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। নিজেদেরকে আগের মতো সক্রিয় করতে পার্বত্য চট্টগ্রামে জমি লিজ নিয়ে মাদরাসার আদলে ট্রেনিং সেন্টার গড়েছে তারা।

ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার জন্য একত্রিত হওয়া জেএমবি বাংলাদেশের আমিরসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর ভাটারা থানাধীন সাইদ নগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৫০টি ডেটোনেটর, জিহাদি বই, ১টি কামান্ডো ছুরি ও ২০ পিস জেল জাতীয় বিস্ফোরক জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জেএমবির বাংলাদেশের আমির আবু রায়হান, সদস্য হাবিবুর রহমান, সদস্য রাজিবুর রহমান।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ১২টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন সিটিটিসি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম।

মনিরুল ইসলাম বলেন, পুরাতন জঙ্গিদের নিয়ে নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছিল গ্রেফতার তিন জন। এজন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছে তারা। সেখানে প্রশিক্ষণ সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার আগ মুহুর্তে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, আবু রায়হান জেএমবি বাংলাদেশের আমির। তার নেতৃত্বে পুরাতন জেএমবি সদস্যরা আবার সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছিল। তার পরিকল্পনায় পার্বত্য চট্টগ্রামে কিছু জমি লিজ নেয় সংগঠনটি। পরে তারা সেখানে একটি মাদরাসা স্থাপন করে। আর এই মাদরাসার আড়ালে সেখানে জঙ্গি পরিচালনার কাজ চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল।

তাই আবু রায়হান ও বাকি দুই জেএমবি সদস্য এসব প্রশিক্ষণ সামগ্রী সংগ্রহ করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল এগুলো পার্বত্য চট্টগ্রামের নির্দিষ্ট ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আবু রায়হান টঙ্গীতে তামিরুল মিল্লাত মাদরাসায় লেখাপড়া করা অবস্থায় ২০১০ সালে জেএমবিতে যোগদান করে। সংগঠনের প্রতি একাত্মতা এবং বিশ্বস্ততার কারণে ২০১২ সালে সংগঠনের সিদ্ধান্তে তিনি কক্সবাজারে গিয়ে লেখাপড়াসহ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকার দায়ী (দাওয়াতি) শাখার প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করতে শুরু করে। পরে সে পর্যায়ক্রমে জেএমবি বাংলাদেশের আমির হয়।