‘সব বেসরকারি বিদ্যালয় নিবন্ধনের আওতায় আনার কাজ চলছে’
জাতীয়
সব বেসরকারি বিদ্যালয়কে নিবন্ধনের আওতায় আনার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন বিষয়ে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
বিজ্ঞাপন
অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, সব বেসরকারি বিদ্যালয়কে নিবন্ধনের আওতায় আনার পাশাপাশি নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করার দাবিও পূরণ করা হয়েছে। তবে নিবন্ধন না থাকলে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ বন্ধের মতো শর্ত আরোপ করা হবে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকের কাজ হলো একটা মানুষকে সাক্ষর করে তোলা। আমাদের কথ্য ভাষা, লেখ্য ভাষা, গাণিতিক ভাষায় সাক্ষর করে তোলা। অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে, শিক্ষকদের মানোন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু সাক্ষরতার ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়নি। যেটা মূল লক্ষ্য সেটা অর্জিত হয়নি। আমাদের এখনও কাগজে-পত্রে মাত্র ৭৮ শতাংশ সাক্ষর। এই মধ্যেও গলদ রয়ে গেছে। যারা প্রকৃত পক্ষে সাক্ষর হয়ে উঠে না হাই স্কুলে পিছিয়ে থাকে। এবং তারা উচ্চ শিক্ষায় কখনও ভালো করতে পারে না। আমাদের প্রকৃত সাক্ষর ৫০ শতাংশেরও নিচে। নিরক্ষর জাতি দিয়ে আমরা উন্নতি করতে পারব না।
বিজ্ঞাপন
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন জাতির বিভিন্ন ধরনের সম্পদ থাকে কিন্তু আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ জনসম্পদ। এই সম্পদকে যদি কাজে লাগাতে না পারি তাহলে আমাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা ও অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল হাকিম। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার সরকারি কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) থেকে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সেইসঙ্গে সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর ও মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সেইসঙ্গে সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আগামী বুধবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সেইসঙ্গে সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
এ ছাড়া আগামী পাঁচদিনের প্রথম দিকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টির প্রবণতা রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালি ইউনিয়নের রিফাইত সরকারতারি গ্রামে এখনো টিকে আছে ঝিনুক পুড়িয়ে পান খাওয়ার চুন তৈরির ঐতিহ্য। বংশানুক্রমে এ পেশায় নিয়োজিত তিনটি সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার তাদের পূর্বপুরুষদের শেখানো পদ্ধতিতে চুন তৈরি করে আসছে আজও। তাদের তৈরি চুন চাহিদা পূরণ করছে স্থানীয়দের। তবে, ক্ষুদ্র এই শিল্প সম্প্রসারণে প্রয়োজন সরকারি সহায়তা।
ঝিনুক থেকে চুন তৈরির পদ্ধতি হাজার বছরের পুরনো। প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা থেকে জানা যায়, প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে এটি প্রথম আবিষ্কৃত হয়। পরে চীনা এবং রোমান সভ্যতায় এটি আরও উন্নত হয়। প্রাচীন ভারতে চুন ব্যবহৃত হতো পানীয় ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে। বিশেষত ভারতীয় উপমহাদেশে পান চিবানোর ঐতিহ্যের সাথে চুনের ব্যবহার শুরু হয় খ্রিস্টপূর্ব কয়েক শতক আগে। এটি তখন থেকেই সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের একটি প্রতীক।
সরেজমিনে সদর উপজেলার বাদিয়াখালি ইউনিয়নের রিফাইত সরকারতারি গ্রামে দেখা যায়, চুন তৈরির বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত যোগী পরিবারগুলো। যারা চুন তৈরি করে থাকেন স্থানীয়ভাবে তাদেরকে যোগী বা চুনারু বলা হয়। কেউ কেউ বলে থাকেন চুনি। চুন তৈরিতে কর্মব্যস্ত থাকেন যোগী পরিবারের নারী-পুরুষ উভয়ই।
চুন তৈরির পদ্ধতি
চুন তৈরির মূল উপকরণ ঝিনুক। যেটাকে সিঁপি বলা হয়। এই সিঁপি বা ঝিনুক থেকে চুন তৈরির প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ ও শ্রমনির্ভর হলেও প্রাকৃতিক ও বিজ্ঞানসম্মত। ঝিনুক সংগ্রহ করা, ছোট আকারে খরি কেটে রোদে শুকানো, ভাটা সাজানো ও আগুনে পোড়াসহ চুন তৈরির মূল প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগে বেশ কয়েকদিন ।
চুন তৈরির প্রথমে জেলার বিভিন্ন নদী, বিশেষ করে গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি এলাকা থেকে ঝিনুক সংগ্রহ করেন যোগীরা। এ ঝিনুক পানিতে পরিষ্কার করে বিশেষভাবে তৈরি ভাটিতে সাজানো হয়। খরি ও ঝিনুক স্তরে স্তরে সাজিয়ে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা ধরে আগুনে পোড়ানো হয়। পোড়ানো ঝিনুক থেকে তৈরি হয় ‘ঝুড়ি’, যা চুন তৈরির প্রধান উপাদান। পরে আধুনিক শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ব্লেন্ডার মেশিনে এই ঝুড়ি ও পানি মিশিয়ে দুই থেকে তিন ঘণ্টা ধরে ঘষামাজার মাধ্যমে তৈরি হয় চুন। পুরো প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত যত্ন ও নিষ্ঠার সঙ্গে সম্পন্ন করেন যোগী পরিবারগুলো।
চ্যালেঞ্জ ও সংকট
একসময় এই পেশায় নিয়োজিত যোগীদের সংখ্যা বেশি থাকলেও নানা সংকটের কারণে অনেকেই পেশা পরিবর্তন করেছেন। বর্তমানে এ গ্রামের সুভাস চন্দ্র দেবনাথ, বর্ণ চন্দ্র দেবনাথ ও স্বপন চন্দ্র দেবনাথ- এই তিন ভাই তাদের পরিবারসহ বাপ-দাদার পেশা ধরে রেখেছেন। সরকারি সহযোগিতার অভাব, উপকরণের দাম বৃদ্ধি এবং আধুনিক প্রযুক্তির অভাবে এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পটি টিকে থাকা পড়েছে চ্যালেঞ্জের মুখে।
উন্নয়নে সরকারি সহযোগিতার প্রয়োজন
এই প্রাচীন শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। যোগী পরিবারগুলোর দাবি, আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহ এবং সুষ্ঠু ঋণ সুবিধা পেলে এই ঐতিহ্যবাহী শিল্প নতুন মাত্রা পাবে। গাইবান্ধার রিফাইত সরকারতারি গ্রামের চুন তৈরি প্রক্রিয়া একদিকে প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক, অন্যদিকে বিজ্ঞান ও প্রকৃতির অপূর্ব মেলবন্ধন। এটি কেবল একটি পেশা নয়; বরং বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। তাই এই শিল্প রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার দাবি স্থানীয় সচেতন মহলের।
বিজ্ঞান ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধন
ঝিনুক থেকে চুন তৈরি বিজ্ঞানসম্মত ও প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবহারের এক উজ্জ্বল উদাহরণ। ঝিনুকের প্রধান উপাদান ক্যালসিয়াম কার্বোনেট তাপে ভেঙে ক্যালসিয়াম অক্সাইডে পরিণত হয় এবং পানি মিশ্রণে তা ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইডে রূপান্তরিত হয়, যা চুন নামে পরিচিত।
চুন শুধু পানের স্বাদ বাড়ায় না; এটি হজমেও সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত চুনের ব্যবহার মুখগহ্বর ও শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
রিফাইতপুর গ্রামের যোগী শ্রী স্বপন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, আমরা বাপ দাদার পেশা ধরে রেখেছি। সময়ের সাথে সাথে এটি টিকিয়ে রাখা কঠিন হচ্ছে। তবে সরকারি আর্থিক সহযোগিতা- বিনা সুদে ঋণ কিংবা স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা গেলে আমরা আমাদের শিল্পের উন্নয়ন ঘটাতে পারতাম। আগে অনেক পরিবারই চুন তৈরি করতো কিন্তু নানা সংকটের কারণে পেশা বদল করেছেন অনেকে।
স্বপন চন্দ্র দেবনাথের স্ত্রী আরতী দেবনাথ বলেন, আমরা পরিবারের সবাই চুন তৈরির কাছে সহযোগিতা করে থাকি। সেজন্যই টিকে আছি। এই কাজে অনেক পরিশ্রম আছে। আমাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
একই গ্রামের অপর যোগী শ্রী বর্ণচন্দ্র দেবনাথ বলেন, ঝিনুক থেকে এই চুন তৈরি করে থাকি আমরা। এই চুন স্থানীয় বাজারে আমরাই সরবরাহ করে থাকি। প্যাকেটজাত করে একেবারে প্রস্তুত করে দোকানে পৌঁছে দেই। চাহিদা আছে আমাদের চুনের।
মাত্র ছয়জন যোগীকে প্রায় ১০ লাখ টাকা কুটির শিল্প ঋণ প্রদানের কথা জানালেও জেলায় যোগীর সংখ্যা কত তা জানাতে পারেনি গাইবান্ধার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক)।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গাইবান্ধা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন মহা ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ আল ফেরদৌস মুঠোফোনে বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা জেলার ৬ জন যোগীকে প্রায় ১০ লাখ টাকা ঋণ সহায়তা দিয়েছি।
তবে, এসময় জেলায় মোট কতজন যোগী রয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান জানা নেই বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) মাহামুদ আল হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, জেলার ছোট ছোট এধরণের শিল্পের প্রসারে সব ধরণের সহযোগিতা করবে উপজেলা প্রশসান। আমরা শিগরিই তাদেরকে ডেকে তাদের সাথে কথা বলবো এবং তাদের এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।
সাবেক সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা ৩০টি গাড়ি নিলামে তোলার কথা থাকলেও দর নির্ধারণের কাজ শেষ না হওয়ায় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের এবারের নিলামে তা তোলা যায়নি।
নিলামে তুলেছে ৮৩ লট পণ্য, যার মধ্যে রয়েছে কয়লা, পেপার, ব্যাগসহ পোশাক শিল্পে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণ। আগ্রহী বিডাররা ২৮ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত পণ্য দেখতে পারবেন। নিলামের প্রস্তাবিত মূল্য জমা দেওয়ার সময়সীমা ২৭ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা পর্যন্ত।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, এ নিলামে রয়েছে ১৩ হাজার ২১৯ কেজি কয়লা, পোশাক শিল্পের কাপড়সহ বিভিন্ন উপকরণ। দ্বিতীয়বার ২২ লট এবং তৃতীয়বার ৫ লট পণ্য নিলামে তোলা হয়েছে।
নিলাম ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. এয়াকুব চৌধুরী বলেন, "গাড়ির নিলামের জন্য আমরা অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু কাস্টমস হাউস এখনও তা করতে পারেনি। নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা ৩০ জানুয়ারির মধ্যে গাড়ি নিলামে তোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন, কিন্তু এ নিয়ে ধীরগতি লক্ষ্য করছি।"
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের মুখপাত্র ও উপ-কমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, সাবেক এমপিদের গাড়ির দর নির্ধারণের প্রক্রিয়া চলছে। কাজ শেষ হলে আগামী মাসে নিলামে তোলা হবে।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার দ্রুত খালি করতে অনলাইন ও অফলাইন উভয় মাধ্যমেই নিলাম হচ্ছে। সম্প্রতি খেজুরের মতো পচনশীল পণ্য নিলামে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া, ই-অকশনে পোশাক শিল্পের উপকরণও রয়েছে।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় নিলামে তোলার বিষয়ে তিনি জানান, বিডাররা সময়মতো টাকা জমা না দিলে বা সংরক্ষিত মূল্যের ৬০ শতাংশ দর না উঠলে আইন অনুযায়ী পণ্যগুলো পুনরায় নিলামে তোলা হয়।
বঙ্গোপসাগরের দুবলার চরের জেলে পল্লীতে হামলা ও জেলেদের জিম্মি করার সময় ভারতীয় ৩ জলদস্যুকে গনধোলাই দিয়েছে জেলেরা। পরে ওই ৩ দস্যুকে অস্ত্র ও গুলিসহ দুবলার চরের কোস্ট গার্ড স্টেশনে হস্তান্তর করা হয়।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনা ঘটে। দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহম্মেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রোববার রাত ১১টার সময় দুবলার চরে একটি ফিশিং ট্রলারে করে ১০ থেকে ১২ জনের দস্যুদের একটি দল দুই ভাগে বিভক্ত জেলেদের ওপর হামলা চালায়। এসময় বেশ কয়েকজন জেলেকে তারা জিম্মি করে। এরপর দস্যুদের একটি গ্রুপ দক্ষিণ দিকে চলে যায়।
অন্য গ্রুপটি পাঁচজন জেলেকে জিম্মি করে রাখে। পরে জিম্মি জেলেদের চিৎকারে অন্য জেলেরা ছুটে এসে প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং ভারতীয় ৩ দস্যুকে গণধোলাই দেয়। এসময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় একটি অস্ত্র ও গুলিসহ ভারতীয় কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করে জেলেরা। পরে ওই তিন দস্যুকে অস্ত্রসহ কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের এক কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে অভিযান চলছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।