মুক্তিযোদ্ধাদের ‘সঠিক’ তালিকা প্রণয়নের দাবিতে অবস্থান

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযোদ্ধাদের ‘সঠিক’ তালিকা করার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

মুক্তিযোদ্ধাদের ‘সঠিক’ তালিকা করার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি এবং সঠিক ও চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়নসহ ১৫ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূ‌চি শুরু করেছেন ‘একাত্তরের মু‌ক্তি‌যোদ্ধা’ নামক একটি সংগঠনের সদস্যরা।

রোববার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপ‌তি মো. রুস্তম আলী মোল্লা বলেন, একাত্তরে ৩০ লাখ শহীদ প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই লাখের বেশি মা-বোনের সম্ভ্রমহানি আর হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদহানি করে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী। ওই হানাদারদের পরাজিত করে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য যে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে যেমন মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গ স্থান পায়নি, তেমনি স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থাও প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭২ সালের ৭ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন সরকার মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করলেও, সে গেজেট অনুসরণ না করে গত ৪৮ বছরে যখন যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তারা বারবার মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা ও মানদণ্ড পরিবর্তন করে হাজার হাজার অমুক্তিযোদ্ধাকে তালিকাভুক্ত করে রণাঙ্গনের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কলঙ্কিত করেছে। অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বাদ পড়েছেন তালিকা থেকে।

মুক্তিযোদ্ধাদের ‘সঠিক’ তালিকা করার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

তার কথার রেশ ধরে অবস্থান কর্মসূচিতে আসা অন্য বক্তারা বলেন, এ ধারা অব্যাহত থাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের মান-সম্মান ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। এছাড়াও বিদ্যমান অন্যান্য সমস্যার কারণে মুক্তিযোদ্ধারা রাষ্ট্রীয়, সামাজিক এমনকি পারিবারিকভাবেও বঞ্চনার শিকার হ‌চ্ছেন।

বক্তারা আরো বলেন, আশা ছিল, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা পুনরায় প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু বাস্তবে তেমনটি দেখা যাচ্ছে না।

এ সময় তারা মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি এবং তালিকা থেকে অমুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে সঠিক ও চূড়ান্ত তালিকা করাসহ ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেন।

সভাপতি ছাড়াও সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামাল আহ‌মেদ ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সদস্যরা এ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।