‘ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হবে’

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। দাম কমার যুক্তি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে আসবে। অপর দিকে দেশিয় নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করবে। ফলে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হবে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) ভবনে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিল্প, কৃষি, বাণিজ্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

এফবিসিসিআই সভাপতি ফজলে ফাহিমের সভাপতিত্বে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, শিল্প ও কৃষি সচিব, সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রধান এবং ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছি‌লেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী ব‌লেন, জাহাজে আমদানি করা পেঁয়াজ আগামী ১০ দিনের মধ্যে বাজারে আসবে। এই পেঁয়াজ চট্টগ্রাম পর্যন্ত আমদানি খরচ প্র‌তি কে‌জি ৩২ টাকা পড়‌বে। কিন্তু খুচরা বাজারে এটি সর্বোচ্চ ৬০ টাকা বিক্রি হবে। এছাড়া ডিসেম্বরের প্রথমেই বাজারে ‌দে‌শি নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করবে সব মিলিয়ে আগামী ১০ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আমাদের ২৪ লাখ টনের মত পেঁয়াজ লাগে এর মধ্যে ১ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয় যার ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশই আসে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে। কিন্তু ভারত হঠাৎ পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করায় আমাদের দেশের বাজারে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। পেঁয়াজের সংকট মোকাবিলায় বড় বড় ব্যবসায়ীদেরকে পেঁয়াজ আমদানি করতে সরকা‌রের পক্ষ থে‌কে বলা হয়। তারা আমাদের কথামতো মিশর, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু আমদানি করা পেঁয়াজ আসতে এক মাস সময় লাগবে প্রথম অবস্থায় আমরা তা বুঝতে পারিনি। তাই তাৎক্ষণিক সংকট মোকাবিলায় উড়োজাহাজে করে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেই।

উড়োজাহাজে আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্য অনেক বে‌শি পড়বে। কিন্তু ভোক্তা পর্যায়ে আমরা এই পেঁয়াজ ৪৫ টাকায় বিক্রি করবো ব‌লে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

চালের দাম স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, পাইকারি বাজারে চালের দাম বাড়েনি। কে‌জি‌তে দুই এক টাকা দাম বেড়েছে খুচরা বাজারে। তবে মোটা চালের নয় চিকন চালের দাম বেড়েছে। কারণ এখন লোকজন চিকন চাল বেশি খায়।

খাদ্যপণ্য পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে জা‌নি‌য়ে তি‌নি ব‌লেন, আগামীতে কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

এফবিসিসিআই সভাপতি জানান, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর বছরব্যাপী চাহিদা, বাংলাদেশে পণ্যের উৎপাদন, আমদানি, মজুত ব্যবস্থা, সরবরাহ ব্যবস্থাপনা ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনার বিষয়ে বৈঠ‌কে আ‌লোচনা হয়। আগামীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে তা মোকাবেলা করা হবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হ‌য়ে‌ছে ব‌লে জানান তি‌নি।