কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে র‍্যাবের পোশাক পরে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান বিকাশের এক কর্মীর ২৭ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রোববার (২৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিরশ্বানি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাতেই জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) অভিযোগ করেছে বিকাশের এক কর্মী।

অভিযোগ করে বিকাশ কর্মী মো. কুতুব উদ্দিন বলেন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন দোকান ও প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করা বিকাশের ২৭ লাখ টাকা নিয়ে একটি প্রাইভেটকারে করে কুমিল্লা ফিরছিলেন বিক্রয় প্রতিনিধি নবু মিয়া ও গাড়ি চালক মো. মহসিন। মহাসড়কের মিরশ্বানি এলাকায় একটি মাইক্রোবাসে করে আসা র‍্যাবের পোশাক পড়া ৫ জন লোক প্রথমে প্রাইভেট কারটি থামান। পরে তারা কারে থাকা দুজনকে তাদের গাড়িতে তুলে নেন। ২৭ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে জেলার চান্দিনা এলাকায় তাদের গাড়ি থেকে ফেলে দেন।

তিনি আরও বলেন, রাতেই জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) অভিযোগ করেছি। এছাড়া চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ করিম খান বলেন, তারা বিষয়টি আমাদের জানিয়েছে। আমরা তাদের থানায় মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি। তবে অপরাধী চক্রকে ধরতে কাজ করছে ডিবি পুলিশ।

বিষয়টি নিয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আক্তার উজ জামান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ভিকটিকদের থানায় আসতে বলা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সুনামগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এক বিশেষ অভিযানে ধোপাজান নদীর শীর্ষ অবৈধ বালু উত্তোলনকারী বাবুল মিয়াকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে।

রবিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় সদর থানাধীন সিঙ্গার শো'রুমের সামনে থেকে বাবুল মিয়াকে আটক করা হয়। বাবুল মিয়ার বাড়ি বিশ্বম্ভরপুর থানাধীন ভাদেরটেক (মনিপুরী হাটি) গ্রামে। দীর্ঘদিন ধরে সে ধোপাজান চলতি নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল।

এছাড়া বাবুল মিয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আন্দোলনকারী ছাত্র ও সাধারণ জনগণের উপর হামলার সাথে জড়িত ছিল এবং হামলাকারীদের আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদান করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

গ্রেফতার প্রসঙ্গে আজ রাত সাড়ে ৯টায় সুনামগঞ্জ সদর থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আ. ফ. ম. আনোয়ার হোসেন খান, পিপিএম। তিনি বাবুল মিয়ার গ্রেফতারের বিষয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জাকির হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুনামগঞ্জ সদর সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম খান, সুনামগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হকসহ স্থানীয় প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সর্বদা অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চালিয়ে যাওয়া হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাসমত উল্লাহ হাসুকে গ্রেফতার করছে যৌথবাহিনী।

রোববার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও ফায়ার সার্ভিস এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার হাসমত উল্লাহ হাসু কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ৫নং পশ্চিম জোড়কানন ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় কোনো মামলা নেই। কিন্তু সদর দক্ষিণ থানায় মামলা রয়েছে।

সদর দক্ষিণ থানা সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় দুটি মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা হাসমত উল্লাহ হাসু।

ময়মনসিংহে বিদেশি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলিসহ আওয়ামী লীগ নেতা ও মসিকের দুই ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (পুলিশ) ডিবি।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও মসিকের ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু বক্কর সিদ্দিক সাগর (৩৮) এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও মসিকের ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর ফারুক সাবাস (৩৭)।

রোববার (২৭ অক্টোবর) ভোর রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকার একটি হোটেল থেকে তাদের আটক করে ডিবি পুলিশ।

এদিন দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর দিঘারকান্দা এলাকায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর ফারুক সাবাসের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় সাবাস তার হেফাজতে থাকা দুই রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল বের করে দিলে পুলিশ তা জব্দ করে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে। বিগত ৫ আগস্টের পর থেকে তারা পলাতক ছিল। এছাড়াও অস্ত্র উদ্ধার আইনে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।

এদিকে মিল্লাত হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি কাউন্সিলর সাবাস। তার বিরুদ্ধে হত্যা, জমি দখল, বাড়ি দখলসহ চাঁদাবাজির অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও ব্যবসায়ী দুলু, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা মোফাজ্জল, মিলন, জসীমসহ অসংখ্য ব্যক্তিদের কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ রয়েছে আওয়ামীলীগ নেতা নামধারি সন্ত্রাসী সাবাসের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগীরা জানায়, দীর্ঘসময় ধরে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে আসছে সাগর। এ কারণে এলাকাবাসীর কাছে সে চিহ্নিত সন্ত্রাসী হিসাবে পরিচিত। কিন্তু বিগত সময়ে পতিত আওয়ামী লীগ নেতারা এই সন্ত্রাসী টাকার বিনিময়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের পদ পাইয়ে দিয়ে সিটি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে কাউন্সিলর নির্বাচিত করে।