ডিএনসিসি ও চসিক কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে এক অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন বিষয় ও সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়। রোববার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে টাইগারপাস চসিক কনফারেন্স হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন সমস্যা অভিন্ন উল্লেখ করে সকল সিটি করপোরেশনের মেয়রকে নিয়ে একটি মেয়র প্লাটফরম গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে মেয়র প্লাটফরমের এই গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এর মাধ্যমে দেশের সিটি করপোরেশনের বিদ্যমান সকল সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে মেয়রদ্বয় অভিমত ব্যক্ত করেন।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিক বলেন, 'স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান এই ৫টি মানুষের মৌলিক অধিকার। মানুষের এই মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশ স্বাধীন করেছিলেন। এই মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা তাঁর সহযোগী। প্রধানমন্ত্রীর এই প্রচেষ্টা বাস্তবায়ন করাই আমাদের মৌলিক দায়িত্ব। দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো শতভাগ বাস্তবায়িত হলে মানুষের মধ্যে তেমন চাহিদা থাকবে না।'

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিশাল কর্মযজ্ঞ দেখতে আসছি উল্লেখ করে আতিক বলেন, অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে কর্মকর্তাদের নিয়ে চট্টগ্রামে সফরে এসেছি। অভিজ্ঞতা আমাদের চলার পথে পাথেয়।

চিকিৎসাসেবায় চসিক মেয়রের অবদানকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নগরীর হতদরিদ্র মানুষের চিকিৎসাসেবার জন্য মেয়র হেলথ কার্ড প্রদান একটি বিরল দৃষ্টান্ত। এজন্য মেয়রকে অভিনন্দন। ঢাকায়ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আদলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নীতি অনুসরণ করে তা বাস্তবায়নে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালানো হবে।

এ সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবাসরত ৭০ লক্ষ নগরবাসীর স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছে চসিক। নগরবাসীর মধ্যে অধিকাংশই দরিদ্র ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী রয়েছে। যারা স্বাস্থ্য ও পুষ্টিহীনতায় ভোগে। এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এর মধ্যে ৪টি মাতৃসদন হাসপাতাল, ১টি জেনারেল হাসপাতাল, ৫৩টি নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র/দাতব্য চিকিৎসালয়, ৩৩৫টি স্থায়ী/অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র, ১টি ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি এন্ড ম্যাটস, ১টি মিডওয়াইফারী ইনস্টিটিউট, ১২টি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা কেন্দ্র, ১ টি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল রয়েছে। এ সমস্ত প্রতিষ্ঠান সমূহের মাধ্যমে প্রতি মাসে গড়ে ১ লক্ষ এর অধিক নগরবাসীকে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকে চসিক। এছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগ হতে জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু নিবন্ধন, প্রিমিসেস লাইসেন্স, বিনামূল্যে কুকুর কামড়ানোর টিকা প্রদান সম্পর্কে সভায় সিটি মেয়র উল্লেখ করেন।

এ সময় দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র দুই করপোরেশনের মধ্যে অভিজ্ঞতা ও ভাববিনিময়ের ক্ষেত্রে সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সচিব রবিন্দ্র শ্রী বড়ুয়া, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম মঞ্জুর হোসেন, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, ঢাকা মেয়রের একান্ত সচিব শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, চসিক স্বাস্থ্য স্ট্যান্ডিং কমিটি চেয়ারম্যান কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, কাউন্সিল সলিমউল্লাহ বাচ্চু, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, মেমন হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. প্রীতি বড়ুয়াসহ দুই সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।