সিঙ্গাপুর-হংকংয়ের মতো টাউনশিপ করতে সহায়তা করবে জাপান

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের মতো টাউনশিপ করতে জাপান সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (২৪ নভেম্বর) বেলা ১২টায় সচিবালয়ে নিজ দফতরে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতোর (Mr. Naoki Ito) সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা জানান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, টাউনশিপ করতে সহযোগিতার পাশাপাশি শতভাগ সুপেয় পানির ব্যবস্থাপনায়ও সহযোগিতা করবে জাপান। আমাদের দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে জাপান কাজ করছে, সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের যেসব বিষয়ে প্রাপ্যতার ব্যত্যয় আছে, সেসব বিষয়ে ন্যায্য সহায়তার কথা বলা হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার টেকনলজি দেখতে জাপান সরকার আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আমাদের মাথাপিছু আয় যেমন বাড়ছে, মাথাপিছু বর্জ্যও বাড়ছে। তাই ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হচ্ছে। খাল-বিল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ঢাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা আরো স্টাবলিস করতে হবে। জাপানের বর্জ্য ব্যবস্থপনা দেখে আমরা এক সঙ্গে কাজ করব, যোগ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, মাতারবাড়ি, মহেশখালিতে জাপানের বিনিয়োাগ আছে। সুয়ারেজ, সিটি গভর্নেন্স, ওয়াটার ম্যানেজমেন্টে তাদের বিনিয়োগ আছে। আমার গ্রাম আমার শহরের বিষয়ে তাদের সহযোগিতা চেয়েছি, তারা আশ্বাস দিয়েছে, সহযোগিতা করার।

বর্জ্যের কারণে মৃতপ্রায় খালগুলোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বাস্তবতা আমি জানি। সিটি করপোরেশন বর্জ্য সংগ্রহ করে, এটা তাদের দায়বদ্ধতা। অনেক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বর্জ্য পড়ে থাকে, কিন্তু যেখানেই এ বর্জ্য আমরা নেই না কেন তা ধ্বংস করতে হবে। সেজন্য সঠিক পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে। পুড়িয়ে ফললে পরিবেশ দূষণ হবে। টেকনলজি ব্যবহার করে সঠিকভাবে প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় হাজার টন বর্জ্য বার্ন করতে পারলে তা থেকে বিদ্যুৎও উৎপাদন করা সম্ভব। পরে সে বিদ্যুৎ আমরা কিনে নিতে পারব। এ প্রক্রিয়ার জন্য কোম্পানিগুলোর কাছে টেন্ডার আহ্বান করেছি। তারা বর্জ্য থেকে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে, সেটা আমাদের কাছে বিক্রি করবে, সেটাই তাদের লাভ।

ধুলাবালু বাড়ছে, সিটি করপোরেশন সে বিষয়ে উদ্যোগী হচ্ছে না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনে পানি ছিটালে ড্রেনে যাবে, ড্রেনে ময়লা জমবে। কিন্তু এটি এমনভাবে করতে হবে, যাতে তা একেবারেরই ধ্বংস হয়। সে ক্ষেত্রে এখানে চ্যালেঞ্জ আছে। সেজন্য কীভাবে সব একসঙ্গে পরিষ্কার করা যায়, সেটি আমরা দেখছি। সারা বাংলাদেশে পরিচ্ছন্ন গ্রাম, পরিচ্ছন্ন শহর প্রকল্প নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী জানুয়ারিতে এ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।